পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪৮ প্রিবাসী f S99ఉు হকাররা অন্তদিনের ডবল, তিনগুণ কাগজ লইয়া নিজ নিজ এলাকার পানে ছুটিল । দেখিতে দেখিতে বেলা সাতটা পৰ্য্যস্ত কলিকাতা শহরে খবরটা বেশ ভাল করিয়া ছড়াইয়া পড়িল । ততক্ষণে অন্য দু-একথানা ইংরেজী বাংলা মৰ্ণিং পেপার ও আসরে নামিয়াছে। & বেল ছয়টা হইলে সিদ্ধেশ্বরবাবু হাতে থার্মোম্যাস্কট ঝুলাইয়৷ ডিসপেনসারিতে প্রবেশ করিলেন। টেবিলের উপর রাখিয়া দিয়া বলিলেন, “আপনার চা ।.তারপর খবর কি ?” “হ’ল তোমার আধ ঘণ্ট। ... খবর ভাল নয় ; বুঝি এ যাত্রাট টিকেই গেল।” সিদ্ধেশ্বরবাবু একটু লজ্জিত হইয়া বলিলেন—“ন, ন। —বেঁচে যান সেই ভাল, অতবড় লোকটা . বেড়ানটুকুতে উণ্টে উৎপত্তি হ’ল দাদা ; সারারাত ঘুম হয়নি, তার ওপর শেষ রাত্তিরের মিঠে হাওয়’, বাড়ি পৌছতে পৌছতে চোখের পাতা পাহাড়ের মত ভারী হয়ে এল। বিছানায় এলিয়ে পড়ে বললাম—’নাও, শীগ গীর পাচ কাপ চ —এক্ষুনি বেরুতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে ঘুম। আপনার ভাদর বউও আর প্রাণ ধরে তুলে দিতে পারে নি-হাজার হোক, মেয়েমানুষের জাত ত ?...দেড়টি ঘণ্টা কোথায় দিয়ে যে কেটে গেল।.তারপরে হঠাৎ সেই সৰ্ব্বনেশে—ক্রিং-ক্রিং ক্রিং.." "সেখানেও টেলিফোন আছে নাকি ?” “টেলিফোন নয় । আপনার ভান্দর বউ চা তোয়ের করচে-বাসনের ঠোকাঠুকি, চুড়ির আওয়াজ –তাতে ত ঘুমই আসে মশাই। কিন্তু স্তাব হ'লে সবই হলদে দেখে কি না ?—আমার কানে বাজল—ক্রিং-ক্রিং-ক্রিং । মনে যে একটা ভয়ঙ্কর ধুকৃপুকুনি রয়েচে এদিকে—বুঝলেন নী কথাটা !--- তখন একটু রাগও হ’ল –কাজের সামনে পতিভক্তিটক্তি বুঝি না বাব-একটা বুড়ো লোককে জাগিয়ে সেখানে বসিয়ে এসেচি .একটু বকাবকি হ’য়ে গেল : মেয়েমানুষ, সহজে হটতে চায় না, জানেনই ত ... তারপরে, এদিকে আপিসের খবর কি ? ডাকটাক পড়েছিল ?” 尊 "গোড়ায় প্রায় তুমি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পড়েছিল। লোকটি বেশ রসিক হে। অনেকক্ষণ কথা চলল, তারপর তামাক পুড়ে যাচ্ছে ব'লে বন্ধ করলেন। ভাল কথা, বাড়িতে কোন জ্ঞাতব্য বিষয় জানতে গিয়েছিলে ন। কি ? জিগ্যেস করতে আমি বললাম কি না—তুমি আধঘণ্টার মধ্যেই ফিরবে ; তাইতে বললেন—জ্ঞাতব্য বিষয় সব জেনে-শুনে আসাই ভাল।.যাক্‌, সে আমার শোনবার দরকার নেই ; তবে কথাটা ভাল বুঝলাম না।” সিদ্ধেশ্বরবাবু একবার ওপর দিকে চাহিয়া একটু ভাবিয়া বলিলেন—“কই, জ্ঞাতব্য আর কি ?...এক ত এই ‘জ্ঞাতব্যের’ ফেরে পড়েছি,—দাড়ান, দেখি কি ব্যাপারটা ।” - “হু, বুঝুন একবার, আমি ততক্ষণ হয়ে আসি।” দাদা বাহির হইয়া গেলেন । সিদ্ধেশ্বরবাবু মাউথ-পিস্ট। তুলিয়া লইয়৷ ডাকিলেন "! rgiaچrgة چه ه ه"س-- এক্সচেঞ্জ হইতে জবাব আসিল—“এন্‌গেজড় ।” সিদ্ধেশ্বরবাবু টেবিলের উপর একটু তবলা বাজাইলেন, ফ্ল্যাস্কের দিকে চাহিয়া দাদা চার কাপই এক সাবাড় করিয়া দিবে, কি একটু আক্কেল করিবে চিস্তা করিলেন ; তাহার পর আবার যন্ত্রটা উঠাইয়া লইলেন । কনেকৃশন পাওয়া গেল ; মস্থর ভাবে ডাকিলেন— “হাল্পো –আমি সিদ্ধেশ্বর । কি খবর ?—কি করবেন স্থির করলেন ? এদিকে এখনও." - “খবর ত খুব ভাল ; পনের হাজার কাপির মধ্যে আর হদ হাজার দু-এক পড়ে আছে--রেকর্ড ডিমাণ্ড । আপনার ফুরসৎ হ’ল ? এ ঝোকে কত ছাপতে হৰে একটা পরামর্শ করতে হবে যে । আর নতুন মালমশলা কি পেলেন? আধঘণ্টার জায়গায় ত দ্ব-ঘণ্টা দ্ধে গেল ; থাটি খবরের জোগাড়ে আছেন ব’লে चांद्र রিং-আপ-ও করিনি।” * . কথাগুলো সিন্ধেশ্বরবাবুর কানে ষেন ੀਮੋ