পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سياسيqt SO9áు এই সমুদয়ই কৰ্ম্মজ জানিবে। ইহা জ্ঞাত হইলে তুমি মুক্ত হইতে পারিবে ।” যজ্ঞকে কৰ্ম্মজ বলার মানেই তাহার বন্ধন আছে । এইজন্যই পূৰ্ব্বে যজ্ঞকৰ্ম্মও নিঃসঙ্গচিত্তে করার উপদেশ আছে । ৪৩৩ “দ্রব্যময় যজ্ঞ অপেক্ষ জ্ঞানযজ্ঞই শ্রেয় , কারণ জ্ঞানেতেই সৰ্ব্ব কৰ্ম্মের অবসান হয়।” শ্ৰীকৃষ্ণ এই এক কথাতেই কৌশলে সাধারণে প্রচলিত যজ্ঞের নিকৃষ্টত প্রতিপন্ন করিলেন । ৪৩৪-৩৫ “জ্ঞানই যখন শ্রেয় তখন জ্ঞানী ব্যক্তির নিকট হইতে প্ৰণিপাত দ্বার, প্রশ্নের দ্বারা ও সেবার দ্বারা এই জ্ঞানের উপদেশ পাইতে চেষ্টা কর । জ্ঞান জন্মিলে তোমার মোহ নষ্ট হইবে এবং হে পাণ্ডব, সমগ্র জীবকে তুমি আমার মধ্যে ও আপনার মধ্যে দেখিবে ।” এইরূপ অবস্থায় উপনীত হইলে তবে ভগবানের প্রকৃত অবতারতত্ত্ব জ্ঞাত হওয়! যায়। পূর্বের শ্লোকের অবতারতত্ত্বের ব্যাখ্যায় এই অর্থই আছে দেখাইয়াছি। ৪৩৬ “( যজ্ঞ ইত্যাদি না করায় ) অথবা পাপ করায় যদি তুমি নিজেকে সৰ্ব্বাপেক্ষ পাপী মনে কর তাহ হইলেও এই জ্ঞানরূপ ভেলার সাহায্যে পাপ হইতে উত্তীর্ণ হইবে।” এই অধ্যায়ে পূৰ্ব্বে কি কৰ্ম্ম, কি বিকৰ্ম্ম অর্থাং কি পাপ কি পুণ্য ইত্যাদির বিচার আছে। এখানে স্পষ্টই বলিলেন পাপ পুণা, কৰ্ম্ম বিকৰ্ম্ম, অকৰ্ম্ম ইত্যাদি বিচারের আবশ্বকতাই থাকে না যদি তুমি জ্ঞানলাভ কর । শ্রেয়ান দ্রব্যময়াদ্যজ্ঞাজ জ্ঞানযজ্ঞঃ পরস্তুপ। সৰ্ব্বং কৰ্ম্মাখিলং পার্থ জ্ঞানে পরিসমাপাতে ॥ ৩৩ তদ্বিদ্ধি প্ৰণিপাতেন পরিপ্রশ্নেন সেবয়া । উপদেক্ষান্তি তেজ্ঞানং জ্ঞানিনস্তত্ত্বদৰ্শিনঃ ॥ ৩৪ যজ জ্ঞাত্ব1ম পুনমোহমেবং যাস্তদি পাণ্ডব । যেন ভূতান্তশেষেণ প্ৰক্ষ্যস্তাত্মন্তথো ময়ি ॥ ৩০ অপি চেদসি পাপেভ্য: সৰ্ব্বেভ্য: পাপকৃত্তমঃ। সৰ্ব্বং জ্ঞানপ্লথেমৈথ বুজিনং সন্তরিাসি ॥ ৩৬ যথৈধাংসি সমিদ্ধোহগ্নি ভস্মসাৎ কুরুতে জুন । জানাগ্নি সৰ্ব্বকৰ্ম্মাণি ভস্মসাৎ কুরুতে তথ।। ৩৭ ৪৩৭-৩৮ “প্রজ্জ্বলিত অগ্নি যেমন কাঠকে ভস্মসাৎ করে সেইরূপ হে অৰ্জুন, এই জ্ঞানাগ্নি সমুদয় কৰ্ম্মকে দগ্ধ করে । পুথিবীতে জ্ঞানের ন্যায় পবিত্র সত্যই আর কিছুই নাই, কৰ্ম্মযোগী উপযুক্তকালে আপনিই জ্ঞানলাভ করেন।” এখানে জ্ঞানকে কৰ্ম্মযোগ-লভ্য বলা হইল । ৪৩৯ “শ্রদ্ধাবান একনিষ্ঠ সংযতেন্দ্রিয় ব্যক্তি জ্ঞানলাভ করেন এবং জ্ঞানলাভ করিয়া শীঘ্রই পরম শাস্তি লাভ করেন ।” ৪৪০-৪১ “অজ্ঞানী, শ্রদ্ধাহীন, সন্দিগ্ধচিত্ত ব্যক্তি নষ্ট হয়, তাহার ইহলোক পরলোক বা সুখ কিছুই হয় না । যিনি যোগযুক্ত হইয়া কৰ্ম্ম করেন এবং জ্ঞানের দ্বারা যাহার সংশয় ছিন্ন হইয়াছে সেই আত্মজ্ঞানী ব্যক্তিকে কৰ্ম্ম বন্ধন করিতে পারে না, অতএব হে ভারত, তোমার অজ্ঞানসস্তুত সংশয়কে জ্ঞানরূপ তরবারির দ্বারা কাটিয়া যোগ অবলম্বনপূর্বক উঠ ।” শ্লোকে ‘যোগ’ শব্দে পূৰ্ব্বপ্রতিপাদিত জ্ঞানপ্রদ বৃদ্ধিযোগ বা কৰ্ম্মযোগ উদ্দিষ্ট হইয়াছে । $$$ 2 এই অধ্যায়ের তাৎপর্য্য এই যে, সমাজের মধ্যেই পাপের প্রতিকারের শক্তি নিহিত আছে । কি পাপ কি পুণ্য তাহা বিদ্বান ব্যক্তিও অনেক সময় নিৰ্দ্ধারণ করিতে পারেন না। পাপ ও পুণ্য কৰ্ম্ম উভয়েরই বন্ধন আছে । যে-কাজই কর না কেন, কৰ্ম্মযোগের কৌশল জানিলে পাপ-পুণ্য সমান হইয়া যায় ও সমস্ত পাপই জ্ঞানের দ্বারা নষ্ট হয়। ইতি জ্ঞানযোগ নামক চতুর্থ অধ্যায় সমাপ্ত । নহি জ্ঞানেন সদৃশং পবিত্ৰমিহ বিদ্যতে। ভৎ স্বয়ং যোগসংসিদ্ধঃ কালেনাক্সনি বিপতি ॥ ৩৮ শ্রদ্ধাবান লভতে জ্ঞানং তৎপরঃ সংযতেন্দ্ৰিয়ঃ। জ্ঞানং লব্ধ, পরাংশান্তিমচিরেণাধিগচ্ছতি ॥ ৩৯ তাজ্ঞশ্চাশ্ৰদ্দধানশ্চ সংশয়াত্মা বিনষ্ঠন্তি । নায়ং লোকোহস্তি ন পরে। ন সুখং সংশয়াত্মনঃ ॥ ৪০ যোগসংন্যস্তকৰ্ম্মাণং জ্ঞানসংচ্ছিন্ন সংশয়ম্। আত্মবন্তং ন কৰ্ম্মাণি নিবধ্নন্তি ধনঞ্জয় ॥ ৪১ তস্মাদজ্ঞানসস্তুতং হৃৎস্থং জ্ঞানাসিনাত্মনঃ। ছিত্ত্বৈনং সংশয়ং যোগমাতিষ্ঠোভিষ্ঠ ভারত ৪২