পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন অনুমান হয় এইরূপ অবস্থাতেই শিবিরে নীত রাজ্যবর্জনকে শশাঙ্ক হত্যা করিয়ছিলেন । স্বয়ং হর্যও প্রয়োজন-মত শক্রহত্যা করিতে কুষ্ঠিত ছিলেন না। বাণ “হর্ষচরিতে” ( তৃতীয় উচ্ছাসে ) লিখিয়াছেন— “অত্র পুরুষোত্তমেন সিন্ধরাজং প্রমথ্য লক্ষ্মীরাস্বীকৃত।" “পুরুষোত্তম বিষ্ণু যেমন সমুদ্রমন্থন করিয়া লক্ষ্মীকে লাভ করিয়া

  • বিশ বৎসর পর্বে প্রকাশিত একখানি পুস্তকে বর্তমান লেখক প্রথম এই প্রকাব মত সংক্ষেপে প্রকাশ করিয়াছিলেন । ঢাকা হইতে BBBBBB SBBBS BB BBBBBBB BB BBB BBBB BBBB কবিয়াছিলেন এইরূপ স্মরণ হয় । পরে ডাক্তার বমেশচন্দ্র মজুমদার মহাশয় এই মত সমর্থন করিয়াছেন । গত মার্চ সংখা Iristorica SLLLLLLLLLBB SSLLL 00SSS00S BBBBB BBBBBBB BBBB BBBBB পুনরায় এই মতের প্রতিবাদ করিয়াছেন । “যেমন গঙ্গাপুজে গঙ্গাজলে.” অধ্যাপক বসাক মহাশয় তেমন বাণের উক্তির দ্বারাই বাণের সমর্থন করিয়াছেন। অধ্যাপক বসাক মহাশয়ের উদ্ধত সন্তস্ব প্রমাণ, “হর্ষচরিতে’র টীকাকার শঙ্করের একটি উক্তি । ষষ্ঠ উচ্ছাসের প্রথম শ্লোকে যমের গুপ্তদূতগণের অণনীত বীরপুরুষদিগের উল্লেখ আছে। এই শ্লোক টপলক্ষ করিয়া শঙ্কর লিথিয়াছেন–

“তথাকি তেন শশাঙ্কেন বিশ্বাসার্থ দূতমুপেন কন্যা প্রদানমুক্তা অঙ্গণ ছিলেন, পুরুষশ্রেষ্ঠ হৰ্ষও সিন্ধুরাজকে বধ করিয়া সিন্ধুরাজলক্ষ্মী আত্মসাৎ করিয়াছিলেন ।” বন্দী শত্রুকে নিহত করা তখন আর্যাবর্তের রাজন্য বর্গের মধ্যে নীতিবিরুদ্ধ বিবেচিত হইত না । বাণ এবং যুয়ান চোয়াঙ যাহাই বলুন, রাজ্যবৰ্দ্ধনকে হত্যা করিয়া শশাঙ্ক যে তদপেক্ষ গুরুতর অপরাধ করিয়াছিলেন তাহী মনে হয় না । * প্রলোহুিতো বাজাবৰ্দ্ধনঃ স্বগেহে। ব্যাপাদিত: |” “যথা, বিশ্বাস উৎপাদনের জন্ত দূতমুথে কস্তাদানের কথায় প্রলোভিত রাজাবৰ্দ্ধন শশাঙ্কের গুহে আহারের সময় ছদ্মবেশী শশাঙ্ক কর্তৃক অনুচরসহ নিহত হইয়াছিলেন ।” এখানে বলা হইয়ছে, রাজ্যবৰ্দ্ধন সামুচর নিহত হইয়াছিলেন ; কিন্তু মূল “হর্ষচরিতে” বাণ কুন্তলমুখে বলিয়াছেন, রাজ্যবৰ্দ্ধন একাকী নিহত হইয়াছিলেন । সদ্য পিতৃষ্ঠান রাজাবৰ্দ্ধনের পক্ষে সদ্যবিধবা কারারুদ্ধ। ভগ্নীকে ভুলিয়া, দূতমুখে কস্তাদানের কথা শুনিয়াই, গৌড়রাজের শিবিরে ছুটিয়া যাওয়া অসম্ভব মনে হয় । ঘদি-বা ইহার পূৰ্ব্বে শশাঙ্কের কন্যার সহিত রাজাবৰ্দ্ধনের দেখাসাক্ষাৎ হইয়া থাকিত, তবে এরূপ আত্মবিস্মৃতি কতক পরিমাণে শে। ভূ পাইত। কিন্তু টীকাকার শঙ্কর এইরূপ পূৰ্ব্বপরিচয়ের কোনও আভাস দেন নাই । বাণের উক্তির বিরোধী এই বিলাতের প্রস্তাবের কাহিনী টীকাকারের কল্পিত বলিয়া মনে হয়। Գ8:Տ সামুচরো ভুঞ্জান এব ছদ্মন অপর্ণ শ্রীঅনিলবরণ রায় আসিল ধবে মোরে বাপিতে ফুলডোরে জানি সে মালা গাথা তোমারি তরে, প্রিয় ! ধাইছে তোমা পানে তোমারে নাহি জানে তাদেরো ভালবাসা নিয়ে হে তুমি নিয়ো । জীবনে পেহ্ল কত মধুর অনুভব গন্ধে রূপে গানে ছন্দে নব নব, কত যে স্নেহ-ঋণ বহিমু চিরদিন— আমার হয়ে নাথ সুকলি শুধি দিয়ে । দগ্ধ করি মম যতেক অহমিকা করে। হে মোরে তব দীপ্ত প্রেমশিখ, তোমারি লাগি যার আবেগে দিশেহার সবার পথরেখা উজলি প্রকাশিয়ো ।