পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wო··ჯი-יא পুন ও ভোর ১৮৫ ভিড়। সাধারণ লোক ছাড়া যুবরাজ যুবরণী, ছোট তিনটি রাজকুমার ও কুমারী এবং যুবরাজের দুই শিশুকন্য| সকলে তীর্থস্থানে স্নানাদি করিয়া পূজা দিতে আসিয়াছেন। মন্দিরটি দেখিয় বেশ প্রাচীন মনে হইল । তাহার পাশে সম্ভবত বহু প্রাচীন আর একটি মন্দির ছিল, এখন তাহার দেবমূর্নিখোদিত পাথরগুলি ইতস্ততঃ পড়িয়া আছে । কোনোটি সিড়ির ধাপ, কোনোট পাচিলের অংশ, কোনোটি পথিকের বিশ্রামের আসন হইয়াছে । শযুক্ত বেলভালকার কুলির সাহায্যে এইরূপ একটি সুন্দর পাথরকে উদ্ধার করিয়া মন্দিরের কাছে রাখিলেন । আজ স্নান পূজা ও দর্শনের খুব ভিড় । সকলে উৎসবসজ্জায় সাজিয়াছে । হরিদ্র ও কমল রঙের রেশম বস্ত্রের উপর রোদ লাগিয়া বনশীকে উজ্জল করিয়া তুলিয়াছে। এক জায়গায় ভূমি-আসনে সারি সারি মাতুম পাত পাতিয়৷ সুইতে বসিয়াছে । রাজ-অতিথিদের জন্য র্তাবু থাটানো ও চায়ের ব্যবস্থা ইহারই মধ্যে কোনো রকমে করা হইল, যদি ৪ তাহার প্রয়োজন ছিল না । সেণ্ট নেহাল সিংহ মহাশয় মন্দির, কুণ্ড ও যাত্রীদের কয়েকখানি ছবি তুলিলেন । যুবরাণার এবং আমাদেরও মন্দিরের সিডিতে বসিয়া ছবি তোলা হইল। সমাধিস্থানটির অনেক নীচে পঞ্চগঙ্গাতীর্থ। তীর্থ দেখিয় আমরা আবার অতিথিশালায় ফিরিলাম । ফিরিবার পথে শহরের ভিতর দিয়া গেলাম। ভিতরের পথগুলি গলির মত সরু সরু । এখানে বৈদ্যুতিক আলো এবং জল সরবরাহের ভাল ব্যবস্থা আছে শুনিলাম। ভোরের দুই তিন মাইল দূরে Lloyd Dam নামক একটি প্রকাগু বাধ আছে। নীরা প্রভৃতি দুই তিনটি - নদীর জলকে বাধ দিয়া বাধিয়া জল সরবরাহের জন্য একটি বিরাট হ্রদ করা হইয়াছে। আমরা বাধটি দেখিতে গিয়া লোহার শিক, কাঠের টুকরা প্রভৃতির অতি ক্ষণভঙ্গুর সেতু পার হইয়া কোনো রকমে বাধের কাছাকাছি আসুিলাম । সেই সেতু হইতে জলে পড়িতে বেশী অসাবধান হইতে হয় না। বাধটি পাহাড়ের মত উচু, ঘাড় ফিরাইয়া-উপর পৰ্য্যস্ত দেখা শক্ত । তাহার গ বহিয়া “অল্প অল্প জল ঋরিতেছে, উপরে ছোট রেল লাইন আছে পাদদেশে বসিয়া উপরে যাইবার সখ মিটয়া গেল। কেহই যাইতে {tصصيدا جة রাজি হইলেন না। সেইখানেই ঘাসের উপর শুইয়। বিশ্রাম আরম্ভ করিলেন। অগত্য। এতদূর আসিয়া হদ দেপিতে পাইলাম না। শুনিলাম পৃথিবীতে এত বড় বাধ বেশী নাই । ইহ। সেখানকার লোকদের মত । আজ সন্ধ্যায় রাজদরবার । এখানে চারণদের গান, শঙ্করজীর কথা, বক্তৃত৷ ইত্যাদি হইবে । পুনা হইতে বহু গণ্যমান্য ঐতিহাসিক ইত্যাদি আসিয়াছেন । আমার সভায় যাইতে একটু দেরী হইয়াছিল। দ্বিতলে অন্তঃপুরের ভিতর দিয়৷ চলিলাম। বড় বড় হলের পর হল । একটি প্রকাণ্ড ঘরে পেশোয় রীতিতে সারি সারি কালো কাঠের কারুকার্য্যখচিত থাম, তাহার গায়ে পন্থ সচিবদের এবং ইউরোপীয় রাজপ্রতিনিধিদের চিত্র । সেগুলি পার হইয়। বপূরাণীর মহলের নিকট গেলাম। বঙালী মহিলাকে দেখিয়া অন্তঃপুরিকাদের ভিড় লাগিয় গেল, ছোট ছোট বরাদ, জানাল, দরজা সৰ্ব্বত্র মাতুষের মুখ । বধুরাণী তাহাদের কৌতুহল চরিতার্থ হইবার আগেই বিদায় করিয়া দিলেন । এই মহলে ছোট একটি বারান্দায় লেসের পরদার আড়ালে আমাদের বসিবার জায়গ| মিসেস্ সিংকেও এইখানে বসানে হইল । যুবরাণী মাথায় ঘোমটা দেন না এবং এদেশে পদ-প্রথা নাই, তবু বোধ হয় রাজদম্মানের জন্য বরাদায় পদ দেওয়া হষ্ট্ৰাছিল। নীচে প্রকাগু দরল রপ্রাঙ্গণে ঝাড়লখনের নী,*\বদিয়াছে। মাটির উপর গদিও জরির * সাহেব ও তাঙ্গর তিন পুত্র, পাশেই সভাস্থ কাহারও উচ্চাসন নাই, o: দুই চারিজন অধ্যাপক মুম্বু রঙীন মারাঠা জরিদার টুপি । চারিট হলুদ কমুলুA্যসূত্নাছে । বেশভূষা অনেকের দীনজনোচিত,N_A সেলার পর উজ্জল লাল ও জরি দেওয়া টুপি পরায় সভাস্থ সNলরই প্রায় শিরোভূষণ রাজেচিত দেখাইতেছিল। দৃষ্টিতে মনে হয় বড় বড় পাগড়ি। মতার কাজ বেশ হইল। পরদিন আমাদের বিলায়ের পালা। সং

  • ś