পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ বাক্যহীরা 8৯ গিরিশচন্দ্র ও অমৃতলালের গ্রন্থাবলী পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করিলে দেখা যায় যে, তাহার এই দুইটি শব্দের ব্যবহারে কিছু পার্থক্য করিয়াছেন । নাটক নামে অভিহিত গ্রন্থেই সাধারণতঃ গভাস্ক শব্দটি ব্যবহৃত হইয়াছে। কিন্তু প্রহসনাদি স্থলে দৃশ্য শব্দটি দেখা যায়।* আজকাল বাঙ্গালা নাটকে যবনিকাপতন এই শব্দটির বহুল প্রয়োগ দেখিতে পাওয়া যায়। প্রতি অঙ্কের শেষেই এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। সংস্কৃত নাটকে এইরূপ প্রয়োগ

  • এই নিয়মের ব্যতিক্রমের মধ্যে অমৃতলালের প্রহসন ‘কৃপণের ধন এবং গিরিশচন্দ্র কর্তৃক অনুদিত শেক্স্পয়রের ম্যাকবেথ' নাটক উল্লেখযোগ । কৃপণের ধনে গর্তাঙ্ক এবং ম্যাবেথে দৃষ্ঠ শব্দ ব্যবস্থাত

ইয়াছে। বাক্যহার শ্ৰীশৌরীন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য ভেবেছিকু কেঁদে কেঁদে তোমারে ডাকিয় করিব চরণে তব আত্ম-নিবেদন ; ঢালিয়। প্রাণের দাহ তব পদতলে— করিব গো চিরশান্ত অনন্ত বেদন । আদৌ দেখিতে পাওয়া যায় না । এখনকার সিনের বদলে তখন একটি পর্দামাত্র ব্যবহৃত হইত। পদা ঠেলিয়া সত্বর প্রবেশ করিলে বলা হইত ‘অপটীক্ষেপে প্রবেশ। প্রথম যুগের বাঙ্গাল নাটকে অনেক স্থলে বৰ্ত্তমান কালের যবনিক পতনের অর্থে—পটক্ষেপ শব্দটির ব্যবহার দেখিতে পাওয়া যায়। বৰ্দ্ধমানাধিপতি আফতাব চন্দ মহতাব বাহাদুরের আদেশানুসারে শ্ৰীঅঘোরনাথ তত্ত্বনিধি কর্তৃক প্রণীত শকাব ১৭০৪ ( ), বঙ্গাব্দ ১২৮৯ তে বৰ্দ্ধমান অধিরাজ যন্ত্রে মুদ্রিত ‘সতী-বিয়োগ’ নাটকের প্রথমে আছে অপটাক্ষেপ। প্রতি অঙ্কের শেষে পটক্ষেপ এইরূপ নিদেশ রহিয়াছে। ইতঃপূৰ্ব্বে উল্লিখিত কাপালিক নাটকেও প্রতি প্রকরণের শেষে এই শব্দটিই - ---- ها، فن یتیم ভেবেছিকু চাহিব গে৷ কাদিয়া তখন, তোমার চরণ-তলে রত্ন-হেম-ধনে ; তুমি কিন্তু সত্য ক’রি মূর্ত হ’লে যবে আৰ্ত্তের ব্যাকুল-ডাকে হইয়া কাতর, রহিমু চাহিয়া শুধু এ মুগ্ধ-নয়নে। হে দয়াল, তুমি যবে হবে মুনি । ভুলে গেছু সব ভিক্ষা–ভুলিচু আপন, ধন্য করি অভাগায় স্নেহ-দিঠি দিয়া জাগে শুধু স্বেদ-কম্প-লাজ-শিহর হেসে যবে দিবে মোরে বরাভয় দান । { জ-শিহরণ । 8th