পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ গীত ༢༠ཙ ངེད་ ষ্ট্রীবরূপে ভগবান আবিভূত হন তাহাকে ভগবানের অবতার বলা হয়। ভগবানের অবতার সাধারণের পূজা পাইয়া থাকেন। রামচন্দ্রকে ভগবানের অবতার মানিয়া সাধারণে এখন পর্য্যন্ত র্তাহার পূজা করিতেছে। শ্ৰীকৃষ্ণকেও অবতার বা পূৰ্ণব্রহ্ম বলা হয় । তিনি স্বয়ং অবতারতত্ত্ব সম্বন্ধে কি বলিয়াছেন তাহ বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। ভগবান নিজে নিত্য-শুদ্ধ-বুদ্ধ-মুক্তস্বভাব তিনি কি করিয়া বদ্ধ জীবের আকার ধরিয়া নিজেকে বন্ধনের মধ্যে ফেলিতে পারেন এই প্রশ্নের উত্তরে আচাৰ্য্য শঙ্কর বলিতেছেন—“তিনি মায়াপ্রভাবে যেন দেহবান হন, যেন তিনি জন্মগ্রহণ করেন, যেন তিনি লোকনিবহের প্রতি অনুগ্রহ করিতেছেন এইরূপে লোকে তাহাকে বুঝিয়া থাকে" ( প্রমথনাথ তর্কভূষণ কর্তৃক অনূদিত)। শঙ্কর-ব্যাখ্যাই অবতারবাদের সাধারণ প্রচলিত শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা । এই ব্যাখ্যা মানিলে বলিতে হয় তুমি আমি যেভাবে জন্মগ্রহণ এরিয়াছি প্রকৃষ্ণ সেভাবে জন্মেন নাই। বাস্তবিক তাহার জন্মই হয় নাই ; শ্ৰীকৃষ্ণ বলিয়া কেহই ছিলেন না। ভগবানের বৈষ্ণবীমায়ার প্রভাবে মহাভারতের যুগের ব্যক্তিগণের মনে হইত যেন বা শ্ৰীকৃষ্ণ আছেন যেন বা তিনি অৰ্জ্জুনের রথ চালাইতেছেন, যেন বা তিনি গীতার উপদেশ দিতেছেন ইত্যাদি ।. এরূপ ব্যাখ্যায় কতকগুলি সন্দেহ মনে উঠিবে। অদ্বৈতবাদীর মতে পরব্রহ্মই একমাত্র সত্ত্বা,র্তাহারই মায়াপ্রভাবে জগৎপ্ৰপঞ্চ প্রতীয়মান হয়। যখন জীবের মায়ানিবৃত্তি হয় তখন এক ও অদ্বিতীয় পরমব্রহ্মে চরাচর দান হইয়া যায়। জীবের জন্মগ্রহণ মায়িক ব্যাপার মাত্র । সাধারণ জীবের জন্মগ্রহণে ও অবতারের জন্মগ্রহণে মায়িক পার্থক্য কোথায় শঙ্করের ব্যাখ্যায় তাহা পরিস্ফুট নহে । শকুষ্ণ নিজের জন্মব্যাপার যে অন্য জীবের জন্মব্যাপার হইতে ভিন্ন এমন বলেন নাই। ৪৬ গ্লোকে বলিতেছেন "আমি অজ শাশ্বত ও ভূতসমূহের ঈশ্বর হইলেও স্বীয় প্রকৃতিতে অধিষ্ঠিত হইয়া নিজমায়া অবলম্বনে জন্মগ্রহণ করি। ১৩২ শ্লোকে বলিয়াছেন মামাকেই সমুদয় ক্ষেত্রে ক্ষেত্ৰজ্ঞ বলিয়া জানিবে ; অতএব সকল ক্ষেত্রেই ভগবানই জন্মগ্রহণ করেন । ১৩:২১, ২২, ২৩ গেীকে বলা হইয়াছে প্রকৃতিতে অবস্থিত বলিয়। পুরুষ পদৰ্থ নিচয় ভোগ করেন ও জন্মগ্রহণ করেন, কিন্তু এই দেহে থাকিলেও তিনি দেহু হইতে ভিন্ন। তিনি অম্বুমস্তা, ভৰ্ত্তা, ভোক্তা, মহেশ্বর এবং তিনিই পরমাত্মা | যিনি এই তত্ত্ব জানেন তাহাকে জন্মগ্রহণ করিতে হয় না । অবতারতত্ত্বের ব্যাখ্যায় ৪/৯ শ্লোকে বলিয়াছেন যিনি আমার দিব্য জন্মকৰ্ম্মের তত্ত্ব অবগত হন তাহার পুনর্জন্ম হয় না, তিনি আমাকেই পান। ১৩ ও ৪ অধ্যায়ের এই শ্লোকগুলির আলোচনায় বুঝা যাইতেছে যে, শ্ৰীকৃষ্ণ নিজের জন্মব্যাপার ও অন্য জীবের জন্মব্যাপার একই ভাবে দেখিয়াছেন। ৪৫ শ্লোকে বলিতেছেন, “হে অৰ্জ্জুন, তোমার ও আমার অনেকবার জন্ম হইয়াছে, কেবল পার্থক্য এই যে, তোমার তাহা মনে নাই আমার আছে। অবতার ন হইলেও জাতিস্মরত সম্ভব, কাজেই শ্ৰীকৃষ্ণের জন্ম অৰ্জ্জুনের জন্মের অনুরূপ নহে প্রমাণিত হয় না বরং উভয়ের জন্মই একই প্রকারের ইহাই মনে হয়। গীতআলোচনায় মনে হয় যে, শ্ৰীকৃষ্ণ সাধারণ অবতারতত্ত্ব মানিতেন না। যিনি সমাজ-ধৰ্ম্ম রক্ষা করেন শ্ৰীকৃষ্ণ র্তাহাকেই অবতার বলিয়াছেন । ৪ অধ্যায়ের ব্যাখ্যাকালে ইহা পরিস্ফুট হইবে। অবতার তত্ত্বও তপ, যজ্ঞ ইত্যাদির ন্যায় শ্রীকৃষ্ণ পরবর্কিত আকারে গ্রহণ করিয়াছেন। কপিল সাংখ্য-কাপিল সাংখ্যবাদের সহিত শ্ৰীকৃষ্ণের ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল একথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। অধুনা দার্শনিক তত্ত্ব বলিলে আমরা যাহা বুঝি গীতার বিজ্ঞান শব্দ সেই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে। শ্ৰীকৃষ্ণের অনুমোদিত বিজ্ঞান মূলতঃ কাপিল সাংখ্যবাদ, কেবল প্রভেদ এই যে কৃষ্ণ পুরুষ ও চতুৰ্বিংশতি তত্ত্বকে ব্রহ্মের অন্তর্গত স্বীকার করিয়াছেন । এই ব্ৰহ্ম উপনিষদের ব্রহ্ম। প্রকৃতি ও পুরুষ সমুদায় ব্রহ্মে প্রতিষ্ঠিত। প্রকৃতি ব্রহ্মেরই মায়াশক্তি এবং প্রতিদেহস্থিত পুরুষ মূলতঃ পরমাত্মার সহিত অভিন্ন । + भांब्रांड़ अकृठिर दिछोश्रांद्रिनख् ऋश्द्रम् । তস্তাৰয়ৰভূতৈত্ত্ব ব্যপ্তং সৰ্ব্বমিদং জগৎ । খেতাশ্বতর, ৪।১• । অর্থাৎ মায়াকেই প্রকৃতি বলিয়া জানিবে এবং वर्षी९ थाश হইতে মায়ার উৎপঞ্চি, তিনিই পরমেশ্বর। ওঁাহার દ્વાર সমস্ত জগৎ পরিব্যাপ্ত রহিয়াছে। - " ;