পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓመፃ শিরাজ। সাদীর কবর-গৃহের সম্মুখে । কবির দক্ষিণ পার্থে স্ত্রীযুক্ত ফুয়াঘি দুখানি প্রকাণ্ড লরীতে মাল বোঝাই, একটি মোটরে সশস্ত্র সেপাই এবং অন্য চারখানি মোটরে আমরা সকলে—তার মধ্যে একটি নূতন সি ডানে কবি— এই দল বুশীর ছাড়ল । লরা দুটির একটি একদিন আগেই রওনা হয়ে গিয়েছিল। আগে থেকে ঠিক হয়েছিল যে, আমরা খুব সকালে ছেড়ে দুপুরে কাজেরুণ নামে ছোট শহরে মধ্যাহ্নভোজন ক’রে সেই দিনই সন্ধ্যা নাগাদ শিরাজে পৌছাব। কিন্তু ঘটল সবই অস্তু রকম । ৮ টায় রওনা হয়ে ১০। নাগাদ আমরা বোরস্জান নামক গ্রাম ও ঘাটিতে পৌঁছলাম। সারা পথ আঁকাবাক, ধুলো ও কাকরে ভর রাস্তার দুপাশে বালির ও বেলেমাটির ঢিপি দেখতে দেখতে এসেছি। এখানে অনেক সৈনিক এবং রাজকৰ্ম্মচারী অপেক্ষা করছিলেন। কথা ছিল এখানে আমরা চা থাব, কিন্তু পথ অনেক বাকী বলে কৈহান বললেন আরও এগিয়ে থাম। যাবে। কাজেই এগোনো আরম্ভ হ’ল । বোরস্জান ছেড়ে আসল পাহাড়ের দর্শন পাওয়া গেল। পথে দূরে খেজুরবনেভরা মরূদ্যান, উটের সারি ইত্যাদি দেখা গেল এবং রাস্তায় অনেকগুলি গাধা এবং খচ্চরের কারাভ্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হ’ল, কোনটি কেরোসিন, কোনটি পেট্রল, কেউ-বা চিনি চ কাপড় ইত্যাদি বাণিজ্যসম্ভার নিয়ে বুশীর বন্দর থেকে দেশের ভিতর দিকে চলেছে। এক জায়গায় একটা ছোট পাহাড়ে জলস্রোত দেখা গেল, জলের রং নীল এবং গন্ধ তীব্র ( ডিমপচী ) গন্ধক মিশ্রের। এখানকার পাহাড়ও মরুতুল্য। একটি গাছ নেই, ঘাস নেই, কেবল বেলেমাটির চাপের মত ঢিপিতে ও পাথরে ভরা । কোথাও কোথাও জলস্রোতের শুকনে পথ রয়েছে, তার বুক বালি-চাপা কুড়িতে ভরা, দুপাশে প্রকাগু প্রকাও পাথর, পাহাড় ধ'সে নীচে এসে