পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ಡಿಸ್ ੀ। ২৬৩ ছোট ছোট ভাড়গুলোয় সরষের, নারকেল, আর রেড়ির তেল। সব ভাড়গুলোই গায়ে গায়ে ঠেসিয়ে একখানা বারকোষের উপর বসানো। তেল কেনার সময় যা দু-এক ফোট ভাড়ের গা বেয়ে কিংবা ফেদেলের ছিদ্র বেয়ে কাঠের থালাটায় পড়ে, তা নষ্ট হ’তে পায় না। সাত আটদিন অন্তর, ভাড়মোছা কাপড় দিয়ে বারকোষের তেল শুখিয়ে নিয়ে নিংড়ে ভাড়ের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে দেয় । সরষে, নারকেল—দুটোই অতি প্রসিদ্ধ এবং হিতকর খাদ্যবস্তু ; আর গাব, সে ত ওষুধের শিরোমণি, কাটা ছেচ পোড়, যাতেই দাও না। এই তিন তেলের সংমিশ্রণটা কাজেই মানুষের পক্ষে চরম উপকারী—অন্তত মুর্দীর এই মত। যা হোক, এই সংমিশ্রণটা কোন তেলের ভীড়ে নিংড়াবে, এসম্বন্ধেও যথেষ্ট ভেবেছে।--রেড়ির তেলের ভীড়ে যদি দেয়, তাহলে পিদিম যদিও বা কোনো রকমে জলে কিন্তু কাট ছেচ পোড়ার পক্ষে ওতেল তখন আর কোনো কাজেই লাগবে না। উপরন্তু ও-তেলে জোলাপের কাজ চলবেই না । তারপর যদি নারকেল তেলের ভীড়ে দেয় ত, ও-তেলে আর লুচি ভাজা চলবে না। মাথায় মাখলে মাথা চটচটে আঠার মত হয়, দুৰ্গন্ধ হয় ; ঝড়ঝাপটের দিন আর রক্ষে নেই, ধুলোয় মাথা ভৰ্ত্তি, যতই ধোয়ামোছা কর, যাবে না সহজে । চুলে চুলে জট পাকিয়ে যায়। কত অস্ববিধে । কিন্তু সরষের তেলের ভীড়ে দিলে—ও তার একটা মাত্র উত্তর দেয়,—ও-তেল ত অগ্নিশুদ্ধি করে তবে খাবে, কোন দোষ নেই। তবে সত্যিকথাটা সে সবাইকে বলে না । সে হ’ল এই,—সরষের তেলটার ঝনঝ অন্ত তেলের চেয়ে বেশী, কাজেই কেউ সহজে ধরতে পারে না। অন্ত তেলে মিশালে ধরা পড়বার আশঙ্কা বেশী। আর তা ছাড়, ওটা মিশালে সরষের তেলট বেশ গাঢ় হয়, ওজনে বাড়ে, কাজেই খুব লাভ। কাছে ও দূরের গামলা ও ধামার সামগ্রী ওজন করবার জন্তে আমৃতে হয়। তাই একটা আধখান নারকেল মালার কাণায় ছুটে ছিদ্র করে তাতে বাখারির আগাট সরু ক’রে পরিয়ে নিয়েছে। ঠিক একখানা হাতার মত হয়েছে ; লম্বা হাতল। একই জায়গায় বলে দূরের নাগাল পায়, ভারি স্থবিধে । এদিকে হাতের কাছে কেরোসিন কাঠের অনেকগুলো থাক করেছে। তাতে সব মণিহারী জিনিষ —পেন্সিল, খাত, দোয়াত, কালি, জারসি, চিরুণী, মাথার কাটা, ফিতে, ঘুনসী, গুলিস্থতো, স্বচ, ঘুড়ি, তরল আলতা, প্রথম ভাগ, দ্বিতীয়ভাগ, বোধোদয়, ধারাপাত, শ্রতিলিখন, হাত, খস্তি, কড়, চাটু, কাচের এবং গালার চুড়ি, শাখা নোয়,গায়েমাথা ও কাপড়কাচা সাবান। ওদিকে পুদুলি-বাধা কাপড় গামছা। লাল চুড়িপাড়, দাতপাড়, পাছাপেড়ে, রং-বেরঙের ডুরে, নীলাম্বর, কচিকলাপাত রঙের কাপড়ে লাল পাড়, এমনি সব কত রকমের কাপড় । মাচার নীচে আলু ঢালা আছে। অনেকে সেই অন্ধকারের মধ্যে মুখ গুজে ভাল আলু বেছে নিচ্ছে। মুদী উপর থেকে বলছে, বাছলে দু-আন, সাপ্টা নিলে ছ-পয়সা। ওরা বলে, ছ এই গুড়ি আলু দ্ব-আনা। চুপ কর বলছি মুর্দীর পো, নইলে তোমার দোকান লুট হয়ে যাবে, তা ব’লে দিচ্ছি। এ-অঞ্চলে আর দোকান নেই। কাজেই মুদার এই যথেচ্ছাচার ওরা মুখ বুজে সহ করে। মুদী হেঁকে জিজ্ঞেস করে, দোকানখানা কারুর বাপঠাকুদার কিনা ? অারও কত কি, যা মুথে আসে তাই বলে ও গায়ের ঝাল মেটায়। নিজের কাজে মন দিতে ওর বেশী সময় লাগে না । শীর্ণ মুখখানার উপর ধনুকের মত বাকা পিতলের চশমা । দুটো হাতলই তার ভেঙে গেছে। কিন্তু তাতে ওর যায়-আসে না, স্থতো বেঁধে নিয়েছে। স্বতোটা কানের উপর দিয়ে মাথার পিছন দিকে বাধা । কেবল কাজের সময় সে চশমা নামিয়ে নাকের ডগায় আনে, নইলে ওটা হয় কপালে আর না-হয় মাথার উপর তোলা থাকে। মুী অকস্মাৎ একটা ধমক দিয়ে বললে,—ঝোড়ে, পয়সা-কড়ি দিবি, না আমার সৰ্ব্বনাশ করৰি, তাই বল দেখি । একখানা খাতা কোথা থেকে টেনে বার করলে । বালির কাগজ, খেরোর মলাট, মুীর পো নিজের হাতে ইরে নেৰা করে গেছে--মুনীর একটা চোখ ofs

: