পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి శ్రీ$ S99శు ১২ । তুষার-হংসৰূপ লক্ষ্যভেদ। কয়েকটি চক্রাকার মোটা তারের কাঠামোর মাঝখানে যে ছোট বৃত্তটি দেখা যাইতেছে, তাহাই তুষার-হংস। পশ্চাতের কাপড়ের লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলি আটক করিবার জন্য। তারের কাঠামোর সম্মথে একটি খুটি পোতা পদটি থাকে । তাঙ্গাতে পাশের একটি ছোট ধুতু সংলগ্ন থাকে। ধন্থর ধাকান দুটি দিক এক টুকর চামড় দিয়া পরম্পরের সহিত সংলগ্ন । চামড়াটির সঙ্গে একগাছি সরু দড়ি বাধা থাকে। ঐ দড়িটির একদিক একটি ফাপা পিতলের গুলির ভিতর দিয়া চালাইয় খেলোয়াড় উহ មិន្ទ្រាំ ছাড়িয়া দেয়। আকর্ষণে ধতুটি আরও বাকিয়া যায়। স্থতরাং দড়িটি ছাড়িয়া দিলে ধন্থটি অপেক্ষাকৃত সোজা হওয়ার শক্তিতে গুলিটি নিক্ষিপ্ত হয়। তারের কাঠামোর মধ্যস্থিত ছোট বৃত্তটিতে গুলিটি লাগিলেই তুষার-হংস রূপ লক্ষ্য বিদ্ধ হইয়াছে মনে করা হয়। & মুদী শ্রীশৈলেন্দ্রনাথ ঘোষ সরকারী পাক রাস্তাটা উত্তর থেকে দক্ষিণে একেবেঁকে কোথায় চলে গেছে—একথা গায়ের প্রবীণর ভাল ক’রেই জানে। কিন্তু ছোট ছেলেমেয়ের বহুবার শুনেও আজ পর্য্যস্ত ধারণ করে উঠতে পারেনি যে, ঠিক কোথায় এর শেষ, আর সে কোথায়টা কেমন ! কত গরুর গাড়ী ধীরে ধীরে ঐদিকে চলে গেছে, কত মানুষ গেছে। গায়ের পথটা যেখানে পাকা রাস্তায় এসে মিশেছে সেইখানে মুদীর দোকানের দাওয়ায় বসে ছেলের মুড়িমুড়কী খেতে খেতে এই-সব ভাবে, আর জিজ্ঞাস করে। মুদী ইচ্ছামত উত্তর দেয় । মুর্দীর দোকানঘরের মাথার উপর একটা প্রকাণ্ড বাদামগাছ ; লালচে পাতার ছাত ধ’রে সে বহুদিন থেকে নিঃশবে দাড়িয়ে আছে। চালাখান একেবারে বুক পৰ্য্যস্ত নেমে এসেছে, নীচু হয়ে ঢুকতে হয়। ভিতরে এলে প্রথমটায় কিছুই চোখে দেখা যায় না, এমনি অন্ধকার । প্রকাণ্ড ঘরটার অন্য কোথাও ফাক নেই, শুধু দুখান ঝাপ, আর চালের মটকার কাছে একটা ফুটে—তাই দিয়ে পয়সার আকারে একটা গোল আলে। ঘরের মেঝের উপর থরথর ক’রে কঁপিছে । ক্রমশ সবই চোখ-সওয়া হয়ে আসে । এ-পাশটায় বীপগুলো দেওয়ালে ঠেস দেওয়া রয়েছে। একটা বাশের মাচ, তার উপর থলে-ভৰ্ত্তি চালডাল প্রভৃতি। আড়কাঠ থেকে ঝুলছে পাট, নারকেল দড়ি, পাটের দড়ি, কি কতকগুলো শুক্নো লতাগাছ, খানকতক ছেড়া চট । এককোণে একতাড়া পাকাটি দাড় করানো রয়েছে। এসব জিনিষ, পাড়া গা হ’লেও অসময়ে চড়া দামে বিক্রী ক’রে মুদী বেশ দু-পয়সা লাভ করে। এ-পাশে আর একটা বাশের মাচ, এর উপর ওর দোকান। মাচার মধ্যেখানে ছিদ্রযুক্ত চৌকি। ছিদ্রের তলায় বেতের বোন। ছোট্ট একটা ধাম পাতা। ছিদ্র দিয়ে এই পাত্রটায় পয়সা এসে পড়ে, বাইরে থেকে কেউ দেখতে পায় না রোজ কত বিক্ৰী হ’ল । লোকের নজরটাকে ওর বড় ভয় । ঐ চৌকিটার চারিদিক ঘিরে ছোট ছোট মাটির গামলা আর ধাম । চাল ডাল সুজি চিনি আট ময়দা পোস্ত, এমনি সব কত কি ওতে রয়েছে। ছোলার ডালের গামলার ভিতরকার উপুড়-করা সরাখান দেখা যাচ্ছে । সর উপুড় ক’রে তার উপর অল্প জিনিষেই চুড়াকারে সাজাবার ভারি সুবিধে। এমন ক’রে চুড়ে বালিয়ে দোকান সাজালে দেখতেও বেশ পরিষ্কার হয়, খদেরও সন্তুষ্ট হয়, তাই। চৌকির বা-দিকটায় তেলের আয়োজন।