পারস্য-ভ্ৰমণ শ্ৰীকেদারনাথ চট্টোপাধ্যায় যোধপুর ছাড়বার পর যে মরুভূমির দেখা পেয়েছিলাম বুশীর পর্য্যন্ত সেই মরুভূমিই সঙ্গে এসেছিল। সারাপথ পৃথিবীর সেই এক বিরস বিশুষ্ক আরুতি দেখে দেখে চোখ যেন ক্লান্ত হয়ে পড়ছিল। কচিৎ কদাচিৎ দু-একট। মরূদ্যান প্রকৃতির অন্যমুখ দেখিয়েছিল। বুশীরেরও সেই এক অবস্থা, তবে মামুষের বসতি হওয়ায় আকাশের জল ধীরে, পাতালের জল তুলে, भ#ड़स्तिসঙ্গে যুদ্ধ করে মানুষ গাছগাছড়া ফুলফলের বাগান করার চেষ্টা কবৃছে। বুশীর হইতে যাত্রা । কবি গাড়িতে উঠতে যাচ্ছেন। পিছনে বুশীরের গভর্ণর শস্য বা শাকসঞ্জীর ক্ষেত যে একেবারে নেই তা নয়, তবে জলসঙ্কটে তাদের এখন যাই তখন যাই’ অবস্থা । বাস্তবিকই বুশীরে জলের কষ্ট ভীষণ। সারা বছরে দু-তিন ইঞ্চি বৃষ্টি পড়ে, ( কলকাতায় বর্ষাকালে একএক দিনেই ওর চেয়ে বেশী হয় ) তাও কোন বছর কমে যায় এবং তাই নিয়ে দেশে মহা হৈ-চৈ পড়ে যায়। এ বছর শীতকালে ( ওদের বৃষ্টির সময় ) ভাল বৃষ্টি হয়নি, তাই বাগান ক্ষেত সব যায়-যায় হয়ে আছে। বড়লোকদের ಇ জল এক দিন এক রাত্রির পথ বেয়ে জাহাজে ক’রে & বাসর ( বসোরা ) থেকে আনান হচ্ছে শুনলাম, এবং ফিরবার সময় স্বচক্ষে দেখলাম । গরিবদের জল আশপাশের মরূদ্যান থেকে ‘মশকে ভ’রে গাধার পিঠে আনান হচ্ছে। মরুভূমির জাহাজ যদি উটকে বলা হয় তবে মরুভূমির গাধাবোট নিশ্চয়ই গাধা ! এ দেশে পথেঘাটে বাজারে সর্বত্র গাধার দল বিরাজ করছে। লোকচলাচল থেকে মাল-রপ্তানি, রাজকৰ্ম্মচারী থেকে ফকির মোল্লা সবারই বাহন ঐ এক জীব । তবে এখন মোটর ও মোটর-লরীর কৃপায় গাধার জীবনে একটু আশার সঞ্চার হয়েছে বোধ হয় । 豪 豪 亲 পিছনে পাহাড়, সামনে সমুদ্রের জল, এই দুইয়ের মাঝে পাথর, বালি —এবং স্থানে স্থানে বেলেমাটি— এবং কাকরে ভরা জলশূন্য মরুপ্রাস্তর, তার উপর র্কাচ ইট এবং পাথর দিয়ে তৈরি বুশীর শহর বিরাজ করছেন। শহরের সমস্ত বাড়িই ধুসর রঙের চূৰ্ণকাম করা (ওখানের চূণের ঐ রং ) কাজেই রাস্ত ঘরবাড়ি ময়দান সবই এক রঙের। শহরের বাইরে বড়লোকদের বসতি, তাই পথের ধারে কোথাও কোথাও খেজুরের ঝোপ, বাবলার সারি বসান হয়েছে। প্রায় সব বাড়িই খুব উচু দেয়ালে ঘেরা, ভিতরে বাগান, শাকসব্জীর ক্ষেত, তার ভিতর আবার উচু দেয়ালে ঘেরা পাথর বা সীমেণ্টে বাধান আঙিন, তার মাঝে মাঝে একটু জায়গা ছাড়া-সেখানে দুটাে-একটা খেজুর লেবু ডালিম বা অন্য কোন গাছ— তারপর উচু রোয়াক বারানা দেওয়া বাহির-বাড়ি। বাহির বা বৈঠক-বাড়ির ভিতর দিয়ে ‘অনারান’ মা
