পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ রুশ, সাবানের বাক্স, একটি য়ালকোহলের শিশি । এগুলিকে কেহ যেন কখনও ব্যবহার করে নাই । ঘরে থাট ছাড়া আর কোনও আসবাব নাই । জানালার গা ঘেষিয়া কয়েকটা ট্রাঙ্ক ও স্নটকেসকে উপরি উপরি সাজাইয় তাহার উপর একটা ছিটের কাপড় ঢাকা দেওয়া হইয়াছে। সেইথামে ছোট একটি পিরামিডের আকারে ছোটবড় কঙকগুলি বই, সেগুলিকে কখনও যে কেহ নাড়িয়া-চাড়িয় দেখিয়াছে তাহা বুঝিবার উপায় নাই। অজয় মনে মনে কলিকাতায় নিজের মেসের ঘরটিকে এই ঘরটির পাশে দরিয়৷ দেখিয়া লইল । পরিচ্ছন্নতা তাহারও ভাল লাগে, তাহার ঘরটিতে আসবাবপত্র সাজসরঞ্জামের অভাব নাহ, ক্রমে ক্রমে হুদুগু ছোটবড় বইও তাহার প্রচুর জমিয়াছে, কিন্তু কি নিদারুণ অবহেলায় আবর্জনার মত পাকার হইয়া সেগুলি সেখানে পড়িয়া আছে। কতবার পামর বাধিয়া সেগুলিকে সে গুছাইয়াছে, কিন্তু দুইদিনের পশী গুছানে অবস্থায় একবারও সেগুলি থাকে নাক্ট । সুভদ্র ফিরিয়া আসিলে চা-ও আসিয়া পড়িল ৷ একথান বড় পিতলের রেকবীতে ধূমায়িত চ দুধ, চিনি, দুইটি পেয়াল, কয়েকটা ডিম, কিছু ফলমূল, গঙ্গাজলী লাডু, ভাজা চিড় ও বাতাসা । বিছানার উপরেই গোটাছুই খবরের +গজ বিছাইয়া সুভদ্র সেগুলির জন্য জায়গা করিয়া দিল । চাকর চলিয়া গেলে অজয়কে এক পেয়ালা চা ঢালিয়া ধিয়া এবং নিজে এক পেয়ালা লইয়৷ মৃভদ্র কহিল, "তারপর আমাদের এলাকায় কি ক’রে এসে পড়লেন বলুন আগে।” অজয় চায়ের চিনিটাকে চামচে করিয়া নাড়িতে নাড়িতে কহিল, “বাড়ীতে ছুটি কাটিয়ে কলকাতায় ফিরছিলাম, জাহাজ বিগড়ে রাস্তার মাঝখানে আটক পড়েছি। সন্ধ্যার আগে আর ষ্টীমার নেই বোধ হয় ?” স্বভদ্র কহিল, “সন্ধ্যার আগে ত নেইই, কোনোকোনোদিন বেশ রাত করেও আসে । আপনাদের জাহাজ বিগড়াবার খবর আমরা কাল রাত্রেই টেশনমাষ্টার বনবাবুর কাছে পেয়েছিলাম, গিয়ে খোজ নেৰ একৰায় ভেবেওছিলাম, কিন্তু একটি রোগীর নাল করতে যেতে শৃঙ্খল ২৭৯ হ’ল ব’লে ওদিকে আর গিয়ে উঠতে পারিনি। রাত্রে খুব কষ্ট হয়নি ত ?” “কিছু না, নদীর ধারের খোলা হাওয়ায় বেশ আরামেই কাটিয়েছি।” "বৃষ্টি-বাদল হ’লে খুব মুস্কিলে পড়তে হ’ত। ঐ ত ছোট্ট একটি ঘর, তারপর আর দুকোশের মধ্যে কোনে। দিকে কোথাও মাথা গুজবার জায়গা নেই।” অজয় চকিতে একবার খোলা জানালায় বাহিরে আকাশটাকে দেখিয়া লইল । বৃষ্টি-বাদলের সম্ভাবনা নাই, কিন্তু অকারণেই তবু তাহার কেমন যেন ভয় ভয় করিতে লাগিল। যদি বৃষ্টি হয় ? তাহার পথসঙ্গিনী সেই অপরিচিত দৃপ্ত মেয়েটি তাহ হইলে খোলা মাঠের মধ্যে হাটুতে মাথা গুজিয়া কাঠ হইয়। বসিয়া ধারাঙ্গলে স্নান করিবে, কিছুতেই বহুলোকের ভিড়ে স্বল্পপরিসর ষ্টেশন ঘরটির মধ্যে ঢুকিতে রাজি হইবে না। সে অবস্থায় সেখানে উপস্থিত থাকিলেও সে মেয়েটির কোনও কাজে লাগিবে না, তবু ফিরিয়া যাইবার জন্য তাহার মন চঞ্চল झ्झेल । ওলাউঠার নাম শোনা অবধি আহারে অজয়ের রুচি ছিল না। সে খাবার প্রায় কিছুই ছুইতেছিল না । তাহাকে খাইতে তাড়া দিয়া তারপর সে খাইতেছে কিনা না দেখিয়াই স্বভত্র বলিল, “তা ভালই হয়েছে। আমিও আর কয়েকদিনের মধ্যেই কলকাতায় ফিরতাম। আপনাকে সঙ্গী পাওয়া গেল, আর ভাবনা নেই। আমিও আপনার সঙ্গেই বেরিয়ে পড়ব ।” অজয়ও উৎসাহ প্রকাশ করিয়া বলিল, “তাহলে ত খুব ভালই হয়।" কিন্তু চট করিয়া কি একটা কথা ভাবিয়া লইয়া সুভদ্র যখন কহিল, “তাহ’লে এক কাজ করা যাক্ ; কলেজ খুলতে এখনও ত বেশ দেরি আছে, ছ'সাতটা দিন আপনি এখানে থেকে যান ; আপনার সঙ্গে আর কেউ নেই নিশ্চয়ই ?” তখন তাহার সে উৎসাহের কণামাত্র অবশিষ্ট রহিল না । अङाख मृल्लडाब नाव कश्नि, “ङ cनरे चबछ, किरु আমাকে মাপ কৰেন, আমাকে জাজ খেতেই হৰে ” “