পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ সম্রাট অশোকের শিলালিপি— পাটনায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সদস্যগণ সম্বলপুর জেলায় এক্স গুহার মধ্যে শিলাস্তুপ আবিষ্কার করিাছেন। শিলাস্তুপে ব্রাক্ষি লিপি খোদিত আছে। ঐ গুহ। বিক্রমথোল নামে পরিচিত এবং সম্বলপুর রেলওয়ে ষ্টেশন হইতে ৩২ মাইল দূরে এক বনের মধ্যে অবস্থিত । কি লেখা আছে তাহ। এখনও জানা যায় নাই। তবে ব্রান্ধি লিপি থিয় মনে হয়, ঐ শিলাস্তুপ অশোকের আমলের এক তাহাতে সম্রাটের ঘোষণাবলী লিখিত আছে। - এ, পি আফিম-বিভাগে ৩২ লক্ষ টাকা আয় হাস— ভারত সরকারের আফিম বিভাগের রিপোর্টে প্রকাশ বে, গত ১৯৩১ সনে আফিম বিক্রয় করিয়া ভারত সরকারের মোট ১ কোট ১৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৬৯৩ টাকা লাভ হইয়াছে। ১৯৩০ সনে এই বিভাগে ভারত সরকারের আরও ৩২ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৮০ টাকা বেশী লাভ হইয়াছিল। আমদানী-রপ্তানী— গত জুন মাসে ভারতের অন্তর্বাণিজ্য ও বহির্বাণিজ্য হইতে মোট ৪ কোট ৩০ লক্ষ টাকা বাণিজ্য-শুষ্ক পাওয়া গিয়াছে, তৎপুৰ্ব্ব মাসে ৪ কোটা ২৬ লক্ষ টাকা এবং গত বৎসর জুন মাসে ৩ কোট ৩৯ লক্ষ টাক। ঐ বাবদে পাওয়া গিয়াছিল। এপ্রিল, মে ও জুন এই তিন মাসে ১২ কোট ৯৪ লক্ষ টাকা বাণিজ্যগুষ্ক আদায় হইয়াছে । গত বৎসর ঐ তিন মাসে ১০ কোট ৭ লক্ষ টাকা আদায় হইয়াছিল। ইহণর মধ্যে আমদানী শুষ্ক ১০ কোটী ৫ লক্ষ, রপ্তানী শুষ্ক ৮৫ লক্ষ, মোটর স্পিরিটের উপর আবগারী শুদ্ধ ১ কোট ১৮ লক্ষ টাকা, কেরোসীন হইতে ৭২ লক্ষ এবং বিবিধ দ্রব্য হইতে ১৪ লক্ষ টাকা শুষ্ক আদায় হইয়াছে। কার্পাসঞ্জাত বস্তু, মদ, লৌহ ও ইস্পাত ব্যতীত অস্ত ধাতু, কাচা মাল, কার্পাস স্থতা, কাগজ ও মনোহারী ফ্ৰব্য-এই সমস্ত আমদানী জবা এবং পাট, জাবগারী ফ্রব্য, মোটর স্পিরিট ও কেয়োসিন এই সমস্ত রপ্তানী দ্রব্যের শুদ্ধ বুদ্ধি পাইয়াছে। পক্ষান্তরে, চিনি, রূপ, মোটর স্পিরিট, তুলা ও রেশম ব্যতীত অঙ্ক স্থত। মোটর, সাইকেল, রেলওয়ের সরঞ্জাম, গুড়, সুপারী, তামাক ইত্যাদি আমদানী দ্রব্য এবং কাচা পাট, চামড়া, চাউল ইত্যাদি রপ্তানী প্রব্যের শুষ্ক হ্রাস পাইয়াছে। ভারতের জাতিহিসাবে লোকসংখ্যা ( ১৯৩১ সনের আদম মুমারী )— হিন্দু ২৩৯,১৯৩,৬৩৫ মুসলমান ૧૧,૭૧૧,cat শিখ 8.శిరి(, ) জৈন s,२¢२, २ ० c বৌদ্ধ ১২,৭৮৬,৮০৬ খৃষ্টান ৬,২৯৬,৭৬৩ সংকার্ম্যে দান— বোম্বাইয়ের জেঠানন্দ আসীনমল নামক একজন জহরৎ ব্যবসায়ী গত ১৯২৯ সনে নিঃসন্তান অবস্থায় পরলোক গমন করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি এই বলিয়া উইল করিয়া যান বে, উপহার বিধবা পত্নী যদি একজন দত্তক রাখেন তবে দত্তক এক লক্ষ টাকা পাইবে এবং উপহার সম্পত্তির বাকী ১১ লক্ষ টাকা বিবিধ সৎকার্য্যে ব্যয় হইবে। এই লইয়া একটি মামলার স্বষ্টি হয় এবং এডভোকেট জেনারেল এই বলিয়া আপত্তি করেন যে, মৃত ব্যক্তির উইল আইন অনুসারে সিদ্ধ নহে। অধশেষে এইরূপ মীমাংসা হয়-মৃত ব্যক্তির বিধবা পত্নীকে ভরণপোষণের জন্য একটা আজীবনের বৃত্তি দেওয়া হইবে এবং তিনি যদি দত্তক রাখেন তাহ হইলে ঐ দস্তুক ভবিষ্কৃতে সম্পত্তির জন্য দাবী করিতে পরিবে না। এই অনুসারে জজ ওয়াদিয়া ডিগ্ৰী দিয়াছেন। এই ডিক্রীর ফলে বিভিন্ন সৎকার্য্যের জন্য ১১ লক্ষ টাকা পাওয়া যাইবে । বাংলা কাপড়ের আমদানী— সরকারী হিসাবে প্রকাশ-১৯২৯-৩০ সনে বাঙ্গলায় কাপড় আমদানী হইয়াছিল ২ কোট টাকার উপর। তাহার পরের বৎসর অর্থাৎ ১৯৩০-৩১ সনের আমদানির পরিমাণ হ্রাস পাইয়। ৬ কোট ৮৬ লক্ষ টাকায় দাড়ায়। অর্থাৎ এক বৎসরেই একেবারে ১৩ কোটা টাকা কমিয়। যায়। তাহার পরের বৎসর অর্থাৎ ১৯৩১-৩২ সনের জামদানি জারও কমিয়। গিয়া দাড়ায় ৩ কোটা ৯২ লক্ষ টাকা। শুধু বাংলায় নহে, বোম্বাইর অবস্থাও এইরূপ। ১৯২৯-৩০ সনে বোম্বায়ে কাপড় আমদানী হুইয়াছিল ১৪ কোটা টাকার, ১৯৩০-৩১ সনে हड्रेब्राझिन्न ৪ কোট ৩৬ লক্ষ টাকার এবং ১৯৩১-৩২ সনে হইয়াছিল ও কোটী ।