পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লগুনে বাংলা সাহিতা সম্মিলনের সভ্যবৃন্দ শ্ৰীযুক্ত প্রিয়লাল গুপ্ত মহাশয়কে সভাপতি করিয়া বাংলা সাহিতা সন্মিলনীকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়। সম্মিলনীর উদেষ্ঠ বঙ্গভাষাভাধী ভারতীয়দের জন্য বাংলায় বিবিধ প্রসঙ্গ আলোচনা করিবার এবং প্রাঞ্চল ভাবে কথা বলিবার উৎসাহ দান এবং সুযোগ বিধান । এই সন্মিলনীতে প্রাদেশিকান্ত সঞ্চাতোভাবে বর্জনীয় । গোড়ায় সম্মিলনীয় প্রায় অধিবেশনই ১১২নং গাওয়ার ষ্টটে অনুষ্ঠিত হইত। নানা কারণে সম্মিলনা সে স্থান ম্যাগ করিতে বাধা হন। ইণ্ডিয়ান ষ্টুডেন্টস্ সেন্টাল এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠার পর সম্মিলনীর কর্তৃপক্ষ একটি স্থায়ী জায়গা পায়। সেখানে ইহার প্রথম অধিবেশন হয় ১৯৩০ সনের ২৯এ জুন । উৎসাহ বুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নানাদিকে সম্মিলনীর কার্য্য বিস্তার লাভ করিয়াছে। সন্মিলনীর অন্তভুক্ত দুইটি শাখা সমিতি আছে-পরিভ্রমণ সমিতি ও উৎসব সমিতি । বাংলা সমিতির উদ্যোগে একটি বাংলা পুস্তকের গ্রন্থাগার স্থাপনের ব্যবস্থা হইতেছে-ইতিমধ্যে প্রায় এক শত পুস্তক্ষ সংগৃহীত হইয়াছে। সম্মিলনী এই পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করিল। গত চার বৎসর ইহার উদ্যোঞ্চে ন ন বিষয়ের আলোচনা হইয়াছিল । পরিভ্রমণ সমিতির উদ্যোগে নানা জায়গায় ভ্রমণের ব্যবস্থা ও উৎসব সমিতির উদ্যোগে মুক্তধার। বিরিঞ্চিবাব, আনন্দমঠ ও বৈকুণ্ঠের খাত অভিনয় ৪.৭ কয়েকবার প্রতিভোজনের ব্যবস্থা হয় । - প্রতি বৎসর গন্তে সম্মিলনীর বার্ষিক উৎসব সম্পজ হয় । গত জুন মাসে সম্মিলনীর উদ্যোগে আনন্দমঠ ও বৈকুণ্ঠের খাত অভিনীত হয়। অক্টোবর মাসে মহা সমারোহে বিজয়ার প্রতি মিলনোৎসব সম্পন্ন হয়। গত ডিসেম্বরে বাংলার নেতা যুক্ত যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত মহাশয়কে লইয়া একটি প্রীতি ভোজনের ব্যবস্থা হইয়াছিল। গত বৎসরে সন্মিলনীর উদ্যোগে পনরটি সাধারণ সভার অধিবেশন হয় । তাহাতে নানা বিষয়ে আলোচন।. প্রবন্ধপীঠ, সদ্যবস্তৃত। প্রভৃতির ব্যবস্থা হয় । সম্মিলনীর চতুর্থ জন্মোৎসবে ত্রযুক্ত ভূপেন্দ্রনাথ মিত্র মহাশয় সভাপতির আসন গ্রহণ করিয়া সভাগণের আনন্দ বৰ্দ্ধন করিয়াছেন। জীযুক্ত রায়, জীযুক্ত চৌধুরাণী পিষ্টকাদি প্রস্তুত করিয়া, জী* স্বনীলকৃষ্ণ সরকার ও শ্ৰীযুক্ত ননীগোপাল শিকদার বৈকুণ্ঠের খঞ্জি অভিনয়ের ব্যবস্থা করিয়া এবং যুক্ত রণজিৎ সেন গানের ব্যবস্থা ক্ষরি উৎসবের অঙ্গ পূর্ণ করিয়াছেন। . . . . -