পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ولاسواح ఏ55ఉు সম্ভাষণাদির পর যুবরাণী সোনার থালায় সোনার হংসগর্ভ কৌটায় সিন্দুর এবং অন্য স্বর্ণ পাত্রে চন্দন, ঘি, পান সুপারি মশলা ও সুগন্ধি ফুল দিয়া বরণ করার মত করিয়া আমাকে শুভ ইচ্ছা জানাইলেন, চনান সিন্দুর পরাইয়। হাতে একটি জরির চেলির কাপড় দিলেন, আতর দানে করিয়া আতর ছিটাইয়া দিলেন । এই দেশীয় প্রথাটি মনোরম লাগিল। সকল অতিথিকেই মশলা ও সুগন্ধি ফুল দেওয়া হইল। তারপর বাগানে আমাদের অনেকগুলি ছবি তোলা হইল। দ্বিপ্রহরে পুনায় আসিয়া বেলভালকার মহাশয়ের বাড়ি আহারাদি হইল । পুরণপুরী নামক পুব দেওয়া লুচি আশ্চৰ্য্য স্বস্বাদু। তারপর বাজারে শাড়ী, গহনা, খেলনা ইত্যাদির দোকান দেখিতে গেলাম। দোকানগুলি সাদাসিধা, এখানে সব শাড়ীই সুন্দর রঙীন এবং আঠারে। হাত লম্বা । শাড়ীর দাম খুব সস্ত, গহনা বেশীর ভাগ বিলাতী ধরণের কিছু কিছু দেশীও আছে। শাড়ীগুলি একেবারে স্বদেশী রীতিয় । দেশী খেলন সবই প্রায় কাশীর । পথে শিবাজীর প্রকাগু স্মৃতিসৌধ দেখিলাম, বাগানের মধ্যে ঘোড়ার পিঠে শিবাজীর সুন্দর মূৰ্ত্তি । সন্ধ্যার পূর্বেই বিদায় লইয়া বোম্বাই ফিরিতে হইবে । অধ্যাপক-গৃহিণীও দেশীয় প্রথায় সিলুর চন্দ্র বস্থাদি উপহার দিয়া আমাকে বিদায় দিলেন। £. * বৈদ্যুতিক ট্রেনে বোম্বাই চলিলাম। পুনা হইতে বোম্বাইয়ের পথ আশ্চর্য্য সুন্দর। পাহাড়ের ভিতর দিয়া কত বিরাট গম্ভীর অপূৰ্ব্ব পাৰ্ব্বত্য দৃশ্ব দেখিতে দেখিতে চলিলাম। উন্নত গম্ভীর পর্বতশিখরের পিছনে সূৰ্য্যাস্তের রক্তচ্ছটা ছড়াইয়া পড়িল, আঁধারে আলোয় কোলাকুলি । অনেক পাশ্চাত্য ভ্রমণকারীরা বলেন, বোম্বে পুনার মধ্যবর্তী পথের মত স্বমহান পাৰ্ব্বত্য সৌন্দর্ঘ্য জগতে কোথাও দেখা যায় না। নিবিড় অন্ধকারের স্তুপের মত পাহাড়ের ফাকে ফঁাকে যখন বহু দূরব্যাপী উদার আকাশের স্বচ্ছতা দেখা যায় তখন সে আশ্চৰ্য্য রূপের বর্ণনা করিবার ভাষা পাওয়া যায় না । ট্রেন ঝড়ের মত ছুটতে লাগিল, স্থির হইয় বসা যায় না। পাহাড়গুলির ভিতর এত স্থড্রঙ্গ যে একট। দুগু দেখিয় শেষ করিতে না করিতে আর একটা সুড়ঙ্গে ঢুকিয় পড়িতে হয়। আমাদের সঙ্গে অনেকগুলি পাশী সহযাত্রী ছিলেন । অনেকগুলি মেয়েই আশ্চৰ্য্য সুন্দরী । বাঙালীর দৈহিক সৌন্দর্য্যের বড়ই অভাব। এদিককার সব মন্দিরই পঞ্চগঙ্গার মন্দিরের মত দেখিতে। বোধ হয় পেশোয়ারীতিতে এইরূপ মন্দির রাত্রি ৯টায় বোম্বাই ছাড়িয়া কলিকাতা রওন। হইলাম । আঠার দিনের পক্ষে ভারত ভ্রমণ নিতান্ত কম হয় নাই । অবশ্ব দেখা খুবই ভাসা ভাসা হইল । ই ই ত |