পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज[द्ध &খনও বা তাহাকে বীজ হইতে আরম্ভ করিয়া শরীর গঠন করিয়া লইতে হয়। আছে : শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে অনেরণীয়ান মহতে মহীয়ান আত্মা গুহায়াং নিহিঙ্গেহস্ত জন্থে: অর্থ{ং, অণু হইতেও অণু ও মহং হইতেও মহৎ আত্মা প্রাণীদের গুহ্যমধ্যে অর্থাং হৃদয়ে নিহিত আছেন । অতএব দেখা যাইতেছে ঋষির আত্মোপলব্ধির বিবরণ --নিয়া লইলে উহ হিসাবে পুনর্জন্ম মানিতে হয় । মনস্কাম جج كونا জাতিস্মরত। মানিলে ঘটন: হিসাবেই পুনর্জন্ম মানিতে ट्प्र ! পরিশেষে বক্তব্য এই যে মৃত্যুর পর আত্মার পুনর্জন্মবাদ কেবল যে আমাদের মত আধুনিক যুক্তিবাদীর পক্ষেই দুঞ্জেয় তত্ত্ব তাই নহে । কঠোপনিষদে আছে, নচিকেত। যখন যমকে প্রশ্ন করিলেন যে মৃত্যুর পর আত্ম। থাকে কি না, তখন যম বলিলেন—‘ন হি সুবিজ্ঞেয়ু মন্তরেস ধৰ্ম্মঃ’ অর্থাৎ এই ব্যাপার সহজে বুঝিতে পারা যায় ন}, অতএব হে নচিকেত ‘মরনং মাতু প্রক্ষিীঃ”—মরণ সম্বন্ধে প্রশ্ন করি ও না । মনস্কাম শ্রীরবীন্দ্রনাথ মৈত্র বড়দিনের ছুটিতে পকেটে ষ্টেথসকোপ ও হাতে ব্যাগ লইয়। চৌবাঘায় মামাবাড়ীতে গিয়া উপস্থিত হইয়াছিলাম । যামী-মাকে প্রণাম করিয়া কেবল দাড়াইয়াছি, এমন সময় একটি ছেলে আসিয়া কহিল, “আপনাকে ডাকৃছে।” মামাবাড়ীতে মাঝে মাঝে আসিতাম, দুই-এক জন বন্ধুবান্ধবও জুটিয়াছিল, তাহাদেরই কেহ সম্ভাষণ জানাইতে আসিয়াছে ভাবিয়া তাড়াতাড়ি বাহিরে আসিলাম । একটি বৃদ্ধ ভদ্রলোক বারান্দায় দাড়াইয়া ছিলেন, আমাকে দেখিয়াই জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি ডাক্তার ?” কহিলাম, “হ্যা, কেন বলুন তো ?” বৃদ্ধ কহিলেন, “ভালই হয়েছে! আপনাকে পান্ধী থেকে নামতে দেখেই ছুটে এসেছি। একটু যেতে হবে! গরীব মানুষ দয়া না করলে—” কোথায় যাইতে হইবে, কাহার অমুখ, সে কথা আর জিজ্ঞাস করিলাম না, ষ্টেথ'কোপটি পকেটে ফেলিয়া ভদ্রলোকের সঙ্গ ধরিলাম। মিনিট পনেরো পর বঁাশের ঝোপে ঘেরা একখানি একচালা ধরের আঙ্গিনায় গিয়া দাড়াইলাম। ঘরের দরজায় একটি যুবক গামছা কোমরে জড়াইয়া দাড়াইয়া ছিল, ডাকিল, “ভিতরে আসুন !” কোমরে গামছা জড়ান মানুষ দেখিয়াই বুঝিলাম যে, সম্ভবতঃ রোগীর আর ডাক্তার দেখাইবার বেশী দিন প্রয়োজন হইবে না । ঘরে ঢুকিলাম। ঘরের কোণে বাশের মাচার উপরে একটি বৃদ্ধ শুইয়াছিলেন । বুঝিলাম, ইহারই রোগ আরোগ্য করিবার জন্ত আমি আসিয়াছি । রোগিনীর পাশে বসিয়া নাড়ী পরীক্ষা করিতেছি, এমন সময় বৃদ্ধ। হাত টানিয়া লইয়া কহিলেন, “ও ছাই দেখে হবে কি ! হাত দেখতে পার ?” বলিয়া দক্ষিণ করতল প্রসারিত করিয়া আমার হাতের উপর রাখিলেন । আশ্চৰ্য্য হইয়া যুবকটির দিকে চাহিলাম। সে একটু মুচকি হাসিয়া আমার কানের কাছে মুখ লইয়। ইংরেজীতে কয়েকটি কথা ফিস ফিস্ করিয়া কহিয়া গেল । ব্যাপারটা কতক বুঝিলাম। মৃত্যু-পথযাত্রীর নিকট মিথ্যা কথা বলিবার প্রবৃত্তি ছিল না, তথাপি পরিহাস করিবার চিরস্তন স্বভাবটি পরিত্যাগ করিতে পারিলাম না ; কহিলাম, "একটু একটু পারি বৈ কি ?”