পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

、ジlE○ অনামী \\y©ጫ একবার ওদিক পানে যাস । হা, ভাল কথা, আমার টাকাগুলোর কি কবৃলি ? দুই সন হয়ে গেল, সব টাকা এখনও পরিশোধ হ’ল না। অবস্থাও খারাপ—” যদু কিছু দিন সময় চাহিয়া লইল । মহেশ-খুড়ে যদুর পিতার খাইয়। মানুষ । আজ গোয়ালভরা গরু, গোলাভর ধান ও পচিশ-ত্রিশ বিঘা ফলন্ত জমির মালিক সে। লোকের কাছে তাহার খাতির আছে। খুড়োর দুই ভাই। নিজের দুই ছেলে, ছোটভাইয়ের দুই মেয়ে— বড়টির নাম রাসমণি । রাসমণি খঞ্জ ; তাই আজও তাহার বিবাহ হয় নাই। খুড়ে শৈশবের কথা স্মরণ করিয়া যদুকে তাগাদ দেয় কম। কিন্তু আজিকার মত অন্যদিন শূন্ত হাতে ফিরে না । একদিন প্রসন্নডাক্তার তাঁহাদের গ্রামে আসিলে, যদু বিরাজকে দেখাইল। ডাক্তার বিধিমত ব্যবস্থা দিল । বলিল, “ভারি শক্ত ব্যারাম—পেট ও বুকের ভিতর মস্ত এক প্রলয় বাধিয়া গেছে। খুব সাবধানে থাকা দরকার। তবে— নিশ্চয় সারিবে।” যদু আশ্বস্ত হইয় শিশিভর ঔষধ আনিল, কটু স্বাদ, উগ্র গন্ধ । কিন্তু বিরাজ তাহ খাইল ধরাবাধা নিয়মও তাহার ভাল লাগে না, কোনকালে ডাক্তার-বৈদ্যকে তাহাদের ঘরে সে দেখে নাই। সব বিষয়ে যদুর বাড়াবাড়ি। তাহার জন্য আজ অবধি থরচ হইল কি কম! গ্রামের কয়টা লোক ডাক্তারের ঔষধ থায় ? ব্যারাম হইলে কি তাহাদের সারে না ? বাচ-মর ভাগ্যের লিখন-বিরাজও বঁচিল না--- મેંી ! দিন চলে সেই পূৰ্ব্বের মতই। কেবল বিরাজই নাই । যশোদাকে দেখিয় পড়সীরা বলে, “ঘোষের ভাগি দেখে হিংসে হয় । এক মেয়েতে বাসুকীর মত সংসারটা মাথায় করে রেখেছে । আমরাও ওর সঙ্গে পারি নে।” যদুও আর তিন প্রহর বেলায় ঘরে ফিরিতে পারে ন!—কেবলই মনে হয় ত যশোদা একলা ঘরে তাহার অপেক্ষায় আছে। কোন কোন দিন সে বাহির হয় না, ঘরেই থাকে। যশোদার কাজকৰ্ম্মে সাহায্য করিতে যায়। যশোদা বলে, عیج٤٤ তুমি ছাড় বাবা ও সব তোমার কাজ নয়।” মেহের তাড়নায় যদু বুঝিতে পারে না, কোন কাজটা তাহার। আজকাল যদুর কি হইয়াছে —মনে হয়, পথে পথে ঘুরিবার মত তাহার শরীরে পূর্বের সে বল নাই । মাত্র ছয়মাসে সে হঠাৎ বৃদ্ধ হইয় পড়িয়াছে। যশোদাকেও একটু ডাগর দেখায়। তাহার বুদ্ধিট। আরও প্রখর হইয় উঠিয়াছে। যদু যেন তাহার ছেলে, সে যেন তাহার মা, এমনি ভাবও সময় সময় প্রকাশ করে। সেদিন ও সে বাহির হয় নাই। ঘরের পাশে গাছতলায় নিশ্চিন্তমুখে বসিয়া তাম্রকুট সেবন করিতেছে। খুড়ে আসিয়া উপস্থিত। যদুর হাত হইতে কাটি লইয়া কহিল, “যদু, আবার একটা বিয়ে-থা করে সংসারী হ’ । মেয়েটা ত দুদিন বাদে পরের ঘরে চলে যাবে—” খুড়োর আঙ্কেল কোন কালেই হইবে না। পচিশ বৎসরের সম্বন্ধ এত সহজেই ভোলা যায় ? যত্ন যখন পনেরো বৎসরের বিরাজ দশবৎসরের মেয়ে—তাহীদের বিবাহ হয়। তাহাদের চার ছেলে, এক মেয়ে হইয়াছিল। একে একে চারটিকেই সে ঐ কালিগঙ্গার শ্মশানে রাখিয়া আসিয়াছে। বাকী ঐ মেয়েটুকু। বিরাজের চোথের জল একদিনের তরেও শুকায় নাই । সে-সব কথা আজও মনে পড়ে। ঐ সব ভাবিয়া ভাবিয়াই না বিরাজ চলিয়া গিয়াছে । আর ঐ মেয়েকে কি সে আর একটা বিবাহ করিয়া পর করিয়া দিবে ? উত্তরে কহিল, “খুড়ে, এ বুড়ে বয়সে আর কেন ?” “তোর বয়সটা এমন বেশী কোথায় শুনি ? এই ত সেদিন ও-পাড়ার নোদোটা চিনিবাসের মেয়েকে বিয়ে করে আনলে । তার বয়স দুকুড়ি সাত বছর আর তুই হ’লি বুড়ে ? কালকের ছেলে,-মাথার ওপর কেউ না থাকৃলে এমন হয় ।” খুড়োর স্নেহমাখা কথায় কিন্তু যদুর অস্বস্তি বোধ হয়। খুড়ে আবার কহিল, "বলি শোন। আমাদের রাসমণিকে—” আসল কথাট এবার যদুর মনে নিমিষে দেখা দিল । মনের ভাব গোপন করিয়া কহিল, “আগে মেয়েটার বিয়ে 帘P”