পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মক্তব-মাদ্রাসার বাংলা ভাষা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৈশাখের প্রবাসীতে মক্তব মাত্রাসার বাংলা ভাষা প্রবন্ধটি পড়ে দেখলুম। আমি মূল পুস্তক পড়িনি, ধরে নিচ্চি প্রবন্ধ-লেখক যথোচিত প্রমাণের উপর নির্ভর করেই লিখেচেন। সাম্প্রদায়িক বিবাদে गश्त cरु कच्छ्द्र ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে ভারতবর্ষে আজকাল প্রতিদিনই তার দৃষ্টান্ত দেখতে পাই, কিন্তু হাস্যকর হওয়াও যে অসম্ভব নয় তার দৃষ্টান্ত এই দেখা গেল। এটাও ভাবনার কথা হ’তে পারত, কিন্তু সুবিধা এই যে এ রকম প্রহসন নিজেকেই নিজে বিন্দ্রপ করে মারে। ভাষা মাত্রের মধ্যে একটা প্রাণধৰ্ম্ম আছে। তার সেই প্রাণের নিয়ম রক্ষা করে তবেই লেখকেরা তাকে নূতন নূতন পথে চালিত করতে পারে। এ কথা মনে করলে চলবে না যে, যেমন করে হোক্ জোড়াতাড়া দিয়ে তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বদল করা চলে। মনে করা যাক বাংলা দেশটা মগের মুল্লুক এবং মগ রাজার বাঙালী হিন্দু মুসলমানের নাক চোখের চেহারা কোনোমতে সহ করতে পারচেন, মনে করচে ওটাতে তাদের অমর্ধ্যাদ, তাহলে তাদের বাদশাহী বুদ্ধির কাছে একটিমাত্র অপেক্ষাকৃত সম্ভবপর পন্থ। থাকতে পারে সে হচ্চে মগ ছাড়া আর সব জাতকে একেবারে লোপ করে দেওয়া । নতুবা বাঙালীকে বাঙালী রেখে তার নাক মুখ চোখে ছুচ স্থতো ও শিরিশ আঠার যোগে মঙ্গের চেহারা আরোপ করবার চেষ্টা ঘোরতর দুৰ্দ্দাম মগের বিচারেও সম্ভবপর ব’লে ঠেকতে পারে না । - i এমন কোনো সভ্য ভাষা নেই বা নানা জাতির সঙ্গে নানা ব্যবহারের ফলে বিদেশী শৰ কিছু নী-কিছু জাত্মসাৎ করেনি। बश्कण भूननषादमग्न गपवाद . প্রমাণ ভাষার মধ্যে প্রচুর রয়েচে। যত বড় নিষ্ঠাবান হিন্দুই হোক না কেন ঘোরতর রাগারগির দিনেও প্রতিদিনের ব্যবহারে রাশি রাশি তৎসম ও তদ্ভব মুসলমানী শব্দ উচ্চারণ করতে তাদের কোনো সঙ্কোচ বোধ হয় না। এমন কি, সে-সকল শব্দের জায়গায় যদি সংস্কৃত প্রতিশব্দ চালানো যায় তাহ’লে পণ্ডিতা করা হচ্চে ব’লে লোকে হাসবে। বাজারে এসে সহস্র টাকার নোট ভাঙানোর চেয়ে হাজার টাকার নোট ভাঙানো সহজ। সমনজারি শবের অৰ্দ্ধেক অংশ ইংরেজী, অৰ্দ্ধেক পার্সি, এর জায়গায় “আহ্বান প্রচার” শব্দ সাধু সাহিত্যেও ব্যবহার করবার মত সাহস কোনো বিদ্যাভূষণেরও হবে না। কেন-না, নেহাৎ বেয়াড়া স্বভাবের না হ’লে মানুষ মার খেতে তত ভয় করে না যেমন ভয় করে লোক হাসাতে। “মেজাজটা খারাপ হয়ে আছে," একথা সহজেই মুখ দিয়ে বেরোয় কিন্তু যাবনিক সংসর্গ বাচিয়ে যদি বলতে চাই মনের গতিকটা বিকল কিম্বা বিমর্ষ বা অবসাদগ্রস্ত হয়ে আছে তবে আত্মীয়দের মনে নিশ্চিত খটকা লাগবে। যদি দেখা যায় অত্যস্ত নির্জলা খাটি পণ্ডিতমশায় ছেলেটার ষত্ব-শত্ব শুদ্ধ করবার জন্তে তাকে বেদম মারচেন, তাহ’লে ব’লে থাকি, “আহা বেচারাকে মারবেন না।” যদি বলি “নিরুপায় বা নিঃসহায়কে মারবেন না” তাহলে পণ্ডিতমশায়ের মনেও করুণরসের বদলে হাস্তরসের সঞ্চার হওয়া স্বাভাবিক। নেশাখোরকে যদি মাদকসেবী ব’লে বসি লে মনে করতে পারে তাৰে একটা উচ্চ উপাধি দেওয়া হ’ল। বামায়েলকে ছত্তি বললে তার চোট তেমন থাকতে বাংলা ভাষাও অনেক পারলী শখ এবং কিছু কিছু *蠍" কালি লমান উন্ন খাদ্ধ: همایید: আৱৰীও স্বভাবতই গ্রহণ করেছে। বড় বাংলা ভাৱে