পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন সপ্তাহিক ও মাসিক পত্রে প্রেরণ করেন, তাহা হইলেs gপকার হয়। বিদ্যার ভিন্ন ভিন্ন শাখায় পাঠ্যপুস্তক কি ভাবে লিখিত হওয়া উচিত, তাহার আলোচনীe আবশ্যক । প্রবেশিক পরীক্ষা পর্য্যস্ত বাংলা ভাষার স্বাভাবিক স্থান তাহাকে দেওয়া হইবে, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার। ইহা স্থির হইয়া গিয়াছে। উচ্চতর ও উচ্চতম শিক্ষা ও পূরীক্ষাতেও তাহাকে তাহার স্বাভাবিক স্থান দিবার অবিরাম স্বশ্বস্থল চেষ্টা এখন হইতে করা আবশ্যক। গুহ বঙ্গল্প-সাহিত্য-পরিষদেরই কাজ। ইহাতে তাহার অধিকার আছে । সে কৰ্ত্তব্যে অবহেলা এবং সে অধিকার ত্যাগ করা চলিতে পারে না । পণ্ডিত কৃষ্ণকমল ভট্টাচাৰ্য্য বিরানব্বই বৎসর বয়সে পণ্ডিত কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য .দহত্যাগ করিয়াছেন । এ বৎসর তাহার মানসিক শক্তি কেমন ছিল বলিতে পারি না, কিন্তু দুই-এক বৎসর পূৰ্ব্বে তাহাকে নারিকেলডাঙার স্তর গুরুদাস ইন্‌ষ্টিটিউটের এক সভায় যখন দেখিয়াছিলাম ও র্তাহার কথা শুনিয়াছিলাম, তখনও তিনি বেশ সোজা হইয়া দাড়াইয়া বেশ গুছাইয়া স্বযুক্তিসম্মত অনেক কথা বলিয়াছিলেন। তাহার স্মৃতিশক্তি ৪ তখন বেশ ছিল । তিনি প্রাচা ও পাশ্চাত্য নানা বিদ্যায় সুপণ্ডিত ছিলেন । তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ছাত্র, বঙ্কিমচন্দ্রের সহাধ্যায়ী, গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষক, এবং স্বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহকৰ্ম্মী রূপে রিপন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি বি-এল ছিলেন এবং আইনের প্রগাঢ় জ্ঞানও তাহার ছিল, কিন্তু বেশীদিন ওকালতী করেন নাই । “হিতবাদী” যখন স্থাপিত হয়, তখন তিনি উহার প্রথম সম্পাদক হন । উহার সংস্থাপক বা অন্যতম ংস্থাপক তিনি ছিলেন কি-না, এখন মনে পড়িতেছে না । “সাহিত্য” মাসিক পত্রে তাহার বাংলা লেখা কিছু বাহির হইয়াছিল। তাহা বেশ বিশদ, যৌক্তিক এবং ইশ্বস্থল। তাহার একটিতে তিনি পণ্ডিত মদনমোহন তর্কালঙ্কার এবং পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের তুলনায় বিবিধ প্রসঙ্গ—শ্যামসুন্দর চক্ৰবৰ্ত্তী b*ra সমালোচনা কিছু করিয়াছিলেন । তাহ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কোন জীবনচরিত-লেখক স্বগ্রস্থে উদ্ধত করিয়াছেন কি-না বলিতে পারি না । শু্যামসুন্দর চক্রবর্তী দারিদ্র্য এবং রোগবশত: পণ্ডিত শু্যামসুন্দর চক্রবর্তী কয়েক বৎসর হইল সাৰ্ব্বজনিক কাৰ্য্যক্ষেত্র হইতে অবসর লইয়াছিলেন। অবস্থা অমুকুল হইলে দেশ আরও অনেক বৎসর তাহার মত শক্তিশালী লেখক ও বক্তার সেবা পাইতে পারিত । কিন্তু ৬৩ বৎসর বয়সেই তাহার মৃত্যু হইল। কৰ্ম্মজীবনের প্রারম্ভে তিনি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তাহার পর তিনি সাংবাদিক বলিয়া পরিচিত হন। প্রথমে “প্রতিবাসী” নাম দিয়া একখানি বাংলা সাপ্তাহিক বাহির করেন । উহা পরে “পীপল এগু প্রতিবাসী” নামে ইংরেজী বাংলা দৈনিকে পরিণত হয় । এই সময় ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় “সন্ধ্যা’ বাহির করিতেন । র্তাহার সহিত শু্যামসুন্দরের পরিচয় হুইবার পর তিনি “সন্ধ্যা"তেও লিখিতে থাকেন । র্তাহার লেখাও “সন্ধ্যা’র লোকপ্রিয়তার একটি কারণ হইয়া উঠে । বঙ্গবিভাগের সমসাময়িক স্বদেশী আন্দোলনের সময় “বন্দেমাতরম" কাগজ বাহির হয়। শুমকুন্দর উহার অন্যতম সম্পাদকীয় লেখক ছিলেন। উহার অনেক বলিষ্ঠ উদ্দীপক প্রবন্ধ শু্যামসুন্দরের লেখনীপ্রস্থত। বক্তা ও লেখক রূপে তিনি স্বদেশী আন্দোলনে সমুদয় হৃদয়-মনের সহিত যোগ দিয়াছিলেন । তাহার অন্যতম পুরস্কারও পাইয়াছিলেন । খৃষ্টাব্দে তিনি অশ্বিনীকুমার দত্ত, স্থবোধচন্দ্র মল্লিক, কৃষ্ণকুমার মিত্র প্রভৃতির সহিত ১৮১৮ সালের তৃতীয় রেগুলেশ্বন অনুসারে বিনাবিচারে বন্দীকৃত হন। সালে তিনি মুক্তিলাভের পর "বেঙ্গলী” দৈনিক কাগজের সম্পাদকীয় বিভাগে যোগদান করেন। ১৯১৭ সালে আবার তাহাকে বিনাবিচারে গ্রেপ্তার করিয়া কার্সিয়াঙে আটক করিয়া রাখা হয়। মুক্তিলাভের পর তিনি “সার্ভেণ্ট” নামক ইংরেজী দৈনিক বাহির করেন। মহাত্মা গান্ধী তখন অসহযোগ আন্দোলন আরম্ভ করিয়াছেন। শু্যামসুন্দর 3 c tr ఏ ది