পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

୩୩,P সেই কারণে পূৰ্ব্বেই সারা বৎসরের জন্য সে ব্যবস্থা করিয়া द्रॉ२] ट्$ ! হরিণের পাকস্থলীর থলি দিয়া এক প্রকার থলিয়া বলুগ হরিণের পাল সীতার কাটিয়া হ্রদ পার হইতেছে তৈরি করা হয়। ল্যাপ-গৃহিণীর সেই থলিতে দুধ জমাইয়। সারা বৎসরের দুধ পাওয়ার ব্যবস্থা করিয়া রাখে । ল্যাপদের পোষাক দেখিতে বেশ সুন্দর । গায়ের জামার নাম ‘কল্তেন । তাহ অনেকট। ফ্রকের মত । গ্রীষ্মকালে ইহার নীল, ধূসর ও সাদা রঙের পোষাক পরে। তাহ দেখিতে অনেকটা আলখাল্লার মত, বুকের দিকটা " খোলা। পুরুষদের জামার হাতের we শেষ ভূগিট। গলার ‘কলারে’র মত শক্ত ও পুরু এবং ইহার উপর নানা উজ্জল রঙের কাজ থাকে । মেয়েদের জামা পুরুষদের মত হইলে ও গলার উপর কোনো ‘কলার’ নাই। গলার চারিদিকে জামার উপর প্রশস্ত ও ফিকে রঙের ফিতার বর্ডার থাকে । তাহাদের শীতকালের জাম ‘রেন হরিণের লোমযুক্ত চামড়ায় তৈরি । প্রতি জামারই কোমরবন্ধ থাকে। এই কোমরবন্ধের উপর নানাপ্রকারের কারুকার্য্য থাকে । এমন কি সময়-সময় রূপার কাজও এই কোমরবন্ধে দেখিয়াছি । কোমরবন্ধের উপরিভাগে জামীর যে অংশ থাকে তাই খুব টিলা । ইহার ভিতর প্রয়োজনীয় ছোটখাট জিনিষ তাহারা রাখে। সেইজন্য তাহদের স্বতন্ত্রভাবে ఏ99áు পকেট রাখার দরকার হয় না। কোমরবন্ধে তামাক রাখিবার চামড়ার থলি এবং হরিণের শিং বা হাড়ে তৈরি থাপে একখানি ছুরি বুলনি থাকে । মেয়েপুরুষ সকলেই আঁট খাটে পাজাম পরে। গ্রীষ্মকালের পোষাক গরম কাপড়ের দ্বারা এবং শীতকালের পোষাক চামড়ার দ্বারা তৈরি হয় । চামড়ার জুতার অগ্রভাগটা নাগর, জুতার মত উপর দিকে মোড় । শীতকালের জুত। কিন্তু হরিণের খুরের অথবা হরিণের কপালে যে লোমযুক্ত চামড়া থাকে তাহার দ্বারা তৈরি হয় । স্ত্রীপুরুষ সকল ল্যাপই মাথায় টুপি পরে । এই টুপি আকারে বিভিন্ন এবং নানা রঙের । ল্যাপরা নিজের প্রয়োজনীয় প্রায় সকল জিনিষই নিজেদের হাতে তৈরি করে । স্বইডিস ভাষার সঙ্গে ল্যাপদের ভাষার কোনো সাদৃশ্ব

  • ?గా -్క::

۔ :) ۔۔ . . . . .Eفہ বল্গা হরিণের বরফের নীচে খাদ্যাম্বেষণ নাই। কিন্তু ফিনল্যাণ্ডের ভযার সঙ্গে যোগ খুব বেশী। এই প্রসঙ্গে একটা কথা উল্লেখ করা যাইতে পারে যে, ল্যাপ ভাষা ফিনওগ্ৰীক’ শ্রেণীর অন্তর্গত। সাইবেরিয়ান, য়্যাষ্টেনিয়ান, হাঙ্গেরিয়ান, ফিনিস ও ল্যাপ ভাষ— সকলেই এই এক ভাষা-শ্রেণীর মধ্যে আসিয়া পড়ে । অtঙ্গ ল্যাপ রা যদিও সংখ্যায় অতি নগণ্য, তবু তfহারা মাতৃভাষা সযত্নে ব্যবহার করিয়া আসিতেছে।