পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖԳՀ Sల్లిన్స్డ জিজ্ঞাসা করলাম—“এতদিন ছিলে কোথায় ?” বললে--"এই বেড়িয়ে এলাম একট । দেখে এলাম নবকুমারের পথবিভ্রমের জায়গাট, দেখলাম কাপালিকের নরকঙ্কালাকীর্ণ আশ্রম। সেই ভীষণ, সেই মপুর " আমি কি একটা বলতে যাচ্ছিলাম এমন সময় কানে শব্দ এল--"রাম নাম সং হায় ।” তাকিয়ে দেখি এক অভিনব ব্যাপার । দুইটিমাত্র লোক একটি মৃতদেহ বয়ে নিয়ে চলেছে । তার খাট কাধে না ক’রে বাধা হয়ে মাথায় করেছে—একজন আগে অন্যে পেছনে। সঙ্গে অপর লোক নেই । আমরা অবাক হয়ে দেখতে লাগলাম। তারা যেই আমাদের কাছ হ’তে একট দূরে গিয়েছে অমনি প্রাস্ত বললে—“ধাবি ওদের সাহায্য করতে ?” প্রান্তের সেই প্রশ্নে হঠাৎ আমার গায়ে কাট দিয়ে উঠল। শ্মশানে যাবার আমন্ত্ৰণ আচমকা এলে চমকে উঠতেই হয়। বিশেষ করে শ্মশানযাত্রীর সংখ্যা যদি বিরল হয়, উৎসাহও সবল হতে চায় না । কিন্তু প্রাস্তের প্রশ্ন ত সে নয়, সে যেন আদেশ ! তার কথা, জনিস ত ভাই, ফেলা বড় শক্ত। যেতেই হ’ল । দৌড়ে গিয়ে শববাহী দ্বয়ের কাছে নিজেদের সাহায্য দিতে চাইলাম। তারা সাগ্রহে মামাদের ফু-জনকে তাদের কাজে বাহাল ক’রে ...’’ খাটকে তখন চার জনে কাধে করা গেল। / * . রামের ভক্তদ্বয় এবার {- ::{সাহে ষ্টাকতে - S$$ • . লাগল “রাম নাম সং হায়” । 燃 (সহী রামনাম ধ্বনিতে আমরা যোগ না "বলিয়ে বাবুজী—রাম নাম }ে %ई,'cशश्न দিই, কিন্তু প্রান্তকে &:- কোন উৎসাহ ীেৰয়-জার্থীর চীৎকার করে /*প্রাস্তু উত্তরে একটা হরিধ্বনি প্তাতে সন্তুষ্ট নয় । এবার বিষম বিরক্ত দুৰ্বকৰ্শ স্বরে বললে—“নেহি, নেহি--রাম নাম or " s - - ীির জলদির"তাঞ্জ কি আমি কিছুই সু০াতে তার বললে .** *。 יין তার নেই। বুঝতে পারলাম না। প্রাস্ত পুনর্বার হরিধ্বনি করলে । এবার আমিও তাতে ঘোগ দিলাম । তখন তারা বললে “খাটিয়া জার। উতারিয়ে জী ।” খাট নামানে হ’ল । তখন হিজলীতলার ঝোপে এসেছি । তারা দুই জনে ঝোপেরই দিকে এগিয়ে ধেতে লাগল । আমরা তাকিয়ে দেখতে লাগলাম—যায় কোথা । দশ-বারো প। এগিয়েই হঠাৎ দিল দৌড় ! যেন প্রাণ নিয়ে পালাচ্চে । তাদের এই কাণ্ড দেখে মহা আশ্চৰ্য্য ওবিরক্ত বোধ হ’ল। প্রস্তিকে বললাম—“দেখলে ত । যেচে পরের উপকার করতে যাওয়ার কি পুরস্কার ” বস্তুতঃ, প্রান্তের উপরেই ষেন আমার সব রাগটা এসে ভর ক’রে দাড়াল। প্রান্ত কিন্তু হাসতে হাসতে বললে, “এখন আর রাগ ক’রে কি করবে বল । ওরা দুজনে যেমন ক’রে আগে বয়ে আনছিল এখন আমাদেরও তাই করতে হবে ।” দু-জনে মাথায় খাট বয়ে নিয়ে চললাম। প্রান্ত আগে রইল, আমি পেছনে। নিজের অজ্ঞাতসারেই যেন আমি বলতে লাগলাম—“কার মড়া কে বয়—রামচন্দ্র !" প্রাস্ত হোঃ হেঃ ক’রে হেসে উঠে বললে,—“এই নামটা তুমি এতক্ষণে করলে । তারা যখন চাইছিল তখন যদি ঐ নাম শোনাতে তাহলে ত এত কাগু হ’ত না।” আমি জিজ্ঞাস করলাম—“কি, রাম-নাম ?” প্রাস্ত বলল,—“হঁ্য, ওরা কেন পালাল তা বুঝতে পারিস নি ? ওরা আমাদের কি মানুষ ভেবেছে, না আর কিছু ?” আমার মাথায় এতক্ষণে বুদ্ধি যেন মুস্পষ্ট হয়ে এল। আমি ভয়ে বললাম, “ভূত ভেবেছে না কি ?—ও, তাই বুঝি আমাদের মুখ দিয়ে ‘রামনাম বলিয়ে পরখ করতে চাচ্ছিল ?” প্রাস্ত বললে—“ঠিক তাই। অনাহূতভাবে মড়া বইতে প্রেতাত্মারাই এত চট ক’রে আসে।” কথাটা ব’লে সে হাঃ হাঃ ক'রে হাসতে লাগল। জামার | কিন্তু গা-টা ছমছম করে উঠল। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে সে বললে—“আচ্ছ বেণুগোপাল ! তোর মনে একরারও আমার ওপর সন্দেহ হয় নি ?”