পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o tyది: করছি । ঐ একফোট একটা কনেবউ ওর কাছে আমি মুখে হারব,—তুমি যে অবাক করলে !...” এই সময় বরাবর ওদিকেও প্রায় এই ধরণেরই আলাপ চলিতে থাকে।—স্বামী হীরু ষ্টেশন মজলিসের রিপোর্ট হাজির করিয়া বলে—“বড়বাবুর মুখের কাছে ত পারবার জো নেই, বললেন—” ইত্যাদি— বধু স্বচারু বলে,—“এক পাল মেনীমুখে পুরুষের সামনে ও-রকম সবারই কথা ফোটে। পড়তেন আমার সামনে• • •" স্বামী বিস্ময়বিশ্বফারিত চোখে তাকাইয় বলে—“বল কি তুমি !" স্ত্রী বলে—“কেন, বড়বাবু কি পীর না পয়গম্বর, শুনি ?” সাক্ষাৎকারের এরকম প্রবল বাসনার জন্যই হোক, আর যে জন্যই হোক, রহস্যপ্রিয় বিধাতাপুরুষ একটু সুযোগ করিয়া দিলেন । ঠিক সুযোগ বলা যায় না, দুর্যোগ ? wo গান্ধী-আরুইন চুক্তি স্বাক্ষরিত হইয় দেশে শান্তি স্থাপিত হইয়াছে ; অসহযোগ আন্দোলন কিছুদিন মুলতুবি রহিল । দেশের নারীদের মধ্যে কেহ কেহ নিজেদের শক্তির প্রকৃত পরিচয় পাইয়। এই অবসরে জাতির মধ্যে র্তাহাদের স্থানটা কোথায় সেই সম্বন্ধে একটা মীমাংসা করিয়া লইতে চান।—যেখানে তাহারা স্ত্রী সেখানে আসলে তাহারা কি ? —চরণাশ্রিত দাসী, না তুল্যপদস্থা, না অভিভাবিক ?-- যদি অভিভাবিকা নয় ত কেন নয় ? কোন স্বার্থান্বেষী ধূৰ্ত্ত, কোন প্রবঞ্চক দায়ী তাহার জন্ত ? স্বরাজ সেনার অনেককে ন পাইলেও এ বাহিনীর তেমন ক্ষতি হয় নাই, কেন-ন, এই গৃহযুদ্ধে কায়মনোবাক্যে আত্মনিয়োগ করিবার মত কৰ্ম্মিণীর মোটেই অভাব হয় নাই । কেহ কেহ বলিতেছেন, “কেন, আর স্ত্রী হওয়াই বা কিসের জন্য ? ঢের হইয়াছে; একেবারে গোড়ায় কোপ S99āు দিয়া আলাদা হও । পুরুষের বুজরুকি এতদিনেও চিনলে না ?” fls “উগ্ৰশক্তি’ কাগজখান। নেহাৎ-ই উগ্ৰশক্তি বলিয়া নিজের উত্তাপে দগ্ধ হইয়া যায় নাই । এই সবের প্রতিধ্বনি সুচারুর বন্ধুর চিঠিতে থানিকট শদিত হইয়া উঠিয়াছে। লেখা আছে —“...যাক, যা হয়ে গেছে তার ত আর চারা নেই ; এখন যাতে মানুষটির মাথায় পুরুষের সেই চিরন্তন বর্বর ধারণাগুলি বাসা বেঁধে তাকে অত্যাচারী, অসহিষ্ণু দাম্ভিক, আত্মম্ভরী, অবিনয়ী, কঠোর—অর্থাৎ ‘পুরুষ’ বলতে পৃথিবী যা এতদিন বুঝে এসেচে তাই ন ক’রে তোলে সেদিকে নজর রাখতে হবে । এর জন্যে উপযুক্ত শিক্ষা চাই। ওদের কৰ্ম্মজীবনের মধ্যে থেকে, ওদের চিন্তার মধ্যে থেকে— এক কথায় ওদের নিজেদের মধ্যে থেকে মাঝে মাঝে ওঁদের টেনে বার ক’রে আনতে হবে । পুরুষের Czar যুগ নষ্ট হয়েচে একথা ওদের ভাল ক’রে বুঝিয়ে দে ওয়ার ভার আমাদের উপর ; আমরা যদি এতে অপারগ কি পশ্চাৎপদ হই ত আমাদের ধিক—শত ধিক—সহস্র ধিক...” পুরুষের সংসৰ্গই হানিকারক, অন্তত: সুচারুর যে অধঃপতন ঘটিয়াছে এ কথা অস্বীকার করা যায় না । সে, শত্রুপক্ষের প্রতিনিধি তাহার স্বামীকে পত্রথনি দেখাইয়াছে, এবং এইখানি উপলক্ষ্য করিয়া নিতান্ত লঘুভাবে তাহাদের ধে একচেটি রহস্যালাপ হইয়। গিয়াছে তাহা শুনিলে নিতান্ত সহিষ্ণু নবীনারও সিধা মাথা ষ্ট্রেট হয়। শেষের দিকে স্বামী থিয়েটারী ঢঙে নতজাতু হইয়া, চিঠির অতিরিক্ত আরও গোটাকতক বিশেষণ নিজের স্বন্ধে চাপাইয়া বলিল,—“দেবি ! এখন এই অবিনয়ী পাষণ্ড, গোলামভাবাপন্ন বৰ্ব্বরকে কি দীক্ষণ দেবেন আদেশ করুন।” সুচারু হাসিয়া বলিল,—“ন, আর তামাসা নয়, ওঠ, সত্যিই তোমাদের একটু শিক্ষা দরকার, অস্তত এখানকার পুরুষগুলির ।...আচ্ছ, সত্যি বল দিকিন, ভাল লাগে তোমাদের এই একঘেয়ে জীবন-ঐ ষ্টেশন আর এই কোটর ?...রাগ করে না—আমি একটা নতুন তথ্য আবিষ্কার করেচি ৷ তোমাদের মনে যে এতদিনেও ভাল