পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন করিল। সে ভাবিল-দেখা যাক, এখানকার জীবন থেকেই বা কি পাওয়া যায় ; এই ত সম্বল এর পরে। অল্পদিনের ভিতরেই এই জমায়েতটুকুর মধ্যে সুচারুর একটি বিশিষ্ট জায়গা মিলিয়া গেল, এবং ইহার মধ্যবৰ্বতীয় সাধারণভাবে পুরুষমহলের সঙ্গে বড়বাবুর সঙ্গে দিনের পর দিন চলিতে লাগিল । কেহ শুধু বাৰ্ত্তাবাহিকারই কাজ করে,—ওদিককার খবর এদিকে আর এদিককার খবর ওদিকে হাজির করিয়াই খালাস । এ দলে আছেন বড়গিরী, মালবাবুর স্ত্রী, পোষ্টমাষ্টারের প্রথমপক্ষ । কতক,-বিশেষ করিয়া নবীনাদের মধ্যে—মুচারুর দলভূক্ত হুইয়া পড়িয়াছে এবং নূতন দীক্ষার উৎসাহে গুরুকেও টপ কাইয়া গিয়াছে। এ দলে, নবীন না হইলেও আছেন “তামাক-গিন্নী” । পুরোক্ষ-আগত পুরুষদের কথায় সুচারু যখন জবাব দিতে থাকে, তখন ইঙ্গর প্রচণ্ডবিক্রমে যোগান দেয়-মূল-গায়েনের চেয়ে দোয়ারদের স্থর চড় হুইয়। ওঠে। তামাক-গিল্পী হু কায় ঘন ঘন টান দিতে দিতে বলেন—“..ত হক কথা কইতে কখনও ডরাই না বাপু—কেন, পুরুষদের কি একটা ক’রে লেজ আছে যে সব-তা’তে র্তারাই সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব হবেন ?” পুরুষদের পক্ষও যে অবলম্বন করিবার লোক নাই এমন নয়—পোষ্টমাষ্টারের খুড়ী আছেন । মজলিস ত্যাগ করিয়া সুচারু উঠিয়া গেলে দুয়ারের দিকে লক্ষ্য করিয়া সংক্ষেপে মন্তব্য দেন—“গলায় দড়ি ।” গলায় দড়ি কিন্তু কাহার,—সুচারুর, না পুরুষমাত্রেরই ?...তাহাদের একমাত্র উকিল—পুরাতনের জীর্ণবশেষে ভীমরতিগ্রস্ত এই সত্তর বৎসরের বৃদ্ধার অভিমতটা চব্বিশ ঘণ্টাও টেকে না। পরের দিন সুচারু মাথার পাকাচুল তুলিয়া দিতে দিতে যখন হাসির প্রশ্ন করে—“হঁ্য রাঙাঠাকুরমা, আমার নাকি কাল গলায় দড়ির ব্যবস্থা হয়েচে ?” তিনি আকাশ থেকে পড়েন, বলেন— “বালাই ষাট, কে আমন কথা বলে র্যা—জিবের একটু আড় নেই ?—বালাই যাট ; সিথির সিঁদুর বজায় থাক, নাতি নাত কুড় নিয়ে ঘর.” হাসির হবুরায় আশীৰ্ব্বাদের স্রোত চাপা পড়ে। ھی ص-- چ نہ لا বিশেষভাবে তাহার বোঝাপড় এবং শিক্ষা-সঙ্কট b*c) কিরণলেখা বলে—“আপাততঃ নাতিনাতকুড়দের ঠাকুদ্দার সঙ্গেই ঘর-করা মুস্কিল হয়ে পড়েচে, রাঙাঠাকুরমা ।” রহস্যটা ঠিকমত ধরিতে ন পারিয়া বৃদ্ধ জিজ্ঞাসা করেন—“কার সঙ্গে ?” স্বচার হাসিমুথে কথাটা ঠোঁটে পিষিয় আস্তে বলে— "মরণ তোমার !” কিরণ বলে—“কি জালা ! বরের সঙ্গে গে ।...এ ব’লে চরখা কাটে, সে বলে টিকিট কাটবে কে ?” ঠাকুরমা বলেন—“তা ত ঠিকই বলে বাছ, টিকিট ন কাটলে--” ঠিক তালের মাথায় সুচারু বাধা দেয় ; মুখটা হঠাৎ ঠাকুরমার মুখের সামনে আনিয়া বলে—“শরীর ত তোমাদেরই, রাঙাঠাকুরমা—এখনও এত কাচা চুল মাথায় “হ্যা ঠাকুরম, কে ঠিক বলে বলত? না, আমি বলেই যে আমার মুখ চেয়ে বলবে, তা ব’লে না কিন্তু ওদিকে আঙ লগুলো আরও মোলায়েম ভাবে চলিতে থাকে। ঠাকুরম একটু ফাপরে পড়িয়া যান। খোসামোদ আর নগদ অরিামের মোহ কাটাইয়া উঠিতে না পারিয়া বলেন—“বলছিলাম, তা আর কি এমন অন্যায় কথা বলিস ভাই...” আবার হাসির লহর ওঠে । কাল মানুষ আবার যাহাতে চটিয়া না যায় তাহার জন্য তাড়াতাড়ি একটা মনগড়া কারণ খুজিয়া বলিতে হয় । কথাগুলো রাত্রে বড়বাবুর কানে ওঠে মন্তব্যসমেত । বড়গিল্পী হাসিয়া বলেন—“খুব উকিল যাহোক । ” বড়বাবু ভারী হইয় ওঠেন। বলেন—“একটা বুড়েহাবড়ার কাছে আর বাহাদুরি কি ; পড়েন একদিন শৰ্ম্মার মুখের সামনে, ভলণ্টিয়ারি ঘুচিয়ে দিই—শুধু কথার তোড়ে. -যতে সব• • • ” বড়গিন্নী প্রবলবেগে মাথা নাড়িয়া বলেন—“সে পারব না বাপু, কেন মিছে বড়াই কর।” বড়বাবু কপালে চোখ তুলিয়া বলেন—“আমি বড়াই 尊 পেয়েছ,