পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ পাওয়া &S কক্ষেই বোধ হয় পূৰ্ব্বাস্ত হইয়া উচ্চ বেদীর উপর রাজসিংহাসন প্রতিষ্ঠিত ছিল। পশ্চাতে মন্থণ কৃষ্ণপ্রস্তরের কক্ষ প্রাচীর—এমন মহণ যে তাহাতে মুখ দেখা চলে। তাহার উপর স্থানে স্থানে নানাপ্রকার ফুল, ফল, লতা পাতা খোদিত । সিংহাসনের উপরিভাগে প্রাচীরগাত্রে একটি গোলাকৃতি স্থান অস্ত্র দ্বারা বিধ্বস্ত হইয়া আছে। তাহার চতুষ্পার্থে লতাপাতার কারুকার্য্য—যাহা কেবল স্বর্ণরৌপ্যেই সন্তবে । সেই গোলাকৃতি অস্ত্র-বিধ্বস্ত স্থানের একখণ্ড মহার্ঘ মণির আলোকে সিংহাসন-কক্ষ আলোকিত হইত বলিয়া লোকে অম্বুমান করিয়া থাকে। মণি অপহৃত হইয়াছে বটে,কিন্তু শূন্ত আধার বর্তমান রহিয়াছে। সিংহাসনবেদীতে উঠিবার প্রস্তরনিৰ্ম্মিত সোপান এখনও বর্তমান রাজসিংহাসন আছে । ইহাতে কেহ আরোহণ করে না এবং কেহ আরোহণ করিতে গেলেও স্থানীয় লোক পূৰ্ব্বস্তৃতির সম্মানস্বরূপ বারণ করিয়া থাকে। দক্ষিণে বামে অমাত্য সভাসদ প্রভৃতি প্রধান, প্রধান রাজপুরুষদিগের বসিবার স্থান। সমুথে বৃহৎ মণ্ডপে সাধারণ লোক সহস্ৰে সহস্ৰে দাড়াইবার স্থান। এই সবই হিন্দুকীৰ্ত্তি। বিধিনিৰ্ব্বন্ধে রূপান্তর ও নামান্তর হইয়াছে মাত্র। এখানে বৰ্ত্তমানে একটি কবর আছে ৷ ‘ লোকে ইহাকে সেকন্দর শাহের সমাধি বলিয়া অতুমান করিয়া থাকে। বর্তমানে আইন দ্বার সংরক্ষিত হইলেও পূর্বে এই aسخ به ۰. মণি-অপহৃত শূন্ত আধার সম্বলিত সিংহাসন-কক্ষ অট্টালিকার পাথরে আদিনায় কত সমাধি কত গৃহের ভিত্তি গঠিত হইয়াছে তাহার ইয়ত্ত নাই। সোনা মসজিদের অনেক পাথর এই অট্টালিকা হইতে গৃহীত হইয়াছে। যাহাকে বিরাটের মৃত্যশালা বলিয়া অকুমান করা হয় তাহ একলক্ষ্মী মসজিদ বলিয়া পরিচিত। কিন্তু ইহাতে মসজিদের কোন আকৃতি নাই । সোনা মসজিদের এত নিকটে অন্য মসজিদের কোন আবশ্যকতাও দেখা যায় না। ইহা বৃহৎ গম্বুজবিশিষ্ট একটি চতুষ্কোণ অট্টালিকা । গম্বুজের ব্যাস ৪৮–৬ ; এবং দেওয়াল ১৩ ফিট পুরু। চারিদিকে চারিটি দরজা আছে। প্রত্যেক দরজার উপরে গণেশমূৰ্ত্তি ধ্বংসাবস্থায় এখনও বৰ্ত্তস্তু আছে। আমার মনে হয় ইহা রাজা গণেশের রাজত্বকালে নগরের