পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাকুড়া মেডিক্যাল স্কুল কলিকাতায় গত মাৰ্চ মাসে নিখিলভারতীয় মেডিক্যাল কন্‌ফারেন্সের যে অধিবেশন হইয়াছিল, তাহাতে উহার সভাপতি ডাক্তার স্তর নীলরতন সরকার মহাশয় বলেন, যে, খুব কম করিয়া ধরিলেও ভারতবর্ষের জন্য এক লক্ষ শিক্ষিত চিকিৎসকের প্রয়োজন। তাহার সিকিসংখ্যক চিকিৎসক এখন আছেন। ডাঃ সরকার এলোপ্যাথিক ডাক্তারদের --- [-- - | বাঁকুড়া মেডিক্যাল স্কুল গৃহ কথাই বলিয়াছেন। শিক্ষিত চিকিৎসকদের অভাব অনেক দিন হইতেই অনুভূত হইতেছে। মফস্বলের পল্লীগ্রাম অঞ্চলেই এই অভাব বিশেষ ভাবে অনুভূত হয়। বঙ্গের সব জেলায় চিকিৎসশিক্ষার ব্যবস্থা করিলে এবং প্রয়োজনমত সৰ্ব্বত্ৰ সৰ্ব্ববিধসরঞ্জামবিশিষ্ট স্বপরিচালিত হাসপাতাল স্থাপন করিলে এই অভাব ক্রমশঃ দূরীভূত হইবেন, ইহা অস্তুভব করিয়া বাঁকুড়া জেলার হিতসাধনকল্পে প্রতিষ্ঠিত সমিতি বাঁকুড়া সম্মিলনী দশ বৎসর পূৰ্ব্বে ১৯২২ সালে বাকুড়া মেডিক্যাল স্কুল স্থাপন করেন। ইহার প্রত্যেক বিভাগ-বিদ্যালয়, ছাত্রাবাস, হাসপাতাল—এখন শহরের বাহিরে পরস্পরের নিকটবৰ্ত্তী উচ্চ খোল বিস্তৃত স্বতন্ত্ৰ হাতার মধ্যে অবস্থিত। এক বিভাগ হইতে অন্ত বিভাগে সহজে যাওয়া যায়। প্রথম প্রথম যে বাড়িগুলিতে স্কুল ও হাসপাতাল উভয়ই প্রতিষ্ঠিত হয়, সেগুলি কাশ্মীরের ভূতপূৰ্ব্ব প্রধান বিচারপতি ব্যারিষ্টার শ্ৰীযুক্ত ঋষিবর মুখোপাধ্যায় মহাশয় বাকুড় মেডিক্যাল স্কুলকে দান করেন। এইগুলি ৭৮ ( আটাত্তর ) বিঘা জমীর উপর অবস্থিত । তাহার জ্যেষ্ঠভ্ৰাত স্বগীয় নীলাম্বর মুখোপাধ্যায়ের নামে এগুলির নাম নীলাম্বর ভবন রাখা হইয়াছে। হাতার মধ্যে পুকুর ও কৃপ আছে। হাসপাতালে জলের কল স্থাপন করা হইয়াছে । সাবেক বাড়ি যত ছিল, তাহ ভিন্ন নূতন বাড়িও অনেকগুলি নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। তাহাদের কয়েকটির ছোট ছোট ছবি প্রকাশিত হইল । স্কুলের হাসপাতালে এখন ৮৩ (তিরাশি) জন রোগীর স্থান হয় । তা ছাড়া, বাকুড়ার সদর হাসপাতাল ও স্কুল হাসপাতালের মধ্যে সহযোগিতা থাকায় ছাত্রের সদর হাসপাতালের রোগীদের চিকিৎসা ও চিকিৎসাপর্য্যবেক্ষণ হইতেও শিক্ষার সুযোগ পায়। বাকুড়া মেডিক্যাল স্কুলের হাসপাতালটিতে প্রধানত: বাঁকুড় জেলার রোগীরাই চিকিৎসার জন্য আসে ; কারণ তাহারাই নীলাম্বল্প শুষম নীচে আউটডোর বিভাগ ও উপরে পুরুষদের চিকিৎসার ওয়ার্ড উহার নিকটতম বাসিন্ধা। কিন্তু ইহাতে অম্লান্য জেলার রোগীর চিকিৎসিত হইতে কোন বাধা নাই। এই জন্য দেখা যায়, বর্ধমান, মানভূমও মেদিনীপুরের রোগীও এখানে