পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وكاوSاموا প্রসিদ্ধ বাজার-ই-বকীল নিৰ্ম্মাণ ও প্রতিষ্ঠ৷ ইহারই कौद्धिं । শিরাজ ইতিপূৰ্ব্বে বহুবার আরব, মোগল, তুর্ক ও তুর্কোমান শত্রুর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়েছিল। একবার শিরাজের মসজিদ শিরাজের সুশারীদের রূপলাবণ্য বিজেতার আক্রোশ থেকে নাগরিকদের বাচায়। এই সকল যুদ্ধবিগ্রহ, লুণ্ঠন, হত্যাকাণ্ড ও রাষ্ট্রবিপ্লবের ফলে হৃতগৌরব শিরাজের পুননিৰ্ম্মাণ করেন করিম খ। জেন্দ। কিন্তু শত্রুর আক্রমণ থেকে শিরাজ যদি বা পার হয়েছিল, প্রকৃতির আক্রোশ থেকে উদ্ধার এখনও হতে পারে নি। ১৮১২, ১৮২৪, এবং —অতি প্রচণ্ডভাবে ১৮৫৩ খ্ৰীষ্টাব্দে ভূমিকম্প হয়ে করিম থার সাধের শিরাজ একেবারে ধ্বংস হয়ে যায়। তারপর অতি নিকৃষ্টভাবে এর সংস্কার ও নিৰ্ম্মাণ হয়েছে। সম্প্রতি নূতন শাহের আমলে কয়েকটি স্বন্দর রাজপথ এবং সঙ্গে সঙ্গে একটি দুটি করে ভাল বাড়ি ঘর হওয়ায় শহরের শ্ৰী কিছু ফিরেছে। দেশেও শাস্তিস্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে কৃষি এবং শিল্পের উন্নতি ধীরে ধীরে আরম্ভ হয়েছে। 来源 聚 * নীচু মাটির দেওয়ালে এবং শুকনো গড়খাইয়ে ঘেরা শিরাজ শহরের পরিধি প্রায় চার মাইল। জায়গাটি সমুদ্র থেকে ৫••• ফুট আন্দাজ উচু উপত্যকায় থাকাতে এখানের আবহাওয়া সারা বছরই ভাল এবং পাহাড়ঝরণার দৌলতে ফুলে ফলে গাছে স্থশোভিত বাগানে ভরা। অতীত গৌরবের চিহ্নস্বরূপ শিরাজে এখনও ు **. હૂઁદરાBi}} ఏ99శు. অনেকগুলি মসজিদ ও দরগা, পনর-কুড়িটি কাৰ্ব্বণ-সরাই এবং করিম খাঁ জেদের বিরাট বাজার, অল্পবিস্তর জীর্ণ অবস্থায় বিরাজ করছে, তার মধ্যে আটাবেগ জেঙ্গী নিৰ্ম্মিত মসজিদ-ই-নও (খৃঃ ত্রয়োদশ শতক ), করিম খাঁ জেন্দের মসজিদ জাম-ই-বকীল ( ১৭৬৬ খৃ: ) এবং খৃঃ ত্রয়োদশ শতকের প্রসিদ্ধ ইমামজাদেহ, সৈয়দ আমির আহমেদ, শাহ চেরাঘের দরগা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বাজার-ই-বকীল প্রায় আধ মাইল জায়গা জুড়ে আছে । এর ভিতরের রাস্তা-ঘাট, অলি-গলি, দোকান, সমস্তই উচু খিলান করা নক্সাকাটা ছাদে ঢাকা । বাজারের প্রত্যেক রকম জিনিষের পটা ভিন্ন জায়গায় রয়েছে, কিন্তু এখন কাপে ট এবং কাঠ ও ধাতুর নক্সার কাজ ছাড়া অন্য যা কিছুর দোকান প্রায় সবই বিদেশী (বিশেষে রুশ ) জিনিষে ভরা। শিরাজের খ্যাতি ছিল মাদ্রাসা ও বাগানে, এবং করিম ধ। জেনা এখনও শিরাজ “দর-উল-ইল্ম্" (জ্ঞানপীঠ) বলে পরিচিত। মাদ্রাসার মধ্যে চারটি বিখ্যাত, যথা সৈয়দ সদর এদুদিন মহাম্মেদ ডষ্টেকী স্থাপিত মন্স রিয়েহ ( ১৪৭৮ খৃ: ), সপ্তদশ শতকে প্রতিষ্ঠিত হাসিমিয়েহ ও নিজামিয়েহ, এবং