পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ চিত্র অঙ্কন করিতে, ব৷ সেইরূপ কাব্য রচনা করিতে পারেন না । সাহিত্যিকের সাহিত্য সম্বন্ধেও ঐ কথা । সাহিত্যিক সাহিত্যের হুষ্টি করেন । নিশ্চয়ই তাহাতে র্তাহার কোনো প্রয়োজন থাকে, না থাকিলে তিনি তাছার সৃষ্টিতে প্রবৃত্ত হইতেন না । দেশ-বিদেশের নান পণ্ডিতে এই সম্বন্ধে নানা কথা বলিয়াছেন, তাহার। সাহিত্যের ন! না প্রয়োজন দেখিয়াছেন । কিন্তু য প্রয়োজনই থাকুক, আমাদের দেশের সাহিত্যের মৰ্ম্মজ্ঞের। বলেন ধে, সাহিত্য আলোচনার সঙ্গে-সঙ্গে যে পরমানন্দের উদয় হয় তাহাই সমস্ত প্রয়োজনের শ্রেষ্ঠ ( “সকলপ্রয়োজনমৌলি ভূত” ) । অার একজন সাহিত্যের মৰ্ম্মবিদ ‘চিবগুনীদের অর্থাৎ প্রাচীনদের で5 আমাদেরই দেশের নাম করিয়৷ বলিয়াছেন, তাছাদের মতে সাহিত্য বা কাব্যের ই ই প্রয়োজন যে, তাহ রস:স্বাদরূপ নিবিড় আনন্দ প্রদান করে ; আর তাহ দ্বার ‘রামের মত চলিতে হয়, রাবণের মত নহে? এইরূপে কৰ্ত্তব্যে প্রবৃত্তি আর অকৰ্ত্তব্য হইতে নিবৃত্তির উপদেশ দেয়। বলিয়ছি, ইহা চিরস্তনদের কথা । পুরাতন হইলেই অনেক স্থলে তাহার প্রতি একট। গৌরব-বুদ্ধি হয়, এবং তাহা হইলেই যথাযথরুপে বিচার না করিয়াই তাহকে ঠিক বলিয়। ধরিয়া লওয়া হয় । কিন্তু পুরাতন হইলেই ভাল হইবে, আর নূতন হইলেই তাহ খারাপ হইবে ; অথবা নূতন হইলেই ভাল হইবে, আর পুরাতন হইলেই খারাপ হইবে,ইহা বলা যায় না । পুরাতনই হউক, আর নূতনই হউক, তাহার গুণাগুণ সম্পূর্ণরূপে পরীক্ষা করিয়া ভাল-মন্দ স্থির করিতে হয়। পরীক্ষা করিলে বুঝ। যাইবে, চিরন্তনের সাহিত্যের প্রয়োজন ন্ধে উল্লিখিত ধে দুইটি কথা বলিয়াছেন তাহার কটিকেও বর্জন করা যায় না। অর্থোপার্জন আবগুক । হী ন হইলে চলে না । এই অর্থোপার্জন মিথ্যা, বঞ্চন, চুরি, ডাকাতী ইত্যাদি নানা উপায়ে হইতে fরে। সেখানে নিয়ম করা হয়— “অকৃত্ব পরসস্তাপমৃ অগত্বা নীচসঙ্গতিম্। অমুংস্ত জ্য সত্যং বন্ধ যং স্বল্পমপি তদ্‌ বছ ।" পরকে পীড়ন না করিয়), নীচগণের সহিত সংসর্গ না করিয়া, ও নগণের পথ পরিত্যাগ না করিয়া, যদি অত্যন্ত অল্পও কিছু পাওয়া য়িতে গ্রহাই অনেৰ । . . . সাহিত্যস্তষ্টি S రి অহার করিতে হইবে, না করিলে চলে না । যে-কেহ যে-কোন বস্তু আহার করিতে পারে । সেখানে নিয়ম কর; হয়, যাহা দেহের ও মনের, উভয়েরই স্বাস্থ্য রক্ষা করিতে পারে, তাহাই আহার করিবে । আনন্দ পাইতে হইবে, না পাইলে আমরা বাচি না । যে-কোন উপায়ে আনন্দ পা হয়। যাইতে পারে ; মন্দ উপায়েও আনন্দ হইতে পারে } সেখানেও নিয়ম করা হয় ; না, ঐ জাতীয় উপায়ে নহে, অদ্যবিধ উপায় অবলম্বন করিতে হইবে । এই যে নিয়ম ইহার একমাত্র উদেশ্ব ঐ যে অথোপাঞ্জন, ঐ যে আহারব্যক্তির নিজের এবং তfহার; যাহাদের সঙ্গে বাস করে তfহাদের সকলেরই বস্তুত কল্যাণের জন্য ব৷ অকল্যাণ নিবৃত্তির জন্ত হয় তাহারই ব্যবস্থা করা ; কাহারও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা মোটেই তাহার উদ্দেশ্য নহে। আমার যেমন ইচ্ছ। তেমনি ভাবে আমি আনন্দ অনুভব করিব, আমি নিয়ম কামুন মানিতে যাইব কেন ? আমি স্বাধীন --একথা বলিবার অধিকার কোনে, সামাজিক ব্যক্তির নাই, এবং উহাই স্বাধীনতার অভিপ্রেত অর্থও নহে। উহা উচ্ছ স্থলতার নামান্তর। আমার গৃহের আমিই স্বামী, ইহাতে বিন্দুমাত্র সংশয় নাই, কিন্তু এই বলিয়া আমি ঐ গৃহে এমন কিছু করিতে পারি না, যাহা আমার চারিদিকের আর সমস্ত লোকের অনিষ্টের জন্য হয় । আমি আমার নিজেরও খরে আগুন লাগাইতে পারি না, কেন-ন তাহাতে চারিদিকের আর সমস্ত ঘরের বিপদ সম্ভাবনা আছে । আমি মদ্যপান করিতে পারি না, উহাতে আমার অধিকার নাই, কারণ মত্ততায় আমার ব্যক্তিগত অপকারের কথা ছাড়িয়া দিলেও আমার প্রতিবেশীদের নানাদিকে ও নানারূপে তাহাতে বহু ক্ষতি হয় । ইংলণ্ডের লোক স্বাধীন, তাই বলিয়া কাহাকেও হত্য করিবার অধিকার তাহারও নাই। আমি নিজে নিজেকেও হত্যা করিতে পারি না । আত্মহত্যার অপরাধে সরকার বাহাদুর আমাকে দণ্ড দিবেন। এই সব অধিকার না থাকতে যদি স্বাধীনতা না থাকে তো সেই lo না থাকুক, তাহাতে কাজ নাই । যাহাতে নিজের ও উল্পের গ্রহণ, ঐ যে আনন্দা ভব তাহ। যাহাতে ঐ ঐ কল্যাণ না হয়, বরং অকল্যাশই হয়, সেই স্বাধীনতা যেন