পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ \ ষোগাযোগ ২২৩ কিন্তু মধুসুদন মহাসমারোহে লিজর লোকজন দিয়ে এক মধুপুরী নিৰ্ম্মাণ করিয়ে ঐশ্বৰ্য্যের রাজসিক আড়ম্বরে চাটুজ্জেদের উপর টেক্কা দিতে লেগে গেল। সে বিপ্রদাসকে খাটো করে নিজের বাহাদুরী নেবার যত রকম চেষ্টা করে তাতে কুমুদিনীর কষ্ট হয় । চাটুজ্জের যখন মধুসূদনের ঐশ্বর্ঘ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারছিল না, তখন তারা মধুসূদনের বংশমর্য্যাদার হীনতা নিয়ে তাকে খোটা দিতে লাগল, তবু কি পরাজয়ের গ্লানি মিট্‌তে চায় ? মধুসূদনের জাতকুলের কথাটাকে কুমুদিনী তার ভক্তি দিয়ে চাপ দিয়েছিল। কিন্তু মধুসূদনের ধনের বড়াই ক’রে শ্বশুরকুলকে খাটো করার নীচত। দেখে তার মন বিষাদে ভরে উঠ ল । ঘোষালদের লজ্জায় আজ যেন ওরই সব চেয়ে বেশী লজ্জ।। কুমুদিনী দাদার সামনে এসেই কেঁদে ফেলে, বিপ্রদাস বলেন— “কুমুদিনীর মনে যদি কোনও খট্কা থাকে, তবে তিনি বিয়ে এখনও ভেঙে দিতে পারেন।” কুমুদিনী বললে—“ছি ছি সে কি হয়।" এখন থেকে কুমুদিনী মনে মনে জোরের সঙ্গে জপতে লাগল, তিনি ভালই ঙ্গেন মনাই হোন তিনি আমার পরম গতি । কিন্তু মধুসূদনের ব্যবহার ক্রমশঃই অভদ্র উদ্ধত হয়ে উঠতে লাগল। কুমুদিনীর ভাবে তার বাস্তবে দ্বন্দ্ব বেধে গেল । বাল্যকালে যখন সে পতিকামনায় শিবের পূজা করেছে, তখন পতির ধ্যানের মধ্যে সেই মহাতপস্বী শিবকেই দেগেছে । সাধী নারীর আদর্শ রূপে সে আপন মাকেই জানত—কি স্নিগ্ধ শান্ত কমনীয়ত, কত ধৈৰ্য্য, যদিও তীর, স্বামীর দিকে ব্যবহারের ক্রটি ছিল, চরিত্রের স্থলন ছিল । দময়ন্ঠীর মতন তারও মনের মধ্যে কি নিশ্চিত বাৰ্ত্ত এসে পৌঁছেনি যে মধুস্বদনকেই তার বরণ করতে হবে ? বরণের আয়োজন সব প্রস্তুতই ছিল, রাজাও এলেন, কিন্তু মনের মানুষের সঙ্গে বাহিরের মানুষের মিল হ’ল কই ? রূপেতেও বাধে না, বয়সেও বাধে না, কিন্তু সত্যকার রাজা কোথায় ? বিবাহ হয়ে গেল । বিপ্রদাস অসুখে শয্যাগত, তিনি মধুসূদনের অভদ ব্যবহারের কোনও খবরই পেলেন না। কুমুদিনী শুভদৃষ্টির সময় ভাল ক'রে বরের দিকে চাইতেই পারলে না, মধুসূদনের ব্যবহারে তার কেমন ভয় ধ’রে গিয়েছে । মধুসূদন দেখতে কুত্র নয়, কিন্তু বড় কঠিন । কালো মুখের মধ্যে মস্ত বড় বাক নাক। প্রশস্ত কপাল, ঘন জ। গোপাড়ি কামানে, ঠোট চাপ, চিবুক ভারী, কড়া চুল কাফ্রিদের মত কোড়, মাথার তেলে ঘেসে ছাট। খুব আঁটপাট শরীর, কেবল দুই ব্লগের কাছে চুলে পাক ধরেছে। বেটে, মাথায় প্রায় কুমুদিনীর সমান। হাত দুটো রোমর্শ, দেহের তুলনায় খাটে। সবত্বন্ধ মনে হর মানুষটা একেবারে নিরেট, মাথা থেকে পা পৰ্য্যন্ত সৰ্ব্বদাই কি একটা প্রতিজ্ঞ যেন গুলি পাক্ষিয়ে আছে। যেন ভাগ্যদেবতার কামান থেকে নিক্ষিপ্ত হয়ে একাগ্রভাবে চলেছে একটা একগুঁয়ে গোলা। দেখলেই বোঝা যায় বাজে কথা, বাজে বিষয়, বাজে মানুষের প্রতি মন দেবার ওর একটুও অবকাশ নেই। মধুসূদনের সাজট ছিল বিচিত্র, বাড়ির চাক্ষরদাসীরা অভিভূত হবে এমনতর বেশ-ডোরাকাটা বিলিতি শার্টের উপর একটা রঙীন ফুলকাটা লিঙ্কের ওয়েষ্ট-কোট, কাধের উপর পাটকর চাদর, বড়েৰ্কোচানো কালাপেড়ে শান্তিপুরে ধুতি, বালিশ-কর কালে দর্ধারী জুতো বড় বড় হীরেপান্নাওয়াল আঙটিতে আঙ্গুল ঝলমল করছে । প্রশস্ত উদরের পরিধি বেষ্টন করে মোট সোনার ঘড়ির শিকল, স্থাতে একটি লেখীম লাঠি, তার সোনায় হাতলটি হাতীয় মুণ্ডের আকাজে মালা" জহরতে খচিত । প্রথম মিলনেই বরবধুর বিচ্ছেদ অরু হ’ল। ফুলশয্যায় রাত্রে কুমুদিনী লজ্জাকম্পিত কণ্ঠে স্বামীর কাছে প্রার্থন জানালে তার দাদার অসুখ, তার দুটে দিন সে কাপের বাড়িতে থেকে ধেতে চায়। তার প্রার্থন না-মঞ্জুর হ’ল। কলকাতায় নেমেই এক গাড়ীতে যেতে যেতে মধুসূদন দেখলে কুমুদিনীর হালে একটা নীলার আংটি। অমনি সে হুকুম করলে এ আংটি তার আর পরা চলবে না। মধুসূদন কেবল কুমুদিনীর আংটি খুলিয়েই নিরস্ত হ’ল না, তার দাদার দেওয়া আংটিটাকে সে কেড়ে নিলে । কুমুদিনী স্বামীর কাছে কেবলই হুকুম শোনে, ঐতির পরিচয় পায় না । আর সে ভাবে---"যেমন ক’রে অভিসারে বেরোয় তেমনি ক’রেই বেরিয়েছি, অন্ধকার রাত্রিকে অন্ধকার ব'লেই মনে হয় নি । আঞ্জ আলোতে চোখ মেলে অস্তরেই বা কি দেখলুম, বাইয়েই বা কী দেখছি ? এখন বছরের পয় বছর, মুহূৰ্ত্তের পর মুহূৰ্ত্ত কাটুবে কি ক’রে " এতদিন কুমু স্বামীর বয়স বা রূপ নিয়ে কোনও চিন্তাই করে নি। সাধারণতঃ মে-ভালবাসা নিয়ে স্ত্রী-পুরুধের বিবাহ সত্য হয়, বীর মধো রূপ গুণ দেহমন সমস্তই মিলে আছে, তার যে প্রয়োজন আছে একথা কুমুদিনী ভাবেও নি। এখন সে যে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বামীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারছে না তা মনে হচ্ছে মহাপাপ, কিন্তু সে পাপেও তার তেমন ভয় হচ্ছে না যেমন হচ্ছে শ্রদ্ধাহীন আত্মসমর্পণের গ্লানির কথা মনে ক’য়ে । মধুসূদনের বাড়ির মেয়েদের কাছ থেকেও কুমুদিন বিশেষ কোনও মমত পেলে না, তারা সবাই তার কেবল সমালোচনাই করে। এই মেয়েলী সমালোচনার বিবরণটি চমৎকার, তা আর উদ্ধার করলাম না। সেই বাড়িতে কেবল মধুসূদনের ছোটভাই নবীন আর তার স্ত্রী মোতির মা কুমুদিনীর প্রকৃত মর্যাদা বুঝে তাকে শ্রদ্ধা যত্ন করতে 羽f磷 1 মোতির মা কিন্তু এইটুকু বুঝতে পারে না স্ত্রী হয়ে স্বামীর কাছে আন্থোৎসর্গ করার মধ্যে বাধা কোথায় থাতে পারে। সে ভে। সেকেলে ধারণার বশীভূত গৃহস্থ-বধু। মধুসূদনের পক্ষে কুমু হ’ল একটি নুতন আবিষ্কার। স্ত্রীজাতির পরিচয় পার এ পর্যন্ত এমন অবকাশ এই কেজে মানুষের অল্পই ছিল। মধুসূদন মেয়েদের অতি সংক্ষেপে দেখেছে ঘরের বউ-ঝিদের মধ্যে। ওর স্ত্রীও যে জগতের সেই অকিঞ্চিৎকর বিভাগে স্থান পাবে, এবং দৈনিক গার্হস্থ্যের তুচ্ছতার ছায়াচ্ছন্ন হয়ে কৰ্ত্তাদের কটাক্ষ-চালিত মেয়েলী জীবন-বাত্র। অতিবাহিত করবে, এর বেশী সে কিছুই ভাবে নি। স্ত্রীর সঙ্গে ব্যবহার করধারও যে একটা কলালৈপুণা আছে তার, মধ্যেও যে একটা পাওয়৷ বা ছারাবার কঠিন সমস্ত থাকৃতে পারে, এ কথা তার হিসাব-দক্ষ সতর্ক মস্তিষ্কের কোণে স্থান পায় নি। মধুসুদন তার অবচেতন মনে নিজের অগোচরে কুমুদিনীকে একরকম অস্পষ্টভাষে নিজের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বোধ করতে লাগল। কিন্তু মধুসুদনও স্বামীগিরির সেকেলে ধারণাই মনে পুষে এসেছে, আর তার উপরে জাবার সে সকলের উপর প্রভুত্ব করে অভ্যস্ত, সে স্বামী, ‘সকলের উপরে, এ বোধ তার অস্থিমজ্জাগত হয়ে আছে । তাই সে গুৰিলে-জুমিই যে ওর একমাত্র, একথাটা যত শীঘ্ৰ হোক কুমুদিনীকে জানান দেওয়া চাই। चाभैौजवादशप्त्व कूजूक्मिीत्र ¢क्-*ब्रिभाग कहे मी इलिहल, ठाब csएका বেশী কষ্ট বোৰ হছিল তার নিজের কাছে মিজের অপমানে । এটু কষ্টট। বুঝতে পেয়েছিল মেডির স্বা। লে ভাবলে—আমাদের ধর্ষণ ধিয়ে DDBB BBB BBB BB BB BB BBBS DD DDB BDH HHBD ছিল সী। কিন্তু কুরি নীে বলে লেখাপড় দণ্ডী ।