পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રે 6.૦ S59శు - § সন্ধ্য উৎরাইয়া গিয়াছে। হলধরবাবু, সিদ্ধেশ্বরবাবু, কু-একজন কেরাণী আপিসে বিষঃভাবে বসিয়া আছেন । কচিং দু-একটা কথাবাৰ্ত্ত হইতেছে। সিদ্ধেশ্বরবাবুর হাতে একটি কলম আছে ; মাঝে মাঝে ঝুঁকিয়া একখানি কাগজে কি লিখিতেছেন । দিনটা যেন একটা দুরন্ত ঝড়ের মধ্য দিয়া কাটিয়া গিয়াছে। সারা শহরে সত্যপ্রকাশের একার খবর আর ৭দিকে ইংরাজি বাংলা সমস্ত কাগজের খবর, দুইটি বিরুদ্ধ খবরের মধ্যে দারুণ স নৰ্ম বাধিয়া গিয়াছিল । আপিসের বাহিরে কানপাত যায় না,—ইতর-ভদ্রের মিশ্রিত জনতার অবিমিশ্র গলাগলি । কান লক্টয়া ভিতরে বসিয়া থাকাও নিরাপদ নয়,--টেলিফোনটা অবিচ্ছিন্ন ভাবে ক্রিং ক্রিং করিয়া সমস্ত দিন যেন যুদ্ধং দেহি’ যুদ্ধং দেহি’ ষ্টাকিয়া গিয়াছে ; যদি-বা অনেকক্ষণ ধৈর্য্য ধরিয়া রিসিভারটা তুলিয়া লওয়া হইল ত কেবল—উংকট বিদ্রুপ, কদৰ্ঘ্য হিন্দীভাষা, কিংবা তীব্র হুমকীর উদগীর । তাহা ভিন্ন চিঠি যে কত আসিয়াছে তাহার আর লেখ৷ জোখ নাই। তাহার মধ্যে দুইখানি বিশেষ উল্লেখযোগ্য ; একখানি স্বয়ং গুপ্ট-সাহেবের বাড়ি হইতে—উকিলের সংযত ভাষায় প্রশ্ন-দেখান হোক, কেন অন্তত: পনের হাজার টাকার ৮ামেজ স্ন ‘সত্যপ্রকাশ’-এর বিরুদ্ধে আনা হইবে না। আর একখানির নীচে, গুপ্ট-সাহেবকে দেখিতেছে এমন কয়েকজন বিশিষ্ট ডাক্তারদের নাম-সহি । তাহাতে অত্যন্ত গুরুগম্ভীর ভাষায় জিজ্ঞাসা করা হইয়াছে—‘সত্যপ্রকাশ’-এর সোমবার ১৩ই অক্টোবর ১৯২৭এর টাউন এডিশনে রোগশয্যাগত ইহলোকবাসী স্তর শচীন্দ্রনাথ ওপ্টার মৃত্যুবিবরণে পত্রসংখ্যা দুইয়ের ষষ্ঠ প্যারায়—“কে জানিত মহাযজ্ঞে যে হোমানল প্রজ্জলিত কর হইল তাহ এই মহাপ্রাণের আহুতি ন গ্রহণ করিয়া নির্বাপিত হইবে না" আবার পত্রসংখ্যা তিনের দ্বিতীয় প্যারায়—“চিকিৎসাসাগর মথিত হইল, কিন্তু হে বৈরাগী,-তোমার অঞ্জলি স্বধার পরিবর্ষে গরলেই পূর্ণ হইবে তাহ কে জানিত ?” షా যে লেখা ಕ್ವೆಕ್ಹ তাহার প্রকৃত অর্থ কি ? এই দুইটি বাক্যের দ্বারা নিম্নস্বাক্ষরকারী চিকিৎসা-ব্যবসায়ী দিগের পেশা এবং আত্মসম্মানে যে গুরুতর আঘাত করা হয় নাই, প্রয়োজন হইলে উক্ত সত্যপ্রকাশ’-এর এডিটার এবং গ্রিন্টার বিচারালয়ে এরূপ সপ্রমাণ করিতে রাজি আছেন কি না—ইত্যাদি এই দুইখানা চিঠি লইয়া গুপ্ট-সাহেবের বাড়িতে গিয়া ধন্ন দেওয়া, ডাক্তারদের বাড়ি বাড়ি গিয়া হাজিরা দেওয়া, এই করিয়া সমস্ত দিনটা পালা করিয়া এডিটার, সাবএডিটার আর প্ৰিণ্টারের কাটিয়াছে। কাগজ-বিক্রন্থের লাভ ট্যাক্সি ভাড়ায় একরকম নিঃশেষ হইয়া গিয়াছে। সমস্ত দিন টানা-পোড়েনের ফল এক জায়গায় একটু পাওয় গিয়াছে—গুপ্টা-সাহেবের বাড়িতে ; গুপ্টা-সাহেবের অবস্থার একটু পরিবর্তনে তাহদের মনটা অনেকট প্রসন্ন থাকার দরুণই এইটুকু সম্ভব হইয়াছে। তাহারা রোগীর কল্যাণ কামনায় ক্ষমা করিতে রাজি আছেন যদি অদ্যকার কাগজে সুদীর্ঘ এপলজি চাওয়া হয় এবং অঙ্গীকার করা হয় যে 'সত্যপ্রকাশ কখনও কোনও ব্যক্তির মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ করিবে না, অন্ততঃ ঘটনার পরে একমাস না-যাওয়া পৰ্য্যন্ত ; ইচ্ছা হয় ইহার পরে করিতে পারে। ডাক্তাররা এখনও রাগিয়া আছে। t হলধরবাবু মনের ভাবটা অার চাপিয়া রাখিতে পারিলেন না ; অনেকক্ষণ চুপ থাকিয়া বলিয়া উঠিলেন— “তাও যদি আজকের সকাল কিংবা দুপুর নাগাদ ম’রে যেত ত অনেকটা সামলে নেওয়া যেত।” সিদ্ধেশ্বরবাবু কাগজ হইতে কলমট, তুলিয়া বলিলেন, “ই]], মরবে, ওর ব’য়ে গেছে। ডাক্তার গৌরহরি বসাক বলেছে ‘যদি এ-যাত্রা না বাচে ত ডিগ্রি ছেড়ে দেৰ।” হলধরবাবু ঝাঝিয়। উঠিলেন। বলিলেন—“স্বারে ছেড়ে দাও ওটার কথা ; এই না বলেছিল পাচটার পরে ন। মরলে, ওর চল্লিশ বছরের চিকিৎসাই বৃথা "গুৱাই ত এই কাণ্ডট বাধালে যত সব ৰোগাস্-একৃতির থাকলে আমিই ত ডিগ্রি কেড়ে নিতাম— মাজই " }, সিদ্ধেশ্বরবাবু আরও দুই তিন লাইন লিখিয়া লেখাটি সমাপ্ত করিলেন। কাগজটা তুলিয়া লইয়া বলিলেনীে &’o, on-" • * 4's