পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ শোক-সংবাদ ২৪৫ সিন্ধুবাবু চকিত হইয়া উঠিলেন, আড়ামোড়া ভাঙিতে ভাঙিতে বলিলেন—“আঃ, লোকটা এ-রকম ধুকপুকুনির মধ্যে ফেলে আর কত জালাবে ?” টেলিফোন ধরিলেন—“হ্যাল্লো !” “আর কত দেরি মশাই ? পনেরটি হাজার কপি ছাপতে হবে, তার খোজ রাখেন ? এদিকে রাত যে ফুরিয়ে এল !” সিদ্ধেশ্বরবাবু উত্তর করিলেন—“কি করি বলুন ? এখনও রয়েচে টেকে। ঠেঙিয়ে’ ত মারতে পারি না । মাঝে একটু বাইরে গিয়েছিলাম—হঠাৎ কান্ন উঠল । এসে তাড়াতাড়ি টেলিফোনটি ধরতে যাব—হঠাৎ সব একেবারে চুপচাপ । এরা যেন দিব্যি এক খেলা পেয়ে গেছে...” “তাই বটে, আর আমাদের এদিকে প্রাণ যায়। তা হ’লে একটা টাল গেচে বলুন ? আমি ত বলি—দিই না চড়িয়ে, আর টেকবে না ; আমাদের ছাপা হ’তে হ’তে সাবড়ে যাবে।” “আর একটু দেখুন—একেবারে দৈব ব্যাপার কি না—না আঁচালে বিশ্বাস নেই।” “—দুৰ্দৈব ! এ রকম তীর্থের কাকের মত আশায় আশায় বসে থাকা চডিখানি কথা মশাই ?” “নয়ই ত। কিন্তু কে শুনচে বলুন ?” “এ যেন সেই মাখন ভট্টচাষের গঙ্গাযাত্রার মতন হ’ল । সাতটি দিন মাঘের শীতে গঙ্গার ধারে বসিয়ে রেখেছিল মশাই! না পারি ফিরতে, না পারি...” “থামুন, থামুন—ঐঃ, আবার কান্না উঠল ।” “সত্যি না কি ? জয় সিদ্ধিদাতা–তাহলে দি চড়িয়ে ?” সিন্ধুবাবু ত্বরিত ভাবে বলিলেন—“একটু সৰুর করুন, দেখে আসি আসল কি মেকী" বলিয়া রিসিভারটা রাখিয়া বাহির হইয়া গেলেন। একটু পরে ফিরিয়া আসিয়া দীর্ঘস্বরে, নিরুৎসাহভাবে ডাকিলেন—“হ্যা—ল্লো !” “কি সংবাদ ” “না, ভুয়ো। মুসৌরী থেকে এক মেয়ে এইমাত্র এসে পৌছল। ‘বাবা গো ! কোথায় গেলে গে৷ ” করতে করতে হুড়মুড়িয়ে ওপরে উঠে গেল। সব সন্থ, নেকামি সইতে পারিনে মশাই..ঐ ত বাবা জলজ্যাস্ত রয়েছে রে বাপু !” “আর এ-রকম ছিচর্কাজুনে ক’টি মেয়ে বাইরে রয়েছে খোজ নিলেন ? যত্তো সব...” খুটুখুটু করিয়া দুই তিনটা বিরতির আওয়াজ হইল । সিন্ধুবাবুও রিসিভারটা টঙাইয়া রাখিলেন । ডাকিলেন— "দাদা –ও দাদা ” ‘দাদা’ বলিতে ডিসপেন্সারির কম্পাউণ্ডার বাবু। এই ঘরটিতেই এক কোণে ক্যাম্প থাটে নিদ্রিত আছেন । ভালমানুষ গোবেচারী গোছের লোক। একটু বয়স হইয়াছে। কাজে অত্যন্ত নারাজ–গল্পে খুব দড় । কখনও হুক আর চায়ে এলেন না । এই-সব মজলিসী গুণের সমাবেশে সরকারী দাদা হইয়া বসিয়াছেন । আরও ছ-সাত বার ডাকাডাকির পর জড়িত কণ্ঠে উত্তর দিলেন—“এই যে জেগেই রয়েচি ৷ যমের দোরে ধন্না দেওয়া এখনও শেষ হ’ল না ?—কি খবর ওদিকে ?” “খবর সেই একঘেয়ে—মাঝে মাঝে শুধু দ্যায়লা হচ্ছে।...আমি ত আর ঠায় ব’সে থাকতে পারিনে দাদা, চোখ জুড়ে আসচে।” “এক এক কাপ হয়ে যাক না, ক্ষতি কি ?” “সেই জন্তেই ত আপনাকে কষ্ট দেওয়া—আর স্পিরিট আছে ?” "না। কেন, বোতলে ত অনেকখানিকটা ছিল— কি হ’ল ?” "এর মধ্যে ষে চারবার ক্টোভ জালা হয়ে গেছে ; আর বোতলগুলোর একটা দোষ লক্ষ্য করেচেন ? যতক্ষণ বেশ সাবধানে ‘বাপু বাছা' বলে আস্তে আস্তে ঢালবার চেষ্টা করবেন–কিছুতেই পড়বে না।--তখন ভয়ানক রাগ ধরে—ধরে কি না বলুন না 7.ম্পিরিট ত ছিল অনেকখানিই—এখন ত বোতলটা খালি !”

  • তাহ’লে --দোকানের ইকু খালি, দিয়েছিলাম ; কাল না আনলে****

“তবেই ত -এক কাজ করব না হয় ?” "নক্ষরছি এষ্ট্রর ছয় ৰাসায় চলে । চা ৰ’লেই