পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন নালন্দীয় দুই দিন ԳԳՏ পূলে পলে প্রকৃতির জল ও ঝড়ের আঘাতে নিজেকে মাটর সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েও যেন মিশাতে পারছে না । কি তাদের বাঁচবার অfগ্রহ । কিন্তু বাচছে কই । দিনে দিনে পলে পলে খসে যাচ্ছে, ধসে পড়ছে। অতি করুণ বিধাদের ছবি সৃষ্টি হয়ে রয়েছে। এই বাড়ির মাঝখানে ইটে বাধীন একটি ছোট পুকুর, তার চারি পাশে থাম । চারি ধার থেকে ধাপে ধাপে জলের নীচে পৰ্য্যন্ত সিড়ি নেমে গিয়েছে । জল সবুজ কিন্তু গভীরত। বড়ই কম। সবাই যেন নিজেদের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে চায় । মিশিয়ে দেওয়া ও তলিয়ে যা গুয়ার ভী পটাই এথানে বেশী । এথানকার দেথা শেষ ক'রে বেরিয়ে এনে এই বিষাদময় করুণ ছবির ভেতর হতে রুক্মিণী ঠাকুর দেপবার উদ্দেশে । ক্ষুদ্র পল্লী, অসংখ্য ছোট ছোট খোলার ঘরে ভৰ্ত্তি, মাঠের পর মাঠ ছেলে ও গম গাছ নিয়ে মিশে গিয়েছে তাল গাছের ফাক দিয়ে অসীম নাল অ কাশের সেন সাথে ; এরই মাঝে পল্লীবালার। রঙের পোয{ক প'রে ধে যার কাজে ব্যস্ত ।

  • fol.

এদের একে একে পেছনে ফেলে মাঠের আলের উপরকার সরু পথ দিয়ে চলে এক উচু জায়গায় উপস্থিত হলুম। এই খানেই নালন্দাবাসীদের নাম দেওয়া রুক্মিণী ঠাকুর। ঠাকুরকে মস্ত একখান কাল পাথর কুঁদে বের করা হয়েছে। পাথরের নীচের অংশ মাটিতে পোত রয়েছে। যতট উপরে বেরিয়ে রয়েছে তা লম্বায় প্রায় সাত হাত হবে । ঠাকুর নিজেও হাত চারেক লম্ব হবেন । তার প্রশান্ত মূৰ্ত্তি ও অৰ্দ্ধ নির্মীলিত আঁথি দেখে মনে ভক্তির সঞ্চার হয়। ডান হাতখানি ভূমি স্পর্শ ক’রে রয়েছে, ভাবে যেন বিভোর, বুদ্ধমূৰ্ত্তি। এই বুদ্ধদেবের মূৰ্ত্তি নালন্দাবাসীদের কাছে রুক্মিণী ঠাকুরের নাম নিয়ে বসে আছেন। নীল আকাশতলে, স্নিগ্ধ নিমগাছের ছায়ায় ঠাকুর এতদিন বেশ ছিলেন। পাণ্ডার। আর বেশ থাকতে দিলেন না । তার পয়স রোজগার করবে বলে ঠাকুরকে ঘরপোরা করবেন। চূণ-মুরকি জোগাড় ক’রে ছাদ দেওয়ার আয়োজন করছেন । নালন্দার যুয়াফর পরের দিন ভে}রবেল! কোকিল ও পাপিয়া সমস্বরে নালন্দার পল্লীবাসীদের ঘুম ভাঙাবার চেষ্টা করছে, মু মন্দ বাতাস ফুলের গন্ধ নিয়ে জানাল ভেদ করে সারা তাঙ্গে মাপিয়ে দিয়ে তন্দ্র জড়িত নয়নে যখন স্থপস্বপ্নের গুষ্টি করছে, তখন গুরুমহাশয়ের উঠ, উঠ রব । চেয়ে দেখলাম বেশ ফসর্ণ হয়েছে । কি আর করা, উঠে এলুম প্ৰাত:কৃত্য সমাপন ক’রে বেরিয়ে পড়লুম শত শত যুগের মৃত্তিকাভ্যন্তরে যে মানবসভ্যতা লুকায়িত ছিল তারই নিদর্শন দেখতে । বিস্তীর্ণ মাঠের মাঝখানে উচু মাটির ঢিবি । এইগুলি কেটে হাজার হাজার লোকের প্রাণ দিয়ে গড় শিল্পকলা বের করা হয়েছে । এই বিশ্ববিখ্যাত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। অনেকটা জায়গা জুড়ে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। প্রাচীরটা মজবুৎ ছোট ছোট ইটে তৈরি। এই প্রাচীরের মাঝখানটায় প্রবেশদ্বার। ভেতরে ঢুকতে গিয়েই