পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ নিরুদেশ স্পেশাল দিয়েছে। ষ্টেশনে পৌঁছেই দেখি সময় বেশ নেই। গ্রন্থ কিন্তু সময়-সংক্ষেপের জন্যে কিছুমাত্র ভাবছিল না। তার অসন্তুষ্টির কারণ হচ্ছিল—খাবার কিছু নেওয়া হ’ল ন৷ সঙ্গে । আমরা প্ল্যাটফমের দিকে ছুটে চলেছি, সে সকলকে মাঝপথে আটকে টেনে নিয়ে গেল এনকোয়ারি আপিসে । সেখানে গিয়ে প্রশ্ন করলে কি—“মশাই, গরম কচুরি কোথায় পাওয়া যায় ? গরম, গরম ?” আপিসের বাবু অবাক হয়ে প্রান্তর দিকে একবার, আমাদের দিকে আর একবার তাকিয়ে মেঠাইয়ের দোকানের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করলেন শুধু। বোধ হয় কথা কইতে বিশেষ ভরসা পাচ্ছিলেন না । ওদিকে সময় সঙ্কীর্ণ। আমরা ছুটলাম আবার প্ল্যাটক্রমের দিকে। প্রাস্ত ছুটল মেঠাইয়ের দোকানপানে । আমাদের বলে গেল, “তোরা যা, আমি এই এলাম বলে |’ প্রথম ঘণ্ট, দ্বিতীয় ঘণ্ট—প্রাস্তের দেখা নেই ! স্পেশালের গার্ডসাহেব সগৰ্ব্বে সবুজ নিশান দুলিয়ে দিলেন। ট্রেনও মোশন দিয়েছে প্রাস্তও প্ল্যাটফর্মপ্রাস্তে দেখা দিয়েছে—ছুটতে ছুটুতে আসছে। এক হাত খাবারের ঠোঙায় আঠার মত আটকে রয়েছে, অপর হস্ত দাড় বাইবার ভঙ্গীতে ঘন ঘন শূন্যে প্রক্ষিপ্ত হচ্চে। আমরা জোড় জোড় হাত নেড়ে চীৎকার করে প্রাস্তকে ডাকতে লেগে গেলাম—সমস্ত প্ল্যাটফর্মকে সরগরম ক’রে । কিন্তু বোধ হয় হিত করতে বিপরীত হ’ল । আমাদের চৎকারে গার্ডের দৃষ্টি আমাদের দিকে এবং সঙ্গে সঙ্গেই প্রাস্তুর দিকেও আকৃষ্ট হ’ল । প্রান্ত সবে খাবারের ঠোঙাটা আমাদের বিস্তৃত হাতের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে—নিজে যেই চলন্ত গাড়ীর পা-দানে পদপ্রদান করতে যাবে আমনি পেছন হ’তে গার্ডের প্রচণ্ড আকর্ষণে তাকে নিরস্ত হ’তে হ’ল । বেচারি থমকে দাড়িয়ে গার্ডের দিকে তাকিয়ে রইল। গার্ড তখন নিজের গাড়ী ধরবার জন্তে পেছনের দিকে চলেছে। প্রান্তও তার পিছে গুটি গুটি চলতে লাগল। এবার পাল্টার পালা। গার্ড যেই যাবে ধরন্থে ੋਂ o ১৭১ ধরলে গার্ডের কোমর জাপটে । তার পর দুইজনে ঝুটোপুটি । গার্ড বলে—খবরদার ! \ প্রাস্ত বলে—তোম্ খবরদার। চলন্ত গাড়ীতে ওঠবার নিয়ম আমার যেমন নেই তোমারও নেই। রেলের লোক হয়ে রেলের নিয়ম অমান্য কর । ওদিকে ট্রেন এগিয়ে প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে গার্ডের গাড়ী হ’তে নিশান নাড়া দেখতে না পেয়ে গেল থেমে । গার্ড তখন প্রান্তর হাত হ’তে ছাড়া পেয়ে দৌড়ে গেল গাড়ী ধরতে, প্রান্তও উঠে পড়ল আমাদের কামরায় । গদাই হাসতে হাসতে বললে—“তারপর সেই বিশালবপু লিস্কি সাহেবের ভূড়িতে হাত বুলোবার গল্পটাও শুনিয়ে দাও না স্বয়ত্ত্বকে।” নিতাই আবার সুরু করতে যাবে এমন সময় বেণুগোপাল হঠাৎ আবার এসে পড়ল। চোখ-দুটো দেখে মনে হচ্চে—এ কি, ছেলেটা কি পাগল হয়ে ফিরল ? নিতাই বলে উঠল—“কি হে বেণু, ব্যাপার কি ? প্রাস্ত ফিরেছে ?” -- বেণু জবাব দিলে—“না সে আড্ডায়ও নেই, তার আস্তানাতেও ফেরেনি, কিন্তু—” —"ল্গুন্তু কি ? বল না ব্যাপার কি।” তার "তুবাক হয়ে আমরা সকলে তাকিয়ে রইলাম । বে আকুল বলতে লাগল—“আৰ সন্ধ্যাট যখন সবে ঘোর গ্রাসছে। আমি আমাদের রক্টাতে বসে আছি, এমন *श्चात्र পাশে এসে বস্থল প্রান্ত । তাকে দেখেই মনে হ’ল ।তার কথাটাই সেই মুহূর্ভে ভাবছিলুম। সত্যি, আমাদের মধ্যে a-- সেই যে গেল লে গর্বাসাগরে মেলায় স্বেচ্ছাসেবক হয়ে আর ত ফেরেনি " " . ra कि ब्लकम او - ختميلا:'