পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাকৃতিক দৃপ্ত দেখবার জুস্য। দিনের বেল ন কটা এগিয়ে পড়েছিলাম বলেই বাধা হয়ে যেতে ছিল । এত কদৰ্য গঙ্গার ধার আর কোথাও আছে so | ব ন সন্দেহ । পাটনার গোলঘর বিখ্যাত। দুভিক্ষের সাহায্যের জন্য আ গ থেকেই ধান সংগ্ৰহ ক’রে রাখবার উদ্দেশ্যে ঐ গোলঘর তৈরি হয়েছিল, একে তৈরি করতে পাটনার গোলঘর প্রায় দু’বছর লেগেছিল। ইঞ্জিনিয়ার ক্যাপ্টেন জন ৮৪ সনের ২০শে জুন আরম্ভ ক’রে ১৭৮৬ সালে শষ করেন। গোলঘরখানা আয়তনে বিশাল, খুব উচু, এক শচল্লিশটি সিড়ি-প্রত্যেকটি নয় ইঞ্চি করে উচ, উপরে উঠলে চক্ষু স্থির থাকে না—চড়ক গাছ হয়ে শোরে । পুরাতন পাটনার মীরকাসিমের দুর্গটি ছোটখাট, পেশ সুন্দর। এখানকার রায়সাহেব এখন এই দুর্গের লিক। রায়-সাহেবের যত্নে ও নূতন সংস্কারে সেই ছুটি এখন ইন্দ্রপুরী । মীরকাসিম দ্বারা নিহত ব্যক্তিদের গোরস্থানের পেলাম কোন বিশেষত্ব নেই, ঠিক কলিকাতার %নদের গোরস্থানেরই মত, তবে আয়তনে অনেক ছাট, অসংখ্য কুশগাছ লতাগুল্ম এই কবরগুলোকে পকের আড়ালে ক’রে চিরজন্মের মত ঢেকে রখেছে। এই সব দেখে সন্ধ্যে বেলায় এলুম গুরু নালন্দায় দুই দিন ጭጭ » গোবিন্দের জন্মস্থান দেখতে । অনেকটা জায়গা নিয়ে এই বাড়ি, বিশাল তার প্রবেশদ্বার। দ্বারে প্রবেশ করে পানিকট এগিয়ে আসতেই একটি স্ত্রীলোক এসে বললেন–জুতা খুলে, পা ধুয়ে, মাথায় কাপড় জড়িয়ে যেতে হবে, অন্যথায় প্রবেশ নিষেধ। তাই করলুম। স্ত্রীলোকটিও তখন বিন আপত্তিতে আমাদের গুরুজীর ঘরের সামনে নিয়ে গেলেন। ঘরের ভেতর একটি উচু আসনের ওপর গুরুজীর ছবি । তার সামনে ঢাল, কৃপাণ, খড়ম, বড় লোহার বালা ইত্যাদি রয়েছে। দুই ধারে দুইটি প্রদীপ-দানের ওপর ঘিয়ের বাতি জলছে। তার সামনে বসে প্রধান শিষ্য নির্মীলিত লোচনে স্তব পাঠ করছেন, আর নীচের ধাপে অন্যান্য শিখ শিষ্যেরা সন্ধ্যার মঙ্গলগীত গাইছেন । সেদিনের মত দেখা শেষ করে বাসায় ফিরলুম। পর দিন নালন্দ যাবার জন্য ষ্টেশনে এসে গাড়ীতে চাপা গেল। গাড়ী বক্তিয়ারপুর ষ্টেশনে এসে থামতেই সকলে নেমে পড়লুম। এখান থেকেই ছোট লাইনে যেতে হবে নালন্দায় । অনেকক্ষ৭ অধীর প্রতীক্ষার পর ছোট একখানি গাড়ী হেলেঙ্কুলে ষ্টেশনে এল। চটপট সবাই গাড়ীতে উঠে পড়লুম। বেলা তখন নয় দশট। ভয়ানক পিদে পেয়েছিল। কিন্তু তখন আমাদের সঙ্গে খাবার কিছুই ছিল না। আমাদের স্কুলের দুই জন মুসলমান ছাত্র বন্ধু আমাদের সঙ্গেই ছিলেন । তার কয়েকটা সিদ্ধ ডিম ও কিছু কলা সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন । বন্ধুবর বিজয়বাবু জয়ের আসায় বাণ ছুড়লেন। তিনি দেখিয়ে দিলেন ঐ চুপড়িটিতে সব আছে। তারা খাবারের চুপড়িটি রেখেছিলেন ঠিক তাদের সামনের বেঞ্চের নীচে অতি সন্তপণে নজরের ভিতর । তারা নাকি পাটনাতে পাচ ছয়টা কাচা ডিম লোকচক্ষুর আড়ালে রেখেও রাখতে পারেন নি । ডিমগুলি জলজান্ত উধাও হ’য়ে গিয়েছিল। তাই খুব সাবধানে এবার চুপড়িটি রেখেছিলেন। আমাদের খিদেয় তখন পেট র্চো-র্চো ক’রছে। তাই আমাতে ও বিজয়বাবুতে পরামর্শ ক’রে ঠিক করা গেল আমি তাদের অন্যমনস্ক ক’রে রাখব। ইত্যবসরে চুপড়ি থেকে কলা, ডিম অস্তে