পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brb"え প্রিবামনী ; S9విāు স্বহ রাবর্দীর ভারতীয় ললিতকলার জ্ঞানের কোন প্রমাণ নাই । যাহা সৰ্ব্বাগ্রে ও প্রধানতঃ বিচাৰ্য্য, তাহার কোন প্রমাণ দিতে না পারিয়া অধ্যাপক রামন মিঃ স্বহ রাবর্দীর স্পেনদেশের মুরিশ আর্ট সম্বন্ধে বক্তৃতার সুন্দর ভাষা, চিস্তার বিশদত, ঐ বিষয়টির গভীর বোধ এবং আটের ও সভ্যতা ও সংস্কৃতির ইতিহাসের সম্বন্ধ বিষয়ে বোধ ও রসগ্রাহিতার প্রশংসা করিয়াছেন । ইহাও বলিয়াছেন, যে, নিযুক্ত ব্যক্তি ইউরোপ ও এশিয়ার আর্টের বিকাশের ইতিহাস বুঝেন। এই সকল কথার প্রমাণ কোথায় ? যাহা হউক, এই সমস্ত প্রশংসাই সত্যমূলক বলিয়া মানিয়া লইলেও, নিযুক্ত ব্যক্তি যে ভারতীয় ললিতকলা সম্বন্ধে কিছু জানেন, তাহার প্রমাণ ত পাওয়া গেল না। অথচ সেইটাই সৰ্ব্বাগ্রে এবং প্রধানতঃ পাওয়া চাই । অধ্যাপক রামন ত ললিতকলা বিষয়ে ‘অথরিটি' নন, যে তাহার মুখের কথাই একটা প্রমাণ হইবে । শ্ৰীযুক্ত স্বরেন্দ্রনাথ মল্লিকও এই প্রকার অপ্রাসঙ্গিক প্রশংসা কিছু করিয়াছিলেন । তিনি বলেন, নিযুক্ত ব্যক্তির হাই ক্যালচ্যাবু আছে, এবং তিনি নিশ্চয়ই EFF (SoF-UIfA (“He was a man of high culture and certainly a gentleman”) fog ভারতীয় ললিতকলার জ্ঞান ইহার মধ্যে কোথায় প্রচ্ছন্ন আছে ? যদি প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যের একজন অধ্যাপক আবশ্বক হয়, এবং ষদি ঐ পদের এক জন প্রার্থীর প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যের জ্ঞানের কোনই প্রমাণ না থাকে, তাহ হইলে তাহার কোন নামজাদ উকীল যদি কোন প্রমাণ না দিয়া বলেন সেই ব্যক্তির সমুদয় ইউরোপ ও এশিয়ার সব সাহিত্যের ক্রমবিকাশ ও নাড়ীনক্ষত্রের সঙ্গে পরিচয় আছে, তাহা হইলেই কি সেই ব্যক্তিকে ঐ পদে নিযুক্ত করিতে হইবে ? যদি একজন পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক দরকার হয়, তাহা হইলে একজন প্রার্থীর পদার্থবিদ্যার জ্ঞানের কোন প্রমাণ না দিয়া ইহা বলিলেই কি পদটিতে ঐ ব্যক্তির দাবি গ্রাহ করিতে হইবে, যে, তিনি ভারী চমৎকার ভাষায় সুন্দর রক্তৃতা করিতে পারেন, তিনি উচ্চ কুষ্টিশালী লোক এবং নিশ্চয়ই একজন জেণ্টলম্যান ? যে বিষয়টি শিখাইতে হইবে, সৰ্ব্বপ্রথমে পদপ্রার্থীদের সেই বিষয়টির জ্ঞান আছে কিনা, দেখিতে হইবে । তাহা থাকিলে অধিকন্তু অন্য নানা রকম গুণ থাকা ত আরও ভাল ; কিন্তু তাহা না থাকিলে, অন্য নানা গুণ আছে বলা নিতান্তই বাজে কথা । “বাগীশ্বরী অধ্যাপক” পদের অন্য কোন কোন প্রার্থীর ভারতীয় ললিতকলার জ্ঞান ও তদ্বিষয়ক গবেষণার যথেষ্ট প্রমাণ আছে । তাহ যে আছে, এই প্রমাণই তাহাদের মধ্যে কাহারও নিয়োগের পক্ষে যথেষ্ট বিবেচিত হওয়া উচিত ছিল । ইউরোপ ও এশিয়ার আর্টের বিকাশের জ্ঞান, চিস্তার বিশদত, ইত্যাদি যে তাহাদের অধিকন্তু নাই, কিংবা তাহার যে জেণ্টলম্যান নহেন ও র্তাহাদের উচ্চ রকমের কালচার নাই, ভারতীয় ললিতকলা বিষয়ে তাহদের জ্ঞানবত্ত হইতে আশা করি অধ্যাপক রামন্‌ মিঃ সুরেন্দ্রনাথ মল্পিক প্রভৃতি ফেলোগণ এরূপ অকুমান করেন নাই! এশিয়া ও ইউরোপের আর্টের বিকাশ কথাগুলা এক নিঃশ্বাসে বলিয় ফেলা সোজা । কিন্তু এশিয়ার আটই অতি বিরাট ব্যাপার। ইহার মধ্যে এশিয়ার প্রত্যেকটি দেশের স্বতন্ত্র স্থাপত্য, মূৰ্ত্তিশিল্প, চিত্রাঙ্কণ ইত্যাদি আছে। জাপান, চীন,তিব্বত, জাভা, শ্যাম, কাম্বোডিয়া, ব্রহ্মদেশ, ভারতবর্ষ, পারস্য প্রভৃতি দেশের এই সকল আর্টের বিকাশ মিঃ সুহরাবদ্ধ জানেন, ইহার কোন প্রমাণ ন থাকা সত্ত্বেও শূন্তগর্ত প্রশংসাবাকা উচ্চারণ অধ্যাপক রামনের মত বৈজ্ঞানিকের যোগ্য কাজই হইয়াছে ! ঐ সব দেশের এক একটি আর্টের এক একটি দিকৃ বুঝিতেই বিশেষজ্ঞদের অনেক বৎসর লাগিয়াছে। মিঃ প্রমথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ভারী চমৎকার যুক্তি প্রয়োগ করেন। তিনি বলেন, যখন মিঃ হাভেল ও মিঃ পার্সি ব্রাউন তঁহাদের পদে নিযুক্ত হন, তখন তাহাদেরও মিঃ সুহরাবন্দী অপেক্ষা উচ্চতর কোয়ালিফিকেশ্যান ছিল না, অথচ তাহারা পরে