পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিরুদেশ

  1. ঐবিমলাংশুপ্রকাশ রায়

যদিও চট্টকলের ধোয়ার কালিম আমাদের গ্রামের আকাশ পৰ্য্যস্ত গিয়ে পৌছায়, তবুও আমাদের গঙ্গার দুই তীর ইষ্টকে প্রস্তরে বন্দী হয়ে পড়েনি। পৰ্ব্বত-দুহিতার স্বচ্ছন্দ সচল মূর্তাি সেখান পর্যন্তই বেশ সহজ ছিল। তার পরেই স্বচ্ছ সলিল শহরের পঙ্কিলতায় মলিন, তার পরেই দু-কুলের সবুজ শম্পাস্তরণ শহরের বিষম্পর্শে বিবর্ণ। সেটা ছিল শিবরাত্রি । সে রাতের কথা ভোলবার নয় । আমরা কয়েক বন্ধুতে মিলে ঠিক করেছি রাত জাগতে হবে । প্রথম প্রহরটা গান করেই কাটছিল বেশ । স্বরতাল জ্ঞানহীনের এবং বায়সবিনিন্দিত কণ্ঠের গান আসলে জমে ভাল। একজন গাইবে অপর সকলে হাসির হুয়োড় ছোটবে তবে না গানের আসর ! পাক গাইয়ের নিখুত সঙ্গীতে শ্রোতার নিঝুম হয়ে থাকে—বেঁচে আছে কি মরেই গেল তা বোঝবার জে থাকে না। দ্বিতীয় প্রহরের নিশুতি রাতের সঙ্গে কিন্তু আমাদের বে-পরোয় গানের ছন্দটা যেন বড় বেমানান ঠেকৃতে লাগল। বিশেষত: সন্ধ্যারাত্রে যে খানিক মেঘ ডুমছিল, এখন একটু একটু ঝবৃতে মুরু করেছে। অমা-পা রাত্রের টিপ টপ বুষ্ট মনের মধ্যে একটা fি. "এনে 6तिश्च । প্রবল কোলাহল যেন এই মৃদু সজুr: శ్రీ ডিরস্কারে লজ্জায় মাথা হেঁট করে । sy#s*. ~ ... গদাই বললে—নেও এখন গা শোনা যাক্ । নিতাই উৎসাহিত হ গল্প ! স্বয়ম্ভু গম্ভীর মূৰ্ত্তি ধু এই শিবরাতের মুহূর্ণ শিবচরদের নিয়ে তামাস করা ঠিক হবে না ।

  • গাম্ভীৰ্যটা কপট, ন সত্যিই তার মনে

একটা আশঙ্কা জাগছিল তা নির্ণয় করবার পূর্বেই দেখা গেল তাচু দুখানি পা দিব্যি ইজিচেয়ারের পাথার উপর তুলে দিয়ে নাক ডাকাচ্চে । তৎক্ষণাং কানে কোচার খোটের আর নাকে নস্থিার টিপের দৌরাত্ম্যে তার স্থখনিদ্র। নাক-কান দিয়ে প্রচণ্ড শব্দ ক’রে বেরিয়ে গেল। আবার হাসির ধূম্‌! হাসির ঢেউট তখনও থিতিয়ে যায়নি—অকস্মাৎ বেণুগোপাল কোথা হ’তে ঝড়ের মত ছুটে ঘরে প্রবেশ ক’রে জিজ্ঞাসা করলে—“প্রাস্তকে তোরা কেউ দেখেছিস্ ?” নিতাই বলে উঠল—“কই না ! প্রান্ত ফিরেছে না কি ?” বেণুগোপাল সে কথার কোন জবাব না দিয়ে যেমন এসেছিল তেমনি বেরিয়ে গেল। আজকের আড়ায় সে অনুপস্থিত ছিল। স্বয়ম্ভু জিজ্ঞাসা করলে,—“প্রান্ত কি কারু নাম না কি ?” নিতাই বললে,—“তুমিই শুধু প্রাস্তকে চেন না । সে ছিল আমাদের আড্ডার পাণ্ডা। তুমি তখনও জাসনি। ওর আদিত নাম হচ্চে ‘প্রাণবস্তু’ । আমরা বললাম অত বড় নাম ধরে ডাকার ধৈর্ঘ্য হবে না। আর শুধু ‘প্রাণ বলে ডাকাটাও নিরাপদ নয়। তাই আগা-মাথা জুড়ে দিয়ে ‘প্রাস্ত’ নামকরণ করা গেল। কিন্তু ‘প্রাণবন্তই ওর ঠিক নাম—প্রতি কাজেই প্রাণের সাড়া পাওয়া যায়। সেই হাবড়া ষ্টেশনের কাগুটার কথা মনে আছে ?” নিতাই আমার দিকে তাকালে । আমি হাসতে হাসতে বললাম—“ত আর মনে নেই ।” স্বয়ম্ভূ বললে “কি, কি, বল না ভাই।” - নিতাই বলতে লাগল—সে ভারি মজা। আমরা যাচ্ছিলাম শিমুলতলা পূজোর ছুটতে বেড়াতে। ৰাষ্ট্ৰ