পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ { মহারাণ। প্রতাপসিংহ, s১৫ সম্রাট আকবর কর্তৃক চিতোর-দুর্গ অধিকারের পর মহারাণ। উদয়সিংহ চার ੀ জীবিত ছিলেন । খৃষ্টাব্দের ২৮-এ ফেব্রুয়ারি গোগুন্দা গ্রামে তাহার দেহান্ত হয়। র্তাহার বিশ জন রাণী এবং তাহদের গর্ভজাত পচিশটি পুত্র ও বিশটি । X (: 33 ৪৭ দ গু ১৩ হইয়াছিলেন । আশ্চর্য্যের বিষয়, মহারাণ। উদয়সিংহের রাজত্বকাল ঘটনাবহুল হইলেও তিনি বাচিয়া থাকিতে কুমার প্রতাপ সিংহ বত্রিশ বৎসরের পল গতে কুমার প্রভাপসিংহ ভূমিষ্ঠ কন্তু ছিল ; তাহার সন্তানদের মধ্যে সৰ্ব্বজ্যেষ্ঠ ছিলেন কুমার প্রতাপসিংহ। পলাতক উদরসিংহ কু স্তু লমীর বা কমলমীর দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করিবার এক বৎসর পরে অর্থাং ১৫৩৭ খৃষ্টাব্দে, মাড়বার-রাজ্যের অন্তর্গত পালির সামন্ত চৌহান অথৈরাজ সোনগরীর কন্যার সহিত র্তাহার প্রথম বিবাহ হয় । বিবাহের তিন বৎসর পরে চৌহান কুমারীর গর্ভে—সম্ভবত: কুন্তলমীরদুর্গে প্রতাপসিংহের জন্ম হয়। প্রতাপের জন্মতারিখ সম্বন্ধে কিঞ্চিং , ম ত ভে দ অা ছে | یہ , ..s مسند ھ جب یہ بچہ. মেবারের অপ্রকাশিত ইতিহাস ‘বীর-বিনোদ-প্রণেতা খামলদাসজী প্রতাপের জন্ম ১৫৯৬ বিক্রম সম্বং, জ্যৈষ্ঠ শুক্ল|রয়োদশী নির্দেশ করিয়াছিলেন । কয়েক বৎসর হইল অক্লান্তকৰ্ম্ম। ঐতিহাসিক মহামহোপাধ্যায় গৌরীশঙ্কর ওঝ আজমেরের চণ্ডু নামক এক জ্যোতিষীর কাছে রাণা প্রতাপের জন্ম-কোষ্ঠী আবিষ্কার করিয়াছেন । গৌরীশঙ্করঞ্জী ছাড়া অন্য কেহ একথা বলিলে আমরা ইহাকে "ভৃগু-সংহিতা’র গণনার মত সন্দেহ করিতাম। এই কোষ্ঠী অনুসারে ১৫৯৭ বিঃ সঃ জ্যৈষ্ঠ শুক্লাতৃতীয় রবিবার (৯ই মে, ১৫৪৬ খু: ), স্বর্ষ্যোম্বের, মহারাণা প্রতাপসিংহ | মধ্যে বীরত্ব ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেওয়ার কোন সুযোগ লাভ করেন নাই । বস্তুত: প্রতাপের পূৰ্ব্বজীবনে এই বত্রিশ বৎসরের মধ্যে ইউরের রাও না রায় ণ দাস রাঠোরের কন্যার সহিত বিবাহ এবং এই স্ত্রীর গর্ভে প্রথম পুত্র অমরসিংহের জন্ম (১৬ই মার্চ, ১৫৫৯ খৃ: ) ব্যতীত যেন উল্লেখযোগ্য কিছুই ঘটে নাই। মহারাণ উদয়সিংহ কনিষ্ঠ৷ ভাটরাণীর প্রতি অত্যস্ত আসক্ত ছিলেন । এই জন্য তিনি এই রাণীর গর্ভজাত জগমালকে তাহার উত্তরাধিকারী নিৰ্ব্বাচন করিয়া

      • * * -

ছিলেন। শিবাজী ও শের শীর মত রাণ। প্রতাপও বোধ হয় পূৰ্ব্বজীবনে পিতার অবিচার ও তাচ্ছিল্য এবং বিমাতার ঈর্ষায় অনেক বিড়ম্বনা ভোগ করিয়া ছিলেন। মহারাণী উদয়সিংহের প্রতি অন্যান্য পুত্রগণ বিরক্ত ও অসন্তুষ্ট ছিলেন। পিতার ব্যবহারে ক্রুদ্ধ হইয়া অমর্যপরায়ণ শক্তসিংহ মেবার ত্যাগ করিয়া সম্রাট আকবরের নিকট চলিয়া গেলেন (১৫৬০ খৃ: ) ; ইহাই আকবর-কর্তৃক চিতোর-জ্ঞাক্রমণের অন্যতম কারণ । মাঠনি তিনি নিৰ্বপিত ১২শ