পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

يا سونية b99áు কতকগুলি কার্যের তালিকা ও তাহা সম্পাদনের প্রণালী নির্দেশ করিতে হইবে, যাহা জাতিধৰ্ম্মশ্রেণী:নির্বিশেষে দেশের সকল লোকের পক্ষে হিতকর। দৃষ্টাস্ত-স্বরূপ ম্যালেরিয়ার উচ্ছেদের উল্লেখ করা যাইতে পারে । কৃষক ও অন্যান্য শ্রমজীবীশ্রেণীর লোকদিগকে অঞ্চণী করিবার ব্যবস্থা অন্য একটি কাজ। যিনি যে-বৃত্তিই অবলম্বন করুন, ঋণ পাওয়া তাহার কখন কখন আবশ্ব্যক হয় । পরিমিত স্থদে ঋণ পাইবার ও তাঁহা ক্রমে ক্রমে শোধ করিবার উপায় থাকা আবখ্যক । চাষ ও কূটর-শিল্পের উন্নতির চেষ্টা আর একটি জনহিতকর কাজ। প্রাপ্তবয়স্ক নিরক্ষর লোকদের মধ্যে এবং সমুদয় বালকবালিকার মধ্যে শিক্ষার বিস্তার আর একটি সকলের হিতকর কাজ । ইহা কিন্তু এমন ভাবে চালান আবশ্যক, যাহাতে মুসলমানদিগকে অন্ত সব লোকদের হইতে পৃথক না করিয়া ফেলে । বাগীশ্বরী অধ্যাপকের পদে অপনিয়োগ ভদ্রের প্রবাসীতে আমরা লিখিয়াছিলাম, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের “বাগীশ্বরী অধ্যাপকে’র পদে মিঃ শাহেদ সুহ রাবন্দীকে নিয়োগ করিবার জন্য নির্বাচক কমিটি ও খয়র অধ্যাপক বোর্ড সুপারিশ করিয়াছেন। গত ১৮ই ভাদ্র শনিবার, ৩রা সেপ্টেম্বর, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটের অধিবেশনে তিনিই “বাগীশ্বরী অধ্যাপক” নিযুক্ত হুইয়াছেন। ভদ্রের প্রবাসীতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেণ্ডার এবং তাহার একটি রিপোর্ট হইতে দেখাইয়াছিলাম, কি কি বিষয়ের অধ্যাপনার জন্য এই অধ্যাপকের পদ সৃষ্ট হইয়াছে, এবং ইহাও দেখাইয়াছিলাম, যে, মিঃ স্বহ রাবন্দীর অন্য যোগ্যতা যাহাই থাকুক, এই পদটির যোগ্যতা নাই। সুতরাং ঐ সব বিষয়ে আমাদের আর অধিক কিছু বলিবার প্রয়োজন নাই। এই পদটিতে র্তাহার নিয়োগ উপলক্ষ্যে সেনেটে যে আলোচনা হইয়াছিল, কেবল সেই বিষয়ে কয়েকটি কথা বলা আবশ্যক হুইবে । যেনেটের আলোচ্য অধিবেশনটিতে ৩৬ জন সভ্য উপৃষ্কিণ্ঠ ছিলেন, অর্থাৎ প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ উপস্থিত মনোনীত লোক, জন কয়েক সভ্য রেজিষ্টার্ড গ্র্যাডুয়েটদের স্বারা নির্বাচিত । সুতরাং উহা শিক্ষিত জনসাধারণের প্রতিনিধিস্থানীয় নহে। এরূপ একটি সভার সাত জন সভ্যও যে এই অপনিয়োগের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করিবার জন্য অধিবেশনে উপস্থিত হইবার কষ্ট স্বীকার করিয়াছিলেন এবং নিয়োগের বিরুদ্ধে ভোট দিয়াছিলেন, ইহা সম্পূর্ণ নৈরাতের প্রতিষেধক । ৪ঠা সেপ্টেম্বরের য়্যাডভান্স পত্রিকার রিপোটে দেখিলাম, মিঃ মুহ রাবন্দী বিশ্বভারতীর "নিজাম অধ্যাপক" নিযুক্ত হইয়াছিলেন কি-না ডাঃ জে এন মৈত্র তদ্বিষয়ে ংবাদ জানিতে চান এবং তাহাতে ভাইস-চ্যান্সেলার স্ত্যর হাসান স্বহ রাবন্দী বলেন, যে, তিনি অবগত হইয়াছেন, মিঃ স্বহ রাবন্দী ঐ পদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। তিনি ঐ পদে নিযুক্ত হন নাই, তাহ বিশ্বভারতীর গবেষণা-বিভাগের গ্রিন্সিপ্যাল পণ্ডিত বিধুশেখর শাস্ত্রী মহাশয়ের নিম্নমুদ্রিত চিঠিখানি হইতে বুঝা যাইবে । উহা প্রবাসীর সম্পাদককে লিখিত । ৭ই ভাদ্র, ১৩৩৯ নমস্কারপূর্বক সবিনয় নিবেদনমিদং— আপনার পত্র পাইলাম। খ্ৰীযুক্ত শাহেদ সুহরাবন্দী মহাশয়কে আমাদের আশ্রম-সমিতির এক অধিবেশনে আমারই প্রস্তাবে মুসলমান সংস্কৃতি সম্বন্ধে ( Islamic subjects ) মোট দশটি ( ইহার মধ্যে পাচটি লিখিত ) বক্তৃত করিবার জন্য নিযুক্ত করা হয়, এবং স্থির হয় যে, তাহাকে এই জন্য নিজাম ফও হইতে মোট ৫০০ পাচ শত টাকা দেওয়া হইবে । তাহাকে উল্লিখিত বা অন্ত কোনো বিষয়ে অধ্যাপকরূপে নিযুক্ত কয় হয় নাই। নিজাম অধ্যাপকের পদ এখনও খালি আছে । পারস্ত শিল্পকলা সম্বন্ধে তাহাকে নিয়োগ করার কোনো কথা ঐ সভায় আলোচিত হয় নাই। ইতি । আপনার ঐবিধুশেখর ভট্টাচাৰ্য্য ভাদ্রের প্রবাসীতে আমরা মিঃ মুহ রাবন্দীর স্ববর্ণিত যে-সব কোয়ালিফিকেশ্বন্স মুদ্রিত করিয়া ছিলাম, তাহাতে ছিল, ষে, তিনি বিশ্বভারতীতে নিজাম অধ্যাপক নিযুক্ত হইয়াছেন ; অথচ বিশ্বভারতীর মাসিক পত্র “বিশ্বভারতী নিউসে” বিশ্বভারতীর সহিত মিঃ স্বহ রাবন্ধীর সম্পর্কের সংবাদটি ঠিক ওরূপ বাহির হয় নাই, অন্য রকম বাহির হইয়াছিল, বলিয়া এবিষয়ে পতা