পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

والمواج Sకరికరిశు বাঙালীদের পক্ষপাতী বলিয়া পরিচিত নহেন । ইহার ৫ই মে তারিথের নিউ ইণ্ডিয়ায় লিখিয়াছেন – The natural effect of such deeds is to produce bitter feeling and resentment against India in the minds of the friends, relatives and acquaintances of the victims and of the peoples of their country, and thus increase the tension already existing in the relations between Britain and India. Violence on the part of representatives of either, provokes violence on the part of the other. Thns it remains as true now as when "hatred, ceaseth not by hatred, hatred ceaseth by love.” The remedy for the entire distemper, of which these outrages are symptoms, is Swaraj. Until that comes, reproshion on the one side and voilence on the other will go on intensifying each other, we are afraid. এই মন্তব্যে যাহা লেখা হইয়াছে, তাহা সত্য—যদিও সমগ্র সত্য ইহাতে প্রকাশিত হয় নাই। শেষ বাক্যটিতে যাহা লেখা হইয়াছে, সেরূপ অনুমান অনেক আগে হইতেই আমাদের মনে উদিত হইয়াছিল । সেরূপ অনুমানের কারণ বলি । আমরা গবন্মেণ্টনামধেয় মনুষ্যসমষ্টির মনের কথা জানি না, যদিও এক এক সময়কার এই সমষ্টির মানুষগুলির নাম জানিলেও জানিতে পারি। অন্য দিকে, যাহারা রাজকৰ্ম্মচারী হত্যা বা হত্যার চেষ্টা করে, তাহাদের নামধামাদি জানিবার উপায় নাই, তাহার। দলবদ্ধ কি অদলবদ্ধ তাহাও জানি না, এবং তাহাদের মনের কথা ত জানা নাই-ই । কেবলমাত্র উভয় পক্ষের আচরণ হইতে এই রূপ মনে হওয়া অস্বাভাবিক নহে, যে, যেন তাহাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা চলিতেছে। আতঙ্কোৎপাদকদের একটা কোন উপদ্রবের পর তাহাদিগকে বন্দী, বলহীন বা নিমূল করিবার জন্য গবন্মেণ্ট নূতন কোন আইন বা নিয়ম অবলম্বন করিলেন। তাহার অল্প দিনের মধ্যেই কোন নূতন হত্যাকাণ্ড বা হত্যাচেষ্টা করিয়া আতঙ্কোৎপাদকেরা যেন গবন্মের্ণটকে জানাইয়া দিল, ধে, তাহারা মরে নাই । তাহার পর গবন্মেন্ট কঠোরতর আরও কিছু উপায় অবলম্বন করিলেন। তদনন্তর আবার এমন একটা কিছু ঘটিল যাহা হইতে বুঝা গেল, যমুন্ধ আতঙ্কোৎপাদক ধূত ও বন্দীকৃত বা নিহত হয় নাই। বিনা বিদূরে বন্দীকৃত লোকদিগকে বঙ্গের বাহিরে।ভারতবর্ষের অন্তর আটক করিয়া বাধিবার জন্ত the words were nttered, that আইন প্রণয়নের, এবং এই রাজবন্দীদিগকে কর্তৃপক্ষের আদেশের বাধ্য করিবার নিমিত্ত “যে কোনও এবং প্রত্যেক ū’ītā' ("any and every means”) wonfo ow পারিবে বলিয়া সরকারী কলিকাতা গেজেটে নিয়ম প্রকাশের পরই মেদিনীপুরের ম্যাজিষ্ট্রেট মি: ডাগলাসের হত্য এই ভীষণ “চক্রনৃত্যের” শেষ দৃষ্টান্ত । উভয় পক্ষের এই যে রোথ চাপা অকুমিত বা কল্পিত হইতেছে বা হইতে পারে, তাহার পরিণাম ও অবসান কোথায় কখন হইবে কেহ বলিতে পারে না । কিন্তু রোখের অবসান প্রার্থনীয়, এবং এই “চক্রনৃত্য” থামিলে দেশের কল্যাণ হইবে । কিন্তু কে আগে থামিবে ? এবিষয়ে বোধ করি মতভেদ হইবে না, যে, উভয় পক্ষের মধ্যে গবন্মেন্টের শক্তি খুব বেশী। যে-পক্ষ বলবত্তর, শাস্তির পথে অগ্রসর হওয়া তাহার পক্ষে স্বশোভন । আমেরিকার যে-সকল ব্রিটিশ উপনিবেশ খ্ৰীষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে যুদ্ধ করিয়া স্বাধীন হয়, তাহদের সহিত যুদ্ধ আরম্ভ হইবার পূৰ্ব্বে বিখ্যাত রাজনীতিজ্ঞ ও বক্তা এডমাণ্ড বার্ক তাহাদের সহিত সদ্ভাব স্থাপন করিবার জন্য ব্রিটিশ গবন্মেণ্টকে অনুরোধ করেন । র্তাহার এতদ্বিধয়ক বক্তৃতায় তিনি বলেন— ...“I mean to give peace. Peace implies recon; çiliation ; and where there has been a materi dispnte, reconciliation does in a manner always imply concession on the one part or the other. In this state of things I make no difficulty in affirming that the proposal ought to originate from us. Great and an acknowledged force is not impaired, either in effect, or in, opinion, by an unwillingness to exert itself. The superior power may offer peace with honour and with safety. Such an offer from such a power will be attributed to magnanimity.” বার্কের পরামর্শব্রিটিশ গবন্মেণ্ট গ্রহণীয় মনে করেন নাই। ফলে যুদ্ধ বাধে এবং আমেরিক স্বাধীন হয়। আমেরিকারী উপনিবেশগুলির যে শক্তি ছিল, ভারতবর্ষের জনকতক আতঙ্কোৎপাদকের শক্তি তাহা অপেক্ষা খুবই ক্ষম। সেই জন্য অনেকের মনে হইতে পারে, যাহারা এত তুচ্ছ তাহাদের কথা ভাবিয়া শাসননীতি পরিবর্তনের প্রসঙ্গ উত্থাপনও হাস্যকর। কিন্তু গবষ্মেন্টের ও আতঙ্কোৎপাদকদের শক্তি তুলনীয় নহে বলিয়া ভারতবর্ষে ব্রিটিশ গবন্মেণ্ট শাস্তির };