পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ساله& হইতে পারিতেছে না, তাহ আমরা অনেকবার দেখাইয়াছি। ভারতবর্যের ভবিষ্যৎ শাসন-ব্যবস্থাতে এই অবিচারকে স্থায়ী করিবার চেষ্টা হইতেছে। ফেডার্যাল ফিন্যান্স কমিটি র্তাহাদের রিপোর্টের পঞ্চম পৃষ্ঠায় একটি তালিকা দিয়াছেন। তাহাতে র্তাহাদের অনুমানে ভবিষ্ণুতে কোন প্রদেশে আয় অপেক্ষা ব্যয় কত কম ব৷ বেশ হইবে, অর্থাৎ উদৃত্ত বা ঘাটতি কত হইবে তাহ তাহারা দেখাইয়াছেন। তালিকাটি নীচে দিলাম। প্রদেশ উদ্ধৃত্ত বা ঘাটতি মন্দ্রিাজ ২০ লক্ষ ঘাতি বোম্বাই 996 وو وو বাংল। দুই কোটি , আগ্ৰা-অযোধ্য। ২৫ লক্ষ উদ্ভূক্ত পঞ্জাব ** , » বিহার-উড়িষ্ণু ৭০ , ঘাটতি মধ্যপ্রদেশ > * >, >, আসাম ·ჯა(! 33 32 কমিটি তাহদের রিপোর্টের সপ্তম পৃষ্ঠায় অবিচারের উপর বঙ্গের পক্ষে অপমানজনক বাক্যও প্রয়োগ করিয়াছেন । র্তাহারা বলিয়াছেন, বঙ্গের এইরূপ ঘাটতি হইবে যদি অন্য কোন কোন প্রদেশের ব্যয়ে তাহার প্রতি fo-so "Toto al-oil 3 (“except by special treatinent at the other Provinces" ), অর্থাৎ অন্য কোন কোন প্রদেশ দয়া করিয়া বাংলা দেশকে কিছু ভিক্ষা দিলে বঙ্গের আয়ব্যয় সমান হইতে পারে। বাংলার টাকা যথাসাধ্য কাড়িয়া লইয়া, এমন কি তাহার একচেটিয়া পাট হইতে প্রাপ্ত চারি কোটি টাকার আধপয়সাও তাহাকে না দিয়া, তাহাকে ভিক্ষুক সাজান হইতেছে ! - অথচ প্রধানতঃ এই “ভিক্ষুক” বাংলার রাজস্ব হইতেই ইংরেজ-রাজত্বের প্রথম বহুবৎসর রাজ্যবৃদ্ধি ও অন্ত অনেক প্রদেশের ঘাটতিপূরণ করা হইত ও চলিত। তখনকার চেয়ে এখন বঙ্গে নানা রকমে সরকারী আয় অনেক বেশী হয়। তখন খে-বাংলা অন্য অনেককে টাকা দিতে পারিত, আজ তাহার অনেক ধন “আইনসঙ্গত” বন্দোবস্তে অন্যত্র expense of S99áు ব্যয়ের বন্দোবস্ত করিয়া বলা হইতেছে, যে, অন্তে দয়া না-করিলে তাহার আয়ব্যয় সমান হুইবে না। তাহা যদি নাই হয়, তাহ হইলে কয়েক পুরুষ ধরিয়া বাংলা দেশ হইতে স্থত রাজস্ব অন্যত্র চালান হইয়াছে, আগে তাহা ফিরাইয়া দিয়া তবে দয়া ও ভিক্ষার কথা বলিলে তবু তাহা কিঞ্চিং সঙ্গত হয়। বাংলা দেশের রাজস্ব যে নিজ ব্যয়নিৰ্ব্বাহের পর অন্যান্য কায্যের জন্য যথেষ্ট ছিল, তাহার কিছু প্রমাণ সরকারী ও বেসরকারী বৈদেশিকদের উক্তি হইতে নীচে দিতেছি । ১৭৮০ খ্ৰীষ্টাব্দে প্রধান সেনাপতি স্তর আয়ার কুট সকৌন্সিল গবণর জেনার্যালকে চিঠি লিখিয়া জানাইয়াছিলেন, যে, “মাস্ত্রাজের খাজনাখানায় টাকাকড়ি নাই, এবং মান্দ্রাজের তখনই তখনই মাসে সাত লক্ষ টাকার উপর দরকার যাহার প্রত্যেকটি কড়ি বাংলা হইতে আসা চাই ; কারণ তিনি দেখিতেছেন অর্থাগমের এমন কোন উপায় নাই যাহা হইতে একটি মুদ্রাও পাইবার আশা করা যাইতে পারে।” ১৭৯২ সালে প্রধান সেনাপতি লণ্ডনে ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর কেন্দ্রীয় আপিস ইণ্ডিয়া হোসে প্রেরিত একটি চিঠিতে জানান, যে, “দেশের তাৎকালিক অবস্থায় সৈন্যদলকে ও অধিবাসীদিগকে বাংল৷ হইতে আনীত অর্থের দ্বারা বাচাইয়া রাখিতে হইতেছে।” ১৭৬৫ সালে ক্লাইব শাহ আলম বাদশার নিকট হইতে বাংলা বিহার উড়িষ্যার দেওয়ানী প্রাপ্ত হন। তাহার পরবর্তী প্রথম ছয় বৎসরে বাংলা প্রেসিডেন্সীর গড় বাধিক আয় ও বায়ু যথাক্রমে ২,২৭,২২, ৭০ টাকা ও ১,৫০,৪৯,৩৪০ টাকা ছিল । ঐ সময়ে মান্দ্রাজের আয়-ব্যয় ছিল ৪০,৫১,৯১০ ও ৫৯,৫৯,২০০ টাকা এবং বোম্বাইয়ের আয় ৭,৬০,৫৭০ ও ব্যয় ৩•,৬৩,১৯০ ছিল । এই দুই প্রদেশের ঘাটতি বাংলার রাজস্ব হইতে পূরণ করিতে হইত। ১৭৭০ খ্ৰীষ্টাব্দের পর বঙ্গে ভীষণতম ফুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ঐ সালের পরবর্তী আট বৎসরেও বাংলার গড় বার্ষিক আয় ছিল ২,৬২,৬৫,১৯০ টাকা এবং ব্যয় ছিল ১,৪৩,৫৭,৮৯০ টাকা। ঐ আট বৎসরে শুধু বোম্বাইয়েরই ঘাটতি টাকা হইয়াছিল এবং ংলা হইতে মাম্রাজ ও বোম্বাইকে ১,৮৫,২৫,২৭• ১,৮১,৪৮,৯০০