পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন সংবাদ জানিবার নিমিত্ত আমরা শাস্ত্রী মহাশয়কে চিঠি লিখি। তাহারই উত্তরে তিনি পূৰ্ব্বোদ্ধত পত্র লেখেন । তাহার এই পত্র ১লা সেপ্টেম্বরের মডান রিভিউতে ছাপা হইয়াছিল। ২রা সেপ্টেম্বরের আনন্দবাজার পত্রিকাতেও শাস্ত্রী মহাশয়ের চিঠিতে প্রদত্ত সত্য সংবাদ বাহির হইয়াছিল । ইহা হইতে বঙ্গের জনসাধারণ বুঝিতে পরিবেন, কোনটি সত্য কথা। মি: হরাবর্দীর স্ববর্ণিত কোয়ালিফিকেশ্বনগুলির কোনও প্রমাণ তিনি দেন নাই, এবং একটি কোয়ালিফিকেশ্বন যে সত্য নহে, শাস্ত্রী মহাশয়ের চিঠি হইতে আমাদের এইরূপ ধারণ হওয়ায় আমরা মডান রিভিউতে লিখিয়াছিলাম, মে, মিঃ সুহ রাবন্দীর কোয়ালিফিকেশ্বান্সের প্রত্যেকটির প্রমাণ তাহার নিকট সেনেটের চাওয়া উচিত । তাহ করা হয় নাই । কোন কৰ্ম্মের কোন প্রাথ উহাতে নিজের নিযুক্ত হইবার যোগ্যতা সম্বন্ধে যাহা লেখেন, তাহা যদি সম্পূর্ণ বা অংশতঃ মিথ্যা হয়, তাহা হইলে যোগ্যতার মিথ্যা দাবি করার নৈতিক দোষের জন্যই তাহার সেই কাজ পাওয়া উচিত নয়, এবং তাহার যোগ্যতার অন্তান্ত বর্ণনাও সত্য কি-না তাহার অনুসন্ধান হইতে পারে। এই নিয়ম সমুদয় শ্রদ্ধেয় গবন্মেণ ও প্রতিষ্ঠান মানিয়া থাকেন । মিঃ স্নহ রাবন্দীর যোগ্যতার বর্ণনায় এইরূপ দোষ ঘটিয়াছে, আমাদের এইরূপ ধারণ হওয়ায় তাহার প্রমাণ আমর! প্রকাশ করিয়াছিলাম। কিন্তু দেখিতেছি, সেনেটের আলোচ্য অধিবেশনে উপস্থিত অনুন ২৯ জন ফেলোর মতে ইহা স্বতঃসিদ্ধ, যে, মিঃ সুহরাবন্দী ও স্তার হাসান মুহ রাবন্দী যাহাই বলুন তাহ ধ্রুব সত্য এবং ইহাও স্বতঃসিদ্ধ, যে, পণ্ডিত বিধুশেখর শাস্ত্রী ও প্রবাসীর সম্পাদক যাহা লেখেন, তাহা মিথ্যা । সুতরাং কোন অমুসন্ধান পৰ্য্যস্ত আবশ্বক বিবেচিত হয় নাই—যদিও ব্যাপারটি তুচ্ছ নয়। কোন অধ্যাপক-পদে কাহাকেও নিযুক্ত করিতে হইলে সৰ্ব্বাগ্রে এবং প্রধানতঃ দেখিতে হইবে, ষে, তাহাকে যে-ধে বিষয়ের অধ্যাপনা করিতে হইবে, তাহ তিনি শিক্ষা করিয়াছেন কিনা, অকুশীলন ও পর্য্যবেক্ষণ করিয়াছিলেন প্ত করেন কিন, এবং সেই সব বিষয়ে তাহার জ্ঞানের বিবিধ প্রসঙ্গ-বাগীশ্বরী অধ্যাপকের পদে অপলিয়োগ Ե Ե"Ֆ ও গবেষণার পরিচায়ক কোন গ্রন্থ, প্রবন্ধ ইত্যাদি আছে কিনা ; মিঃ মুহ রাবন্দী নিজে কিংবা তাহার আত্মীয় ও “অবৈতনিক” উকীলেরা ভারতীয় ললিতকলা সম্বন্ধে র্তাহার যোগ্যতার এই প্রকার কোনই প্রমাণ উপস্থিত করিতে পারেন নাই । বস্তুতঃ তাহার কোয়ালিফিকেশ্বান্সের নিজের বর্ণনাতে কোনও যুগের ভারতীয় আর্টসের কোনটির উল্লেখ পর্ষ্যন্ত নাই । সুতরাং তাহার অদ্যবিধ যোগ্যতা কি আছে বা না আছে, তাহ অপ্রাসঙ্গিক । অধ্যাপক স্তর চন্দ্ৰশেখধ বেঙ্কট রামন বলেন, যে, ইথিয়ান আট বলিতে শুধু দক্ষিণ-ভারতের মন্দিরগুলি বুঝায় না, মুসলমানী মধ্যযুগের সমাধিসৌধ প্রভৃতিও বুঝায় । ইহা সত্য। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও কৃষ্টি বিভাগে মধ্যযুগের স্থাপত্যও শিক্ষণীয় তর্কের খাতিরে তাহ মানিয়া লইয়। জিজ্ঞাসা করি, মিঃ মুহ রাবন্দী যে ভারতীয় মুসলমান স্থাপত্যেরই অনুশীলন করিয়াছেন, তাহার কি প্রমাণ আছে ? এবিষয়ে তাহার কৃতিত্বের পরিচায়ক সামান্য একট; প্রবন্ধও ত বিদ্বন্মণ্ডলী বা মূখমণ্ডলী কাহারও পরিচিত নহে । বাগীশ্বরী অধ্যাপকের পক্ষে দক্ষিণভারতের দেবমন্দিরগুলির জ্ঞান ও থাকা যে আবশ্বক, তাহ কি অধ্যাপক রামন অস্বীকার করিতে পারেন ? সে-জ্ঞান যে মিঃ সহ রাবন্দীর আছে, তাহার কোন প্রমাণ নাই । ভারতীয় ললিতকলা বলিতে শুধু স্থাপত্য বুঝায় না, তাহাও মনে রাখিতে হইবে । ভারতীয় চিত্র, মূৰ্ত্তিশিল্প প্রভৃতিও ভারতীয় ললিতকলার অন্তর্গত । তাহার জ্ঞান যে মিঃ স্বহ রাবন্দীর আছে, তাহারও কোন প্রমাণ নাই । আমরা ভান্দ্রের প্রবাসীতে দেখাইয়াছি, যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেণ্ডার ও একটি রিপোর্ট অনুসারে “বাগীশ্বরী অধ্যাপক”কে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস এবং #sofo ("Ancient Indian History and Culture”) বিভাগে কাজ করিতে হইবে । “প্রাচীন” কথাটা যদি বাদ দেওয়া যায়, তাহা হইলেও ভারতীয় ললিতকলাই যে তাহার অধ্যাপন ও গবেষণার বিষয়, তাহ চাপ দিবার uচষ্টা করিলে সত্যের অপলাপ হয় । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, মিঃ