পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ শোক-সংবাদ খাপছাড়া বোধ হইল ; চিন্তিতভাবে ভ্ৰদ্ধয় কুঞ্চিত করিয়া কহিলেন—“কি বলচেন ঠিক বুঝতে পরিচি না, আর একটু স্পষ্ট করে.” “আর টেলিফোনে স্পষ্ট ক'রে বুঝতে হবে না, আপনি চলে আসুন। টেলিফোনে ব’কে ব’কে সারা হয়ে গেছি। এই এক্ষুনি তিনটি লোকের সঙ্গে ত প্রায় ঝগড়াই হয়ে গেল। বলে—“আপনারা ঠিক জানেন ? বেশ ভাল ক'রে খবর নিয়েচেন ? খবরটা কনফারম করিয়ে নিয়েচেন যে তিনি মারা গেছেন ? বললাম—‘হঁ্যা—হঁ্যা-হঁ্যা মশাই,—আমাদের নিজের লোক স্বয়ং সাব-এডিটর প্রায় শিয়রে ব’সে.ন! ম’লে তিনি উঠতেই পারেন না...” শেষ করবার পূর্বেই হলধরবাবুর কানে চীৎকারের স্বরে বিস্মিত আওয়াজ হইল—“সে কি !” হলধরবাবু একটু থমকিয়া গেলেন , তাহার পর ভীত কণ্ঠে আস্তে আস্তে জিজ্ঞাস করিলেন--"সেকি মানে ?” "সেকি' মানে—তিনি মারা গেছেন আপনাকে কে ব’ললে ?” কয়েক সেকেও চুপচাপ, পরে উত্তর আসিল— “ আপনার কি রাতজেগে মাথা খারাপ হ’য়ে গেছে, সিধুবাবু ? তখন সময় নিয়েও একটা গোলমেলে কথা বললেন—একবার বললেন ‘আধঘণ্টাটেক হবে”—শুধরে বললেন ‘এক্ষুনি । এখন আবার ব’লচেন—“আপনি খবর দেন নি ।” “সময় নিয়ে ত কোন কথাই হয় নি আপনার সঙ্গে !” দাদা আসিয়া প্রবেশ করিলেন, বলিলেন—“আমার সঙ্গে একটু হয়েছিল বইকি ; তোমায় বললাম না ?” জিজ্ঞাসা করলেন—“কখন মুমতিটা হ’ল—তোমার বাড়ি যাওয়ার স্বমতিটা আর কি।...আমি বললাম...” সিদ্ধেশ্বরবাৰু মাউখপিস্ট মুখ থেকে একটু সরাইয়া বলিলেন—“আচ্ছ, কি কি কথা হয়েছিল, এক এক করে বলুন ত—বোধ হয় সৰ্ব্বনাশ হয়ে গেছে।” . দাদা তাছাদের মধ্যে কথাবার্তা যেমন যেমন হইয়াছিল বিবৃতি করিয়া যাইতে লাগিলেন. ওদিকে টেবিলে রাখা মাউখপিসের ভিতর হইতে ४९~~-$ २ ঝলকে ঝলকে আগুনের হুলকার মত বাহির হইতে লাগিল—“কথা কন না কেন ?...জেরবার, শীগগীর চলে আসুন...সৰ্ব্বনাশ.ড্যামেজ. --সব জেলে---” সিদ্ধেশ্বরবাবু প্রায় পাগলের মতই হইয়া গিয়াছিলেন ; সব কথা শেষ হইবার পূৰ্ব্বেই বলিয়া উঠিলেন—“এর একটা কথাও যে আমার সম্বন্ধে নয় দাদা ! উনি যে বরাবর রোগীর সম্বন্ধেই কথাবাৰ্ত্তা হচ্চে এইরকম বুঝে গেছেন। আগেই কেন ব’লে দিলেন না যে আমি কথা কইছি না—গেল---সব গেল !” —হস্তদন্ত হইয়া বাহিরের পানে চলিলেন । পিছনে পিছনে যাইতে ঘাইতে প্রশ্ন করিলেন—“তবে যে বললেন– ‘সাজা রয়েচে, নিশ্চিন্দি হয়ে চড়িয়ে দেওয়া যাক ?” “সাজ যা রয়েচে তা ক’লকে ময়—ম্যাটার, অর্থাৎ সেট করা টাইপ গ্রেসে চড়িয়ে দেওয়ার কথা বলছিলেম । রসিকতা করতে গিয়েই ধে সৰ্ব্বনাশটি ক’রে বসেচেন সব ।” ফুটপাথে গিয়া ডাকিলেন—“এই ট্যাক্সি--জলদি ।” হঠাৎ একটা কথা মনে আসিল—সঙ্গে সঙ্গে একটু আশা- . . গুপ্টা-সাহেবের বাড়ির দিকে প্রায় ছুটিলেন একরকম । সামনেই একজন ডাক্তারকে দেখিয় প্রশ্ন করিলেন—“কত দেরি বুঝছেন ?” কথাটা নিজের কানেই বেয়াড়। শুনাইল ।.ডাক্তার একবার মুখের দিকে চাহিয়া আশান্বিত ভাবেই বলিলেন— “ন, একটা বেশ ফেবারেবল টারন নিয়েছে–এ যাত্রা বোধ হয় বেঁচে গেলেন ।” সিদ্ধেশ্বরবাবু মুখের তাবটা আর দেখিতে না দিয়া সরাসরি মোটরে গিয়া উঠিলেন । ঠিক এই সময় বগলে একতাড়া কাগজ লইয়া একটা বাচ্চ হিন্দুস্থানী কাগজফেরিওয়ালা চলতি ট্রাম হইতে টুপ করিয়া লাফাইয় পড়িয়া ট্যাক্সির দরজার কাছে আসিয়া হাকিল—“সত্যপ্রকাশ” লিন বাবু—সৰ্ব্বনেশে খবোর-সার শচীন্দর...” লিঙ্কেশ্বরবাৰু ড্ৰাইভাৰে ঠিকানা দিয়া বলিলেন**াকাও-ফুলম্পিড়ে’’’ - দাদা о