পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন ধৰ্ম্মগ্রন্থের ভাষা এবং সংস্কৃত ভাষা যে একই জাতির সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। ঐ সময় ইরাণ ও ভারতের মধ্যে আদান-প্রদান খুবই ছিল, এবং হখামনিষ্য ( বা অক্কমনিষ্য ) ও শাশানীয় বংশের নৃপতিদের সময়ে পারসীক সেনাবাহিনীতে অনেক ভারতীয় সৈন্য স্বদুর পশ্চিম এশিয়—এমন কি গ্রীস–পৰ্য্যস্ত নানাদেশে বহুযুদ্ধে রক্ত দান করেছে, এসব কথা ত এখন ঐতিহাসিক সত্য। কালের চক্রে দুই দেশের সম্বন্ধ বিচ্ছেদ হয়েছে—এমন কি “ইরাণ" শব্দ যে আবেস্তার ঐরিয় (আৰ্য্যভূমি) সেকথা লোকে ভুলে গেছে । \ 發 豪 \ 皋 অনেক চেষ্টার পর শিরাজ থেকে শাপুর দেখতে যাবার ব্যবস্থা করলাম। ন টুমানে ( প্রায় ৪ পাউণ্ড ) ঠিক ફર્ન, আমি একলাই যাব স্তির হ’ল, আমাদের কর্ণধার প্রফুল্ক কৈহান একজন সশস্ত্র সেপাই রক্ষী এবং একজন দোভী জোগাড় করে দিলেন। o ভোরের অন্ধকারে স্বযুপ্ত শিরাজের ভিতর দিয়ে রওয়ান হলাম। পারস্যদেশে প্রাচীন কীৰ্তিচিহ্নের মধ্যে এইটিই আমি প্রথম দেখতে চলেছি সুতরাং মনে উৎসাহ যথেষ্ট । কাজেরুণ থেকে যে পথে শিরাজ এসেছিলাম এবার সেই পথে ফিরে কাজেরুণ ছাড়িয়ে অন্য রাস্তায় যেতে হবে। উষার আলোয় পাহাড় উপত্যকার আবছায়া দৃশ্ব বেশ স্বন্দর দেখাচ্ছিল, ডুষ্টর জানের গায়ের ও মাথার তুষার আবরণ সকালের প্রথম রোদে গোলাপী আভাযুক্ত, নীচের ংশ ধূসর, নীল, এবং বেগুনী রঙের নানা ছায়ায় শোভিত। বাতাস খুবই ঠাণ্ড, তার উপর মোটর তাঁরবেগে ছুটেছে, শীতে জমে যাবার উপক্ৰম । চশষে সালমিনের ঝরণায় পৌছবার আগেই রোদ উঠল। আশে-পাশের পাহাড়গুলি দেখতে দেখতে চললাম। দেখলাম আমার আগের অনুমান-মত পাহাড়ের গায়ে অনেক গুহা এবং ফাটল রয়েছে, কতকগুলিতে কৃত্রিম গঠনের চিন্থ স্পষ্টই দেখা গেল, কয়েকটার সামনে লুপ্তপ্রায় ওঠানামার পথের চিহ্ন রয়েছে মনে হ’ল। এবিষয়ে 巻〉●*>bア পারস্ত-স্ত্রমণ ریاست সন্দেহ নেই যে এই গুহাগুলি পরীক্ষণ করা এদেশের প্রত্নতত্ত্ব এবং নৃতত্ত্ববিদদের পক্ষে নিতান্তই প্রয়োজন । এই উপত্যকা পার হয়ে পরের পাহাড়তলিতে কাজেরুণের কাছে একটি প্রাচীন কবরস্থান, তার কয়েকটি কবরে সিংহমূৰ্ত্তি বসান, কয়েকটি প্রাচীন ভগ্নাবশেষ এবং পাহাড়েরই গায়ে কোনও কাজার নৃপতির দরবার-দৃশ্য খোদাই করা আছে। - কাজেরুণে এক সরাইয়ে চা খেয়ে পথের রসদ হিসাবে রুটি, ডিম, মাংসের কাবাব শাক-সজী ইত্যাদি কেনা গেল। বুশির থেকে কাজেরুণ আসবার সময়, শাপুরের কথা জানা থাকায়, সারা পথ দেখতে দেখতে এসেছিলাম কিন্তু প্রাচীন নগরী বা গড়ের উপযুক্ত জায়গা সে পথে কোথাও চক্ষে পড়েনি, কেম-না সে পথ পাহাড়ের পিঠ, নদী এবং উর্বর জমি এই তিনটে অত্যাবশ্যক জিনিষ থেকে দূর দিয়েই "এসেছিল। এবার সে-পথ ছেড়ে নূতন পথে আমরা ক্রমেই পাহাড়ের দিকে এগোতে লাগলাম। কিছু দূর গিয়ে নদী এবং উৰ্ব্বর উপত্যকা দুই দেখা গেল, পৰ্ব্বতগাত্রও সোজা, উচু, অর্থাৎ দুর্গম । বুঝলাম এবার উপযুক্ত স্থানে এসে পৌঁছেচি । আরও একটু দূরে দেখা গেল যে নদী উপত্যক ছেড়ে পাহাড়ের শ্রেণী ভেদ ক’রে চলেছে । যেখানে নদী গিরিসঙ্কটে ঢুকেছে তার ডানদিকে নদীর পার থেকে পাহাড়ের উপর দিকে একটি প্রাচীন পথের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে এবং সেখানেই পাহাড়ের উপরে কতকগুলি আকৃতিহীন স্তুপ পড়ে রয়েছে। পাহাড়ের গায়ে অগণিত পাথরের খণ্ড, অধিকাংশই কৃত্রিম (ইটের ) আকারের। প্রসিদ্ধ ডুনবলা দুর্গের এবং বিশাপুরের ( শাপুরের স্বকীৰ্ত্তি ) এখন এই অবস্থ। । নদীর ডান পাড়ের পাহাড়ে খোদিত চিত্রের একটি মাত্র অপেক্ষাকৃত ভাল অবস্থায় আছে। অপ্ত পারের নক্সাগুলি ধৰ্ম্মান্ধ কীৰ্ত্তিনাশাদের হাত থেকে অল্পবিস্তর রেহাই পেয়েছে। জায়গাটির আধুনিক নাম নক্স-ই-শাপুর। অপ্ত পারের নক্সাগুলি দেখা এক বিপজ্জনক ব্যাপার । প্রথমতঃ সোজা পার হু’তে গিয়ে দেখা গেল ষে পাড় जगडद छैहू अब नौब जगe गंडोब्र। eाष्ट्र भू-भारेण