পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৩৪ SO9āు করিতে হুইবে । শিক্ষাকে সুনীতির সহায় ও পরিপোষক করিতে হইবে। সামাজিক সব আমোদ-প্রমোদকে কলুষবর্জিত ও বিশুদ্ধ করিতে হইবে। দারিদ্র্য, আর্থিক অসচ্ছলতা এবং পরের গলগ্ৰহ হইবার অপমান ও দুঃখ যাহাতে বহু নারীকে সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ ভাবে কুপথে যাইতে প্রলুব্ধ বা বাধ্য না করে, তাহার উপায় অবলম্বন করিতে হইবে। যে প্রবৃত্তি পিতৃত্ব ও মাতৃত্বের মূল, তাহার সমাজহিতকর বৈধ চরিতার্থতা বিবাহ দ্বারা প্রাপ্তবয়স্ক সকল পুরুষ ও নারীর অধিগম্য করিতে হইবে । তাহার জন্ত বরপণ ও কন্যাপণ প্রথার উচ্ছেদ আবশ্বক, এবং বিপত্নীকদের বিবাহ যেমন চলিত আছে বিধবাদের বিবাহও সেইরূপ চলিত হওয়া প্রয়োজনীয়। বড় বড় শহরে পুরুষজাতীয় হাজার হাজার লোক পারিবারিক জীবনের সুবিধা হইতে বঞ্চিত থাকে ও তাহার নিয়ামক শক্তির প্রভাব অনুভব করে না। শহরে থাকিয়াও যাহাতে অল্প আয়ের লোকেরাও পারিবারিক জীবন যাপন করিতে পারে, তাহার জন্য প্রত্যেক শহরে কম ভাড়ার স্বাস্থ্যকর যথেষ্টসংখ্যক বাড়ি তৈয়ার করা আবশ্বক, এবং কতকগুলি লোকের প্রভূত ঐশ্বৰ্য্য ও অন্ত অগণিত লোকের দারিদ্র্য যাহাতে ঘটিতেছে এরূপ সরকারী, বাণিজ্যিক এবং শ্রমিক অর্থনৈতিক বন্দোবস্তের পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত এরূপ দ্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা চালাইতে হইবে যাহাতে সকলের পক্ষেই পারিবারিক জীবন সাধ্যাযুক্ত হয়। মিল ও কারখানাগুলির এবং চা-বাগান প্রভৃতির শ্রমিকদের বাসগৃহ এরূপ এবং সংখ্যায় এত অধিক হওয়া আবগুক এবং তাহাদের মজরীও এরূপ হওয়া চাই, যাহাতে সমুদয় শ্রমিক তাহদের কার্য্যস্থলে গার্হস্থ্য জীবন যাপন করিতে পারে । দুনীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম সোজা যুদ্ধ নয়। কিন্তু তাহাতে ভীত ও পশ্চাৎপদ হইলে চলিবে না। বাধাবিত্নের সম্মুখীন হইয়া তৎসমুদয়কে অতিক্রম করা পৌরুষ ও নারীত্বের লক্ষণ । কুস্থান হইতে বালিকাদিগকে উদ্ধার করিয়া আশ্রমে আনিয়া মুশিক্ষাদি দ্বারা তাহাদিগকে সৎপথে থাকিড়ে সমর্থ করা আর একটি গুরুতর কর্তব্য। পানিহাটির o : ويخربو ، গোবিন্দকুমার আশ্রমের বিষয় লিখিতে গিয়া আমর আষাঢ়ের ‘প্রবাসী’তে কিছু বলিয়াছি। হিন্দুসমাজ বিবাহবিষয়ে স্বসঙ্গত স্বযুক্তিসম্মত উদার মত কার্যত অবলম্বন করিলে এই কৰ্ত্তব্য অপেক্ষাকৃত সহজে পালিত হইবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য সব উপায় অবলম্বিত হইলেও প্রাপ্তবয়স্ক নরনারীদের কুপথে যাইবার স্বাধীনত থাকিবে । কিন্তু সে স্বাধীনতা না থাকিলে সৎপথে থাকিবার স্বাধীনতার মূল্যও ত থাকে না । যতীন্দ্রবাবুর বিলের যে-যে বিষয়ে অধিকতর সাবধানত অলম্বনীয় সেইরূপ দু-একটির উল্লেখ করা দরকার । বিলটির ৭ ধারা অনুসারে পুলিস কমিশনার বা জেলা পুলিস স্বপারিন্টেণ্ডেণ্ট যদি সন্দেহ করেন যে, কোন বাড়ি বেশ্বালয়রূপে ব্যবহৃত হইতেছে, তবে তিনি বাড়ির মালিক, ম্যানেজার, ইজারাদার প্রভৃতিকে ডাকিয় পাঠাইতে এবং তদন্ত করিয়া ঘটনা সত্য বলিয়া বিশ্বাস হইলে পনের দিনের মধ্যে ঐ বাড়ি বেশ্বালয়রূপে ব্যবহার করা বন্ধ করিবার আদেশ দিতে পারিবেন । পুলিস কমিশনার বা সুপারিন্টেণ্ডেণ্টের এই আদেশ চূড়ান্ত হইবে, তাহার বিরুদ্ধে কোন আপীল চলিবে না। আইনের ১৪ ধারা অনুসারে পুলিস কমিশনার, পুলিস সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট, অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইলে, সাবইন্‌স্পেক্টরের উপরের কোন পুলিস কৰ্ম্মচারী, কোন বাড়িতে অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিকাকে বেশ্বাবৃত্তি করান হইতেছে, এই সন্দেহ হইলেই উক্ত বাড়িতে প্রবেশ করিয়৷ তদন্ত করিতে পরিবেন । ঐ সমস্ত কৰ্ম্মচারী কোন বাড়িতে প্রবেশ করিয়া তাহা বেখ্যালয়রূপে ব্যবহৃত হইতেছে কি-না, তাহাও দেখিতে পরিবেন। আইনটিকে কাৰ্য্যকর করিতে হইলে পুলিসের উচ্চ কৰ্ম্মচারীদের হাতে কতকটা ক্ষমতা দিতেই হইবে ; কিন্তু তাহদের কাজের বিরুদ্ধে আপলের ব্যবস্থা থাকা একান্ত দরকার। কোন দেশের খুব সাধু পুলিসেরও