পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ エ স্বাগত। \ుeసి স্থিরতা নাই, এই জন্য প্রভাবতীকেও পত্র লিখিতে নিষেধ করিয়াছিল। প্রভাবতীর ভারি রাগ হইল হইবারই কথা । আদর কি শুধু মুখের না কি, আর চক্ষের আড়াল হইলেই কোন খোজ-খবর নাই । খবর যে একেবারে না আসিত এমন নয়, কেন-ন মাঝে মাঝে কলিকাতা হইতে গঙ্গাধরের কোন বন্ধু হরিনাথের বাড়িতে সংবাদ পাঠাইত তাহার দুই জন ভাল আছেন, নানা স্থানে ভ্রমণ করিতেছেন, কিন্তু হরিনাথ কিংবা গঙ্গাধর নিজে কোন পত্র লিখিত না । পূৰ্ব্বে কখন এরূপ হয় নাই । বিদেশে গেলে চিঠিপত্র দেওয়া যেমন নিয়ম সেইরূপ আসিত । এবার কি হইল ? দুই একবার গঙ্গাধবের মাত পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন,—ই বউম, গঙ্গাধরের কোন চিঠি আসে ন কেন ? প্রভাবতী বলিল,—ত কেমন করে জানব, মা ? এর আগে ত এ রকম হ’ত না । প্রভাবতী ভাবিত যদি গঙ্গাধর পত্র না লেথে তাহ হইলে তারই বা এত মাথাব্যথা কেন ? কিন্তু তাই বলিয়া ত নিশ্চিন্তু থাকিতে পারা যায় না । অবশেষে প্রভাবতী স্বাগতাকে পত্র লিখিল । লিখিল, আমাদের এখানে ত কোন চিঠিপত্র আসে না, তুমি কি পেয়েচ ? উত্তরে সরলস্বভাব স্বাগত হরিনাথের চিঠিখানি পাঠাইয় দিল । লিখিল, এই একখানি চিঠি এসেচে আর কোন পত্র পাইনি। চিঠিতে ঠিকানা নেই আর আমাকে লিখতে বারণ করেচেন সেই জন্য আমি আর লিখি নি । প্রভাবতী চিঠি অনেক বার পড়িল । শেষে লেখ আছে, সকল সময় তোমাকে মনে পড়ে। তুমি কখন কখন আমাদের মনে কর ত? এ কথার মানে কি ? শুধু কি লিখিতে হয় বলিয়া লেখা, না ইহার ভিতর আর কিছু অর্থ আছে ? এ রকম কথা চিঠিতে সদাসৰ্ব্বদা যে সে লেখে তাহার বিশেষ কোন অর্থ হয় না । হরিনাথও কি সেইভাবে স্বাগতাকে লিখিয়াছিল ? আর যদি কোন গৃঢ় অর্থ থাকে তাহ হইলে কি এ ভাবে লেখা উচিত ? স্বাগত কে তাহা কেহ জানে না। তাহা হইলেও সে را حسعه যুবতী, সুন্দরী, হরিনাথ স্বয়ং বিপত্নীক, স্বাগতাকে সকল সময় তাহার মনে পড়ে কেন ? স্বাগত কি জাতি, সধবা কি বিধবা, তাহাও কাহারও জানা নাই। প্রভাবতী আবার ভাবিল যদি স্বাগতাকে সকল সময় মনে পড়ে তাহা হইলে হরিনাথ দেশভ্রমণে বাহির হইল কেন ? হরিনাথকে স্বাগত মনে করে কি না সে কথা জিজ্ঞাসা করা কেন ? স্বাগতার হৃদয়ে হরিনাথের স্থান আছে কিন। ইহা ব্যতীত এ কথার আর কি অর্থ হইতে পারে ? তাহার পর স্বাগতাকে দেশের বাড়িতে না রাখিয়। কলিকাতায় রাখিয়া গেল কেন ? কলিকাতায় সে লেখাপড়া শিখিতেছে, আর দেশে থাকিলে কত লোকে কত রকম কথা বলিত সেই এক কারণ হইতে পারে। ভাবিতে ভাবিতে আসল কথা ধ। করিয়া প্রভাবতীর মনে হইল। সে স্থিরসিদ্ধান্ত করিল হরিনাথ ও গঙ্গাধর বেড়াইতে যায় নাই, স্বাগতার পূর্ববৃত্তান্ত জানিতে গিয়াছে। সেই কারণে তাহার চিঠিপত্র লেখে না, গোপনে সন্ধান করিতেছে। স্বাগতার সম্বন্ধে কি রহস্য আছে তাহারা খুজিয়া বাহির করিবে । প্রভাবতীর মনে আর কোন সংশয় রহিল না । শাশুড়ীকে গিয়া প্রভাবতী বলিল,—ম, আমি একবার কলকেতায় যাব ? —কলকেতায় ? কেন ? —স্বাগত একলা রয়েচে, কিছু দিন আমি তার কাছে গিয়ে থাকি না কেন ? —তাহ’লে হরিনাথ সে কথা ব’লে যেতেন । আর গঙ্গাধরের মত না নিয়ে তোমাকে কেমন ক’রে পাঠাব ? —ওঁর অমত হবে কেন ? —এখন আর কিছু দিন দেখি, তার পর না-হয় তুমি যেও | এবার প্রভাবতী আর পীড়াপীড়ি করিল না । বিংশ পরিচ্ছেদ -প্রতিশোধ একটা গগুগ্লামে সকল রকম লোকই থাকে, অতএব কাৰ্ষিকদের গ্রামে যে জন-কতক গোয়ারগোবিন্দ যুবক y