পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ురిe ফৌজের পুনর্গঠিত বাম ও দক্ষিণ পক্ষ দ্বারা মেবার-সৈন্য দুই পাশ্ব হইতে আক্রাস্ত হইবার আশঙ্কা দেখিয়া মহারাণ নিজের সৈন্য পিছু হঠাইয়া লইলেন। তিনি হলদীঘাটের মধ্য দিয়া পৰ্ব্বতশ্রেণীর অপর পাশ্বে ফিরিয়া আসিলেন । মেবার-সৈন্যের ছত্রভঙ্গ হইয় প্রাণভয়ে পলাইয়াছিল বলিয়া বদায়ুনী লিখেন নাই । তিনি বলেন মহারাণার পিছু লইবার মত সাহস ও শক্তি মোগল-সৈন্তের ছিল না। দুপুর বেলায় ভীষণ “লু” চলিতেছিল এবং গরমে মাথার খুলির মগজ পর্যন্ত সিদ্ধ হইতে লাগিল। মোগলসৈন্যেরা বিশেষ সন্দেহ করিল রাণী পাহাড়ের পিছনে ছল করিয়া ওং পাতিয়া আছেন [ ghunau i ghalib in bud হলদীঘাটের যুদ্ধ বর্ণনায় টড লিখিয়াছেন,— “Sukhta whose personal enmity to Pertap had made him a traitor to Mewar, beheld from the ranks of Akbar the blue horse only to flying unattended. but joined in the pursuit, slay the pursuers [ Khorasani and Mu'tani: who fell beneath his মহারাণ রাজসিংহের সময় রচিত রাজপ্রশস্তি কাব্যের দ্বারা সমর্থিত হইলেও পণ্ডিত গৌরীশঙ্করজী ইহা সম্পূর্ণ কাল্পনিক বলিয়া ত্যাগ করিয়াছেন। মোল্লা আবদুল কাদের বদায়ুনী স্বয়ং হলদীঘাটে উপস্থিত ছিলেন। তিনি লিখিয়৷ গিয়াছেন, যুদ্ধের পর মোগল-সৈন্য অত্যন্ত ক্লাস্ত * এবং শত্রুর পশ্চাৎ অনুসরণ করিতে অসমর্থ হইয়া পড়িয়ছিল ; অধিকন্তু রাণীর গুপ্ত আক্রমণের ভয়ে বিজেতাদের সোয়াস্তি ছিল না । শক্তসিংহ মোগলের পক্ষে বা বিপক্ষে lance.” (Rajastham, i. 314 ).

  • “And when the air was like a furnace and no power of movement was left in the soldiers, the idea became prevalent that the Rana by stealth and stratagem must have kept himself concealed behind the mountains. This was why there was no pursuit, but the soldiers retired to their tents and occupied themselves in the relief of the wounded.” (Lowe's translation of Muntakhab-uttawagikh, ii. 239).

S99áు হলদীঘাটে আদেী উপস্থিত ছিলেন না, স্বতরাং খোরাসানী ও মুলতানী সঙ্গার এবং “খোরাসানী-মুলতানী কা অগগল” ভাটের কল্পনামাত্র। হলদীঘাটের যুদ্ধের পর মোগল-শিবিরে কুমার সেলিম কর্তৃক শক্ত সিংহকে তিরস্কার ও বিদায় ইত্যাদিও জাজ্জ্বল্যমান মিথ্যা ; সে-সময় হয়ত ছয় বৎসরের বালক সেলিম ফতেপুর সিক্রীর অন্দরমহলে কবুতর উড়াইতেছিলেন। টড-বর্ণিত শক্তসিংহের জীবনীর এই অংশ পণ্ডিত গৌরীশঙ্করজী অবিশ্বাস্ত বলিয়াছেন। কিন্তু শক্তসিংহের সহিত প্রতাপের বিবাদ, যুদ্ধে উদ্যত ভ্রাতৃদ্বয়ের সম্মুখে পুরোহিতের প্রাণত্যাগ, প্রতাপ কত্ত্বক শক্তসিংহের নির্বাসন ইত্যাদি ব্যাপার তিনি আলোচনা করেন নাই ; যেন পাশ কাটাইয়া গিয়াছেন বলিয়া মনে হয়। টডের রাজস্থান’ অনুসারে শিকারের সময় প্রতিযোগিতাই বিবাদের কারণ } বিংশভাস্কর’-প্রণেতা সুরজমল বলেন, প্রতাপসিংহ চেটক ও অন্যান্ত অনেক আরবী ঘোড়া খরিদ করিয়াছিলেন, কিন্তু উহার একটিও শক্তসিংহকে না দেওয়াতে তিনি রুষ্ট হইয়া মোগল-সম্রাট আকবরের কাছে গিয়াছিলেন । ( বংশভাস্কর, পৃ. ১৬৫৮) । কিন্তু আকবরনামায় লেখা আছে শক্তসিংহ উদয়সিংহ বাচিয় থাকিতে একমাত্র আকবরের কাছে গিয়াছিলেন ; এবং আকবরের মেবার-আক্রমণের জল্পনা-কল্পনা শুনিয়া তিনি মোগল-শিবির হইতে পলায়ন করেন। সুতরাং প্রতাপের রাজ্যারোহণের পর এ ঘটনা হয় নাই ইহা সুনিশ্চিত ; এবং রাজ্যারোহণের পূৰ্ব্বেও তাহদের মধ্যে কোন বিবাদের কারণ বিদ্যমান ছিল না। উদয়সিংহের অবিচার ও তাচ্ছিল্য সমান ভাবেই প্রতাপ ও শক্তসিংহের পূৰ্ব্বজীবন বিষময় করিয়া তুলিয়াছিল। যদিও টড সাহেব বলিয়া গিয়াছেন, আত্মত্যাগী পুরোহিতের বংশধরেরা র্তাহার সময় পৰ্য্যস্ত সম্ভবত:—অদ্যাবধি–জাগীর ভোগ করিয়া আসিতেছেন তবুও এ সমস্ত আগাগোড়া কাল্পনিক মনে হয় । মহারাণা প্রতাপের সময় হইতে উদীয়মান শক্তাবতগণের পৌরুষ ও শৌর্ঘ্যে প্রাচীন চুণ্ডাবতদিগের প্রভাব কিঞ্চিং ক্ষুণ্ণ হইতে থাকে ; এবং পরবর্তীকালে “হরাবল”