পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাত্র हैङ्गों ৬২৩ বললে—একটা নতুন গান শিখছি, শোন, কিন্তু আস্তে আস্তে গাইব । - ঝিরিঝিরি বাদলধারার সঙ্গে সে মৃদুস্বরে গাইতে আরম্ভ করলে—‘এ ভরা বাদর, মাহ ভাদর, শূন্ত মন্দির মোর! যখন গান থামল বিষ্টি থেমে গেছে, কৃষ্ণচূড়া ও নারিকেল গাছের পাতাগুলি ঝিকিমিকি করছে, কিন্তু আমার মনে যে মাদল বাজতে স্বরু হয়েছিল তা আর থামতে চাইল না। ধীরে ইরার হাতখানি নিজের হাতে টেনে নিলাম, বারিক্ষাত আকাশের মালোর মায়ার দিকে চেয়ে সে হাত ধ’রে কতক্ষণ বসেছিলাম জানি না, যখন খেয়াল হ’ল দেখি ইরা উঠে চলে গেছে । সেই ইরাকে এতদিন পরে আবার কি রূপে দেখব ! য়্যালবামট মুড়ে চারদিকে চাইতে চমকে উঠলাম। আমি যখন এক শরৎ-মধ্যাঙ্গের স্বমধুর স্মৃতির স্বপুরাজ্যে ছিলাম, ধীরে ধীরে সন্ধ্যার রঙীন মায়া মিলিয়ে গেছে, রাত্রির নিবিড় তিমিরে ঘরবাড়ি পথ মাঠ নদী আকাশ ঘন আচ্ছন্ন ; আকাশে একটি তারাও নেই, ঘরে টেবিল চেয়ার ছবি ফুলদানি সব অন্ধকারে একাকার । মনে হল, বহুক্ষণ ঘরে বসে আছি ! গভীর রাত হয়ে গেছে ! কিন্তু কই, ইর এল না ! চাকরট কোথায়? একটু ভয় করে উঠল, বড় আনক্যানি’ ! দাড়িয়ে উঠে চকেরটাকে একটা ইাক দেব ভাবছি, একটা জোলে৷ ঝোড়ো বাতাসে ফ্রেঞ্চ-জানলার কাচগুলি ঝনঝন করে উঠল, পর্দাগুলো দুলিয়ে এক স্বদীর্ঘনিশ্বাস ঘরের অন্ধকার গুলিয়ে দিলে। তারপর সব নীরব ; কি গভীর স্তব্ধতা ! কালে পাথরের মত সে স্তব্ধতা পৃথিবীর বুকে চেপে, ঘরের অন্ধকারে সে স্তন্ধত ঘনীভূত কালো পিচের মত। দাড়াতে গিয়ে পা কেঁপে উঠল ; চেচাতে গিয়ে গলার স্বর বার হ’ল না। অন্ধকার যেমন শব্দহীন তেমনি সঘন ; নিজের হাতও দেখা গেল না ; কোথাও একটু আলো নেই ? প্রদীপের একটু স্তিমিত শিখা? চোথ দু’টাে জলতে লাগল। পকেটে দেশলাইও নেই, আলোর ইচটাই ৰ শোখায়! কিন্তু সেই কৃষ্ণ স্তব্ধতায় একটু নড়তে, উঠতে, শব্দ করতে ভয় হ’ল । চোখ বুজতে চাইলুম, পারলাম না ; সে মহানীরব তিমিরপুঞ্জ আমাকে যাদু করলে, ক্ষুধিত চোখে চেয়ে রইলুম কি দেখবার আশায় ! মনে হ’ল, ফায়ার প্লেসের ডানদিকের দরজাটা কে খুললে ; দরজা খোলা কি বন্ধ অন্ধকারে তা কিছুই দেখা যায় না ; বাইরের রাত্রির অন্ধকারের সঙ্গে ঘরের অন্ধকার এক হয়ে গেছে ; তবু মনে হ’ল, কে দরজা খুলে ; শব্দ একটু হ’ল না, নিস্তন্ধত তেমনি ভয়ঙ্কর ; তবু মনে হ’ল, দরজা খুলে কে দরজার পাশে চেয়ারে বস্লে ; যে বস্লে তাকে দেখতে পাওয়া অসম্ভব, নিরন্ধ অন্ধকারের পটে আরও নিবিড়তম ঘনীভূত ছায় ; তবু মনে হ’ল, পিচফল রঙের শাড়ীর সবুজ পাড় কালোর ওপর ; সে অন্ধকারে রক্তিম পীত সবুজ নীল সব একাকার ; তবু মনে হ’ল, সবুজ পাড়ের পিচফল রঙের শাড়ী অন্ধকারে রঙীন কুজুটিকার মত । তারপর যা ঘটুল তা ভাষায় বোঝান অসম্ভব। বড় বিচিত্র, ভাষাতীত সে অনুভূতি। দেখলাম বললে ভুল হবে ; সে অন্ধকারে কিছু দেখা সম্ভবপর ছিল না ; কিন্তু আমার সমস্ত ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করলাম, আমার চৈতন্য দিয়ে ; যে মূৰ্ত্তিটি দরজার পাশে চেয়ারে বসেছিল, সে ধীরে উঠল, আমার দিকে করুণ নয়নে চাইলে, আবার দরজা দিয়ে পাশের ঘরে প্রবেশ করলে, তারপর সে অন্ধকারে এক ঘরে বসে গান গেয়ে ਚੋੇ ! "এ ভরা বাদর, মাহ ভাদর, শূন্য মন্দির মোর ! সে গানের স্বর যন্ত্রের না মানবকণ্ঠের, ভৌতিক নী স্বাভাবিক তা বিচার করবার বুদ্ধি তখন লুপ্ত, সময়ের গতির উপলব্ধি ছিল না । অকুম্ভব করলাম, অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সব কালের ধারা এক সৃজমে মিশে এক স্রোতে প্রবাহিত ; সেই সম্মিলিত প্রবাহের সঙ্গে এই ঘরবাড়িভরা পৃথিবীব্যাপী गर्छौब्र छक अककब्र चांभीब्र , फ्रॉब्रमिक श्रांबर्डिङ श्छ् ; o