পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলিয়াই মনে হয় ; পরবর্তী মুসলমান রাজত্বকালে ইহাদের নামান্তর হইয়া থাকিবে । এই দীপিকার উত্তর পাড়ে সোপানাবলীশোভিত বাপা ঘাটের ধ্বংসাবশেষ আছে। ইহা বোধ হয় রাজপরিবারের পুরুষদিগের ব্যবহারের জন্য ছিল । বৃহৎ দীর্থিক, উচ্চ পাড়—তদুপরি বহুতর বৃক্ষশ্রেণী পরস্পর শাখায় শাখায় পাতায় পাতায় সম্বন্ধ হইয় পাহাড়ের ন্যায়ু দেখাইতেছিল। স্বচ্ছ নীলজলে এ সকল প্রতিবিম্বিত হইয়াছে। আশেপাশে জনমানবের সাড়া নাই। এ অবস্থায় দীধিকার ভগ্ন ঘাটে দ{ড়াইয়া ভীতির সঞ্চার হইতেছিল, তাই অন্যান্য পাড় দেখিবার সুযোগ হয় নাই । এই দীঘুির মোট পরিমাণ ৬২ একর ৫০ ডেঃ অর্থাৎ ১৮৯ বিঘা 鷺 কাঠা । পরিখাবেষ্টিত রাজবাড়ি সৰ্ব্বশুদ্ধ ২৯৭ একর ৫০ ডেঃ অর্থাৎ ৯০০ বিঘা ১ কাঠা জমির উপর অবস্থিত। ইহার মধ্যে একটি দীবি অতি বৃহৎ । দীঘির মধ্যে দ্বীপের ন্যায় দুইটি স্থলভাগ আছে--তাহাতে ইষ্টক স্তুপ ও জঙ্গল ছাড়া আর কিছুই নাই। রাজবাড়ির নক্সায় স্থান দুইটি দীখিকার ভিতর দেখান হইয়াছে। এই সকল স্থানে হয় ত রাজপ্রমোদভবন অথবা নির্জন আরাধন গৃহ ছিল । সাতাইশ ঘর নামে পরিচিত দীঘি অন্দরমহলের মহিলাদিগের ব্যবহারের পুষ্করিণী ছিল বলিয়া মনে হয়। এই দীঘির ধারে অন্তঃপুরিকাদিগের স্বানের জন্য সাতাইশটি স্নানাগার ছিল । তাহা হইতে ইঙ্গর সাতাইশ ঘর নাম হইয়াছে। উত্তর পাড়ে এখনও কয়েকটি স্নানাগার বর্তমান । পাড়ের উপরে