পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՆ-8 প্রেবাসী; మ99శు স এব জাতঃ স জনিষ]মাণ: প্রত্যঙ জনাংস্তিষ্ঠতি সৰ্ব্বতোমুখঃ --সেই সে দেব দশদিশি সর্বে আদ্যে সে জাত সেই আছে গর্ভে জনমিল সে জনমিবে পরে সৰ্ব্বতোমুখ সে সকল নরে । ৪৬ “আমি বাস্তবিক যদিও জনারহিত ও অব্যয় আত্মা অর্থাৎ আত্মস্বরূপে বিকারহীন ও সমস্ত প্রাণীদের প্রভু, তথাপি নিজ প্রকৃতিতে অধিষ্ঠান করিয়া নিজ মায়ার দ্বারা জন্মগ্রহণ করি ।” এই শ্লোকের কেবল যে অবতার রূপেই জন্ম গ্রহণ করেন এমন অর্থ নহে । পরবর্তী শ্লোকে কি করিয়া সংসারে পাপ প্রবল হইতে পায় ন! তাহার কথা বল। হইতেছে । ৪৭-৮ “হে ভারত, যে কালেই ধৰ্ম্মের গ্রানি ও অধৰ্ম্মের আহ্বাদয় হয় তখনই সাধুদের পরিত্রাণের জন্য ও দুষ্কৃতদের বিনাশের জন্য এবং ধৰ্ম্মসংস্থাপনের উদ্দেশ্বে আমি যুগে যুগে জন্মগ্রহণ করি।” এই দুই শ্লোকের প্রকৃত অর্থ বুঝিতে হইলে পূৰ্ব্ব অধ্যায়ের অর্জুনের প্রশ্ন স্মরণ করা। কৰ্ত্তব্য । অর্জন প্রশ্ন করিয়াছিলেন, “কিসের বশে মানুষ পাপ করে," শ্ৰীকৃষ্ণ উত্তর দিয়াছিলেন “কামের বশে এবং এই কামই সমগ্র পৃথিবীকে ব্যাপ্ত করিয়া আছে।” কাম যখন এতই প্রবল তখন সংসার পাপে ভরিয়া যায় না কেন ? কি উপায়েই বা সমাজধৰ্ম্ম বজায় থাকে ? এই দুই শ্লোকে শ্ৰীকৃষ্ণ বলিলেন, যখনই পাপের প্রাদুর্ভাব হয় তখনই তাহ নিবারণকল্পে ভগবান নিজেকে ষ্টি করেন । অন্ত সময়ে যে তিনি নিজেকে সৃষ্টি করেন না তাহা নহে । সাধারণ লোকের ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তি ও পাপনিবারণের চেষ্টার ভিতর দিয়াই ভগবান আবিস্তৃত হন ; কোন বিশেষ জীব বা মনুষ্য রূপে অবতার হন এরূপ নহে । ভগবান কোন অজোপি সন্নবায়াত্মা ভূতানামীশ্বরোহপি সন । প্রকৃতিং স্বামধিষ্ঠায় সম্ভবণম্যাক্সমীয়য় ॥ ৬ যদ যদা হি ধৰ্ম্মস্ত গ্লানির্ভবতি ভারত। অভু্যুথানমধৰ্ম্মস্ত তদাত্মানং স্বজাম্যহম্।। ৭ বিশেষ যুগে জন্মগ্রহণ করেন না, তিনি যুগে যুগে ব সকল যুগেই জন্মেন ; ধর্মের গ্লানি হইবামাত্র তিনি জন্মিয় থাকেন। গ্লানি মানে সম্পূর্ণ বিনাশ নহে— ধৰ্ম্মহানি হইলেই ধর্মের গ্লানি হইল। অধুনা ধৰ্ম্মহানি হইতেছে অথচ ভগবানের অবতার কোথায় ? অতএব বিশেষ অবতার কল্পনা সমীচীন নছে ; যে-মনুষ যখন ধৰ্ম্ম সংস্থাপনের চেষ্টা করে সে-ই তখন ভগবানের অবতার । 8৯ “হে অৰ্জ্জুন, যে আমার দিব্য জন্মকর্মের তত্ত্ব অবগত আছে দেহত্যাগের পর তাহার পুনর্জন্ম হয় না এবং সে আমাকেই প্রাপ্ত হয় ।” কথাটা একটু বিচিত্র । শ্ৰীকৃষ্ণ বলিলেন আমার জন্মকৰ্ম্মের তত্ত্ব অবগত হইলে আমাকে প্রাপ্ত হওয়া যায় । নিলিপ্ত থাকিয়া ভগবান কি প্রকারে জন্মান ও কৰ্ম্ম করেন জানিলে মুক্তি। প্রত্যেক শরীরে ভগবান আত্মারূপে অবাস্থত ; এই আত্ম নিলিপ্ত থাকিয়াই আমাদের কৰ্ম্ম করায় ; এজন্য ভগবানের সম্বন্ধে জ্ঞানও যা, নিজের সম্বন্ধে জ্ঞানও তা ; ভগবানের জন্মকৰ্ম্মের তত্ত্ব জানিলেই নিজের মুক্তি। ভগবানের কোনও বিশেষ অবতারের জন্মকৰ্ম্ম তত্ত্ব জানিতে হইবে এমন কথ। নহে । কি উপায়ে ভগবানের এই জন্মকৰ্ম্ম তত্ত্ব জানা যায়, পরের শ্লোকে তাহ বলিতেছেন । এই শ্লোকে দিব্য কথার অর্থ এই যে জন্ম ব্যাপারকে লৌকিক দৃষ্টিতে না দেখিয় পারমার্থিক দৃষ্টিতে দেখিতে হইবে । ৪১০ “রাগ অর্থাৎ আসক্তি, ভয় ও ক্রোধ পরিত্যাগ করিয়৷ মৎপরায়ণ হইয়া আমাকে আশ্রয় করিয়৷ বহু ব্যক্তি জ্ঞান-রূপ তপস্যার দ্বারা পবিত্র হইয়। আমাকে প্রাপ্ত হইয়াছেন।” মংপরায়ণ অর্থে যিনি ভগবান বা আত্মাকেই পরম আশ্রয় মনে করেন । কেবল এই প্রকারেই যে মুক্তি পাওয়া যায় তাহা নহে পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্। ধৰ্ম্মসংস্থাপনার্থীয় সম্ভবামি যুগে যুগে ॥ ৮ জন্ম কৰ্ম্ম চ মে দিব্যমেবং ধো বেত্তি তত্ত্বত: | ত্যক্ত৷ দেহং পুনজৰ্ম্ম নৈতি মামেতি সোহর্জুন ॥ ৯