পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

trఫెషి SO9áు ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় বড় লাটের বক্তত ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার শারদীয় অধিবেশনের প্রারম্ভে বড় লাট লর্ড উইলিংডন একটি বক্তৃত করেন। উহাতে ব্রিটিশ জাতির মনের ভাব ভাষার আবরণে ঢাকা পড়ে নাই। র্তাহার যে আমাদের প্রভু এবং তাহাদের মত অনুসারে চলারই নাম যে কো-অপারেশ্যন ( সহযোগিতা ) এবং তাহ ভিন্ন যে আমাদের গতি নাই, এই মত স্পষ্ট হইয়াছে—যদিও তাহ পষ্ট করিয়া বলা হয়ত বড় লাটের অভিপ্রেত ছিল না । র্তাহার বক্তৃতার সব প্রধান কথাই খণ্ডন করা যায়। যখন তিনি মহাত্মা গান্ধীর সহিত বিনা-সৰ্ত্তে দেখা করিতে রাজী হন নাই, তাহার পর তাহার নিজের পক্ষ সমর্থনের জন্য সরকারী যে মন্তব্যপত্র প্রকাশিত হইয়াছিল, তাহার উত্তরে অন্যান্ত সম্পাদকের ও আমরা যাহা লিখিয়াছিলাম, তাহাতেই তাহার বর্তমান বতুতার একটা অংশের উত্তর দেওয়া হইয়া আছে। কিন্তু কবি গোল্ডস্মিথের গ্রাম্য গুরুমহাশয়ের মত ভারতশাসক প্রত্যেক ব্রিটিশ রাজপুরুষের এই একটা মস্ত গুণ আছে, co, “Even though vanquished he could argue still,” “তর্কে পরাস্ত হইলেও তিনি তথাপি তর্ক করিতে পারিতেন।” বস্তুত, ব্রিটিশ রাজপুরুষের নিজেদের অভ্রান্ততার মোহে এরূপ আবিষ্ট, যে, তাহার। তাহদের কথার ভারতীয় জবাব পড়েন কিনা, তাহাই সন্দেহস্থল । তথাপি উত্তর দেওয়াটা কৰ্ত্তব্য । তাহারা জবাব না শুকুন, আমাদের দেশের লোকেরা শুনিবে, এবং যদি ভারতীয়দের জবাব গবন্মেণ্টের কৰ্ম্মচারীদের কৃপায় বা অনবধানতায় ভারতবর্ষের বাহিরে পৌছিয়া যায়, তাহা হইলে বাহিরের কতক লোকেও তাহা জানিতে পারে । কিন্তু জুৎসই জবাব দুটা প্রধান কারণে বড় লাট পাইবেন না। প্রথমত, যাহাদের বিরুদ্ধে বড় লাট বক্তৃতা করিয়াছেন, তাহারা সবাই অর্থাৎ কংেগ্রসের প্রধান নেতা সবাই জেলে আবদ্ধ। কেহ কেহ খালাস পাইয়। বিদেশ যাত্রা করিয়াছেন । দু-এক জন র্যাহারা থালাসের পর এদেশেই আছেন, তাহারা আবার কবে জেল আলোকিত করিবেন, ভগ্নদেহে তাহার অপেক্ষা করিতেছেন। তাহ হইলেও তাহার। যদি সমুচিত । জবাব দেন, ছাপিবে কে ? যে-প্রেসে যে-কাগজে উহ ছাপা হইবে, তাহার জমানৎ রূপ জরিমান যে হইবে না এবং কালক্রমে তাহ যে লোপ পাইবে না, তাহার নিশ্চয় নাই । র্যাহার কংগ্রেসওয়াল নহেন, তাহারাও ঐ কারণে এবং অন্তান্ত কারণে সমুচিত জবাব দিতে পারেন না। আর একটা কারণও আছে। বিশ্বাসউৎপাদক সন্তোষজনক জবাব দিতে হইলে, আঞ্জঅযোধ্যা প্রদেশের জমির খাজনা না-দেওয়া সম্বন্ধীয় আন্দোলন এবং উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের “লালকুর্তা" প্রচেষ্টার ঠিক্‌ বিবরণ ও স্বরূপ জানা আবশ্যক। কিন্তু আগ্ৰা-অযোধ্যার জমির খাজনা না-দেওয়া সম্বন্ধীয় যেপুস্তক কংগ্রেস বাহির করিয়াছিলেন, তাহা সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হইয়াছে ; এবং উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের প্রচেষ্টাটির স্বরূপ সম্বন্ধে নিরপেক্ষ ইংরেজ পাদরী ভেরিয়ার এলুইন সাহেব যে-পুস্তিক লিথিয়৷ ছিলেন, তাহাও বাজেয়াপ্ত হইয়াছে। তিনি কিছু দিনের জন্য বিলাত যাওয়ায় সেই “হযোগে’ ব্ৰিf,গবন্মেণ্ট তাহাকে এদেশে ফিরিয়া আসার ছাড়পত্র .ে • নাই । বড় লাট অসহযোগ আন্দোলনকে “সুশৃঙ্খল গবন্মেণ্ট ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার স্থায়ী সম্ভাবিত আসন্ন বিপদ” (“a perpetual menace to orderly Government and individual liberty”) afolio এই উক্তির আলোচনা করিব না। কিন্তু সাধারণ আইনের পরিবর্তে অর্ডিন্যান্স ও অডিন্যান্স-জাতীয় আইন, বিনা-বিচারে বন্দীকরণ, সরকারী লাঠির প্রয়োগ, প্রভৃতি সুশৃঙ্খল গবন্মেণ্ট এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার পরিপোষক কি না, তাহাও বিবেচ্য। কয়েকটা অডিন্যান্সকে ভারত-গৰন্মেণ্ট, এবং অন্য কত গুলাকে প্রাদেশিক গবন্মেণ্টসমূহ, সাধারণ আইনে পরিণত করিবেন বলিয়া বড় লাট ཨ་ཅན3 দিয়াছেন। তিনি ইহাও বলিয়াছেন, যে, যত দিনঃ গবন্মেণ্ট বর্তমান রাষ্ট্রীয় নীতি বজায় রাখিবেন ততদিন,