পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bళలS. ఏ99áు পূৰ্ব্ব ১৫০০ বৎসর হইতে স্বরু করা হইত। কয়েকটি পাথরের অস্ত্র এবং দক্ষিণ-ভারতের প্রস্তরসমাধিগুলি (Dolmen) ছাড়া নব্য প্রস্তরযুগের প্রায় কিছুই জানা ছিল না ; বিহারের রাজগৃহের অতিমানবরীতির (Cyclopean) প্রাচীরগুলি ছিল স্বপ্রাচীন স্মৃতিস্তপের নিদর্শন। আর্ধ্যেরা নিজেরাই কতকটা যাযাবর প্রকৃতির ছিলেন, গৃহবাস র্তাহাদের অভ্যাস ছিল না। বিহারের লৌরীয় নন্দনগড়ের যে সমাধিস্তুপগুলি আপাততঃ খৃঃ পূঃ ৭ম কি ৮ম শতাব্দীর বলিয়া অভিহিত হয়, একমাত্র সেইগুলিকেই নিৰ্ব্বিবাদে আৰ্য্যদের প্রথম যুগের স্মৃতিসৌধ বলা যাইতে পারে। আর্য্যদের প্রথম ঘরবাড়ী সম্ভবতঃ কাঠের ছিল, কারণ ভারতের প্রাচীনতম সৌধগুলিতে (বৌদ্ধ বিহার ও স্তপ উল্লেখযোগ্য) প্রাপ্ত কাঠের কারুকার্ধ্যের নকল এই মতই সমর্থন করে। প্রাচীন আৰ্য্যদের শ্ৰেষ্ঠতম স্মৃতিচিহ্ন থাটি সাহিত্য ঋকৃবেদের গান ও অন্যান্য সংস্কৃত রচনা । ১৯২৩ খৃষ্টাবে আর্য্য-পূৰ্ব্ব যুগের ভারতের অবগুণ্ঠন অকস্মাৎ অভূতপূৰ্ব্বভাবে ছিন্ন হইয়া যায়। সিন্ধু প্রদেশের দরকান জেলার একটি বৌদ্ধ ধ্বংসস্তুপ কিছুকাল হইতে পরিচিত ছিল। একটি অত্যন্ত সমতল ভূমিতে ধূলিমলিন ঝাউ ও কাটা বনের মাঝখানে একাকী আপনার আহত মস্তক তুলিয়া ৭২ ফিট উচু এই স্তুপটি বনভূমির স্বপরিচিত অধিবাসীর মত দাড়াইয়াছিল। স্বর্গগত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ( আকিয়লজিক্যাল সর্ভে অফ ইণ্ডিয়া ) শুপটি পরীক্ষা করিয়া দেখেন যে ইহা কাদার গাথুনি ও পোড়া ইটে তৈয়ারি একটি ঢিপির উপর দাড়াইয়া আছে। স্তুপের ইট ও ঢিপির ইট মাপে সমান। স্তুপের নীচের বৌদ্ধ-সৌধ-বলিয়া-অস্থমিত সৌধগুলি কি জাতীয় জানিবার জন্য বন্দ্যোপাধ্যায়-মহাশয় খনন স্বরু করেন। তিনি কতকগুলি চৌকা শীলমোহর এবং কতকগুলি তামার কবচ-জাতীয় জিনিষ আবিষ্কার করিলেন—যেগুলি নিশ্চয়ই বৌদ্ধযুগের নয়। পরে সেগুলি খৃঃ পূৰ্ব্ব ৩• • • বৎসরের সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতার বিশেষত্বব্যঞ্জক হটির অন্যতম বলিয়া চেম যায় । এইগুলি ও অন্যান্য দ্রব্য দেখিয়া আৰ্কিয়লজিক্যাল সর্ভের ডিরেক্টর জেনারেল স্তর জন মার্শাল বুঝিতে পারিলেন যে, ইতিপূৰ্ব্বে যে সভ্যতার অস্তিত্ব সম্বন্ধে একটি ক্ষীণ সন্দেহের রেখামাত্র জাগিয়াছিল, এই থানেই তাহার ংসাবশেষ আছে। এই রকম আরও কয়েকটি শীল পঞ্জাবের মন্টগোমরি জেলায় ৪৫০ মাইল দূরে রাবি নদীর পুরাতন গর্তে হরপ্পাতে দুই বৎসর পূর্বে রায় বাহাদুর দয়ারাম সাহনি কর্তৃক আবিষ্কৃত হয়। এই সহরটি মোহেনজো-দাড়ো হইতেও বৃহত্তর এবং মূল্যবান বলিয়া মনে হয়। ইহা মানুষের চলা-পথ হইতে এত বেশী দূরে নয়। দুর্ভাগ্য বশত এক সময় এই স্থান হইতে রেলপথের জন্য পাথর ও মালমশলা সংগ্রহ করা হইয়াছে। এই নবাবিষ্কৃত স্থানটি আরও ভাল করিয়া পরীক্ষা করার পর স্ত্যর জন মার্শাল ২৪শে সেপ্টেম্বর ১৯২৪ “ইলাসট্রেটেড লণ্ডন নিউজে ইহার একটি প্রাথমিক বিবরণ প্রকাশ করেন। তাহার ফল খুব ভাল হয়। সকলের তীক্ষু মনোযোগ সেই দিকে পড়িতেই কুমার ও এলাম হইতে আনীত প্যারিসের লুভার ইত্যাদি স্থানে রক্ষিত এইরূপ চিত্রাক্ষর-শোভিত এবং পশুচিত্রভূষিত অনেকগুলি শীল পুনরাবিষ্কৃত হইল । সুমার এবং সিন্ধুতীরের সভ্যতার ভিতর বহু সাদৃশ্য লক্ষিত হইল । fogfúa wits; fl. Ito ( Field Director of the Joint Oxford and Field Museum, Chicago Expedition ) foC-I ( Kish ) gfs HfTsfotT যুগের মন্দিরের ভিত্তিভূমিতে এইরূপ একটি শীল উদ্ধার করিয়াছিলেন । সম্ভবত ইহা না জানিয়া ভরাট করার মাটির সহিত মন্দির ভিত্তির নীচে ফেলা হইয়াছিল। তিনি ইহা স্বৰ্গীয় fĦ ja u czas ( Hon. Director

  • এই আবিষ্কারের সন্মান সার জন মার্শালের প্রাপ্য নহে,-যদিও বিদেশীরা তাহ বলিতে চাহেন। মোহেন-জো-দাড়োর আবিষ্কারের কয়েক বৎসর পূর্বেই হারাল্পায় ঐ শ্রেণীর লুপ্ত সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হইয়াছিল, কিন্তু তাহ পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দেখিয়াও স্যর জন মার্শাল এবং অস্তান্ত বহু প্রত্নতত্ত্ববিদ ইহা যে প্রাগৈতিহাসিক, তাহ বুঝিতে পারেন নাই । স্বর্গগত য়াখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ই প্রথমে বলেন যে মোহেন-জে+ঘাড়ো লুপ্ত ঐতিহাসিক যুগের ধ্বংসাবশেষ, এবং তিনি উহ! প্রমাণ করার পরে সার জন মার্শাল প্রমুখ অঞ্চ প্রত্নতাত্বিকরা

ইহ যে আদৌ সম্ভবপর তাহা বিশ্বাস করেন। .