পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سیab سb この○○を> আওড়াচ্চে”—তামাক-গিন্নী প্রবেশ করিতেছিলেন, চৌকির দিকে নজর পড়ায় হক্‌চকিয় দাড়াইয়া পড়িলেন । মাড়োয়ারা বেটাছেলের মত কাপড়-পর, বিশাল চুড়ির ওপর বড়বাবুর কামিজটা সাটিয়া রহিয়াছে, মাথায় লম্ব। খানিকট পাকান কাপড়ের লিকুলিকে পাগড়ী জড়ান ! মুচারু প্রবলবেগে হাসিয়া উঠিয়া বলিল—“এস, এস ; উঃ, একেবারে মাড়োয়ারী, আমাদের কলেজেও এমনটি দাড় করাতে পারিনি...আরে, আমন ক’রে দাড়িয়ে রইলে যে –ও যে কিরণঠাকুরবি পোড়ারমুখী ; তোমাকে ধোক দিয়েচে !...তুমি কিন্তু, মাইরি.ও.পেটে গিল ধরিয়ে দিলে...” তামাক-গিয়ী আগাইয়া আসিয়া বলিলেন,—“সতি্যু নিরীক্ষণ করিয়া ধোক হয়েছিল— সেই টাক, সেই গোফ.” তাহার পর সন্দেহের ভবিটা কাটিয়! যাওয়ায় তিনিও সুচারুর হাসিতে যোগ দিলেন । হাসির ঝাকানিতে জামার স্থানে স্থানে ছিড়িয়া ফাটিয়া যাইতে লাগিল । অনেকক্ষণ পর একটু সামালইয়া লইয়া বড়বাবুর দিকে চাহিয়া বলিলেন—“তা নে ওঠ ; আমন বনমাল্লযের মত ব’সে রইলি কেন ? “আবার্গর রঙ্গ একরকম নয় ত—চল, ওদেরও এতক্ষণ হয়ে গেচে ।” ডাক দিলেন--"তোদের হ’ল র্যা ? ত চল, আয় একবার দারোগা আর ইষ্টিশন মাষ্টার দেখে যা...” –হাসি চলিল । " "--আর নেকীরাম মাড়োয়ারী-ও বলিয়া সুচারু হাসির চোটে পেট চাপিয়া প্রায় লুটাইয়া পড়িতে লাগিল । পিকেটার-বেশে বুকিং-ক্লার্কের স্ত্রী আর শালী ছুটিয়া আসিল । মালর্কোচামারা, গায়ে বড়বাবুর সাদা পাঞ্জাবী ; তাহাদের পেছনে পেছনে পোষ্টমাষ্টারের দ্বিতীয়া,—গায়ে বুধন পানিপাড়ের কুর্ত,মাথায় নীল হলদে রঙের পাগড়ী। একেবারে চরম হওয়ার জন্যই হোকু আর যেজন্যই হোকু বড়বাবু সম্পূর্ণ শক্তি দিয়া মনের ভাব গুছাইয়া লইয়। বলিয়া উঠিলেন,—“ব্যাপার কি ? বড়গিল্পী কোথায় ?” হাসির একটা তুমুল কোরাস উঠিল ; তাহার মধ্যে— "কর্ডার বড়গিল্পীকে চাই, ওর বুঝি মাথা বিগড়ে গেছে, টাকে জল চাপড়া”–গোছের কতকগুলা ভাঙা ভাঙ " কথাও শুনা যাইতে লাগিল । এমন সময় মালর্কোচার উপর প্যান্টালুনট টানিতে টানিতে কিরণলেথ!--“আমরণ । কিসের এত গোল ?” বলিয়। ভিড় ঠেলিয়া সামনে আসিয়া দাড়াইল, এব: সঙ্গে সঙ্গে চৌকির ওপর নজর পড়ায়—“ও বাবা গে}, দাদ। যে ! ! ” বলিয়া দু-হাতে প্যান্টালুন টানিয়া ধরিয় স্যাক্ রেসের মত খোড়াইতে খোড়াইতে পড়ি-ত-মরি গোছের দৌড় দিয়া বাহির হইয়া গেল । নাটকের বাকী চরিত্রবৃন্দ একবার চৌকির মুক্তিটির দিকে এবং পরক্ষণেই পরস্পরের রক্তহীন শুকনে মুখের দিকে একবার চাহিল—মুহূৰ্ত্তমাত্র—তাহার পর সেই অদ্ভুত পরিচ্ছদ লবিদ করিতে করিতে দিগ্বিদিকুজ্ঞানশূন্ত হইয়া ছুট.কেহ খাইল দেওয়ালে ধাক্কা, কেহ চেয়ারে হোচট । তামাক-গিন্নী কোয়াটাসের ছোট, আধভেজন দুয়ারের মধ্যে আটকাইয়া গিয়া জালের মধ্যে মাছের মত একটু ছটফট করিলেন, তাহার পর পেছনের মাছেদের ধাক্কা খাইয় দুয়ার ঝনঝনাইয়া বাহির হইয় গেলেন. 莱 * 家 兹 বন্ধুর চিঠি আসিয়াছে, লিখিয়াছে—“ভাই স্থা, তোমার পত্র পড়ে সুখী হলাম যে, তোমার শিক্ষার ওষুধ ওঁদের রুগ্ন নাড়ীর মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠচে ।--ঘনিষ্ঠ পরিচয়ে বোঝা যায় পুরুষ আর যাই হোক একেবারেই ধে অ-বশ্ব তা নয়। জাৰ্ম্মানী থেকে ফিরে এলেও সম্প্রতি স্বকোমলবাবুর মধ্যে সে রকম নমনশীলতার পরিচয় পাচ্ছি, তাতে এই ধারণাটাই মনে ক্রমে বদ্ধমূল হয়ে উঠছে।. আমার মনে হয় পুরুষ আর নারী আমরা পরস্পরকে সাধারণত দূর থেকে এক ছদ্মবেশে দেখা দিয়ে থাকি,— কত স্বথের বিষয় হ’ত যদি আমরা সামনাসামনি মুখোমুখি হয়ে পরস্পরের সত্যদৃষ্টির সামনে দাড়াতে পারতাম।--তা হ’লে দেখা যেত...” ইত্যাদি— সুচারু খালি পত্রের প্রথমাংশের উত্তর দিয়াছে— “ভাই, দৈবদুর্বিপাকে শিক্ষা-ঔষধের মাত্রা হঠাৎ একটু চড়া হয়ে পড়ায় আপাতত ডাক্তার রোগী উভয় পক্ষই একটু সঙ্কটাপন্ন ।...বোধ হয় শীঘ্রই কলকাতায় অাসচি ; সব কথা সামনেই হবে...” -